অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর | HS Geography “Landform Formation Processes” Question Answer

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় HS Geography “Landform Formation Processes” Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর PDF.

নিচে HS Geography “Landform Formation Processes” Question Answer PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর | HS Geography “Landform Formation Processes” Question Answer

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল “ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া” প্রশ্নোত্তর | HS Geography “Landform Formation Processes” Question Answer


১)ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝো?


Ans: যেসব ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শিলামন্ডলে বিভিন্ন ভূমিরূপের উদ্ভব, বিনাশ, পরিবর্তন ও বিবর্তন সংঘটিত হয়, তাদের একত্রে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে।


২)উৎপত্তি অনুসারে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়াগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?


Ans: দুই ভাগে, যথা-পার্থিব প্রক্রিয়া ও মহাজাগতিক প্রক্রিয়া।


৩)ভূমিরূপ গঠনকারী পার্থিব প্রক্রিয়াগুল কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি


Ans: দুই ভাগে, যথা-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ও মানবীয় প্রক্রিয়া।


৪)ভূমিরূপ গঠনকারী প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?


Ans: দুই ভাগে, যথা-অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ও বহির্জাত প্রক্রিয়া।


৫)ভূমিরূপ গঠনের বহির্জাত প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝো?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের বিবর্তন ও পরিবর্তন সাধিত হয়, তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।


৬)ভূমিরূপ পরিবর্তনের বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তির মূল উৎস কি?


Ans: সূর্য।


৭)ভূমিরূপ পরিবর্তনের বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?


Ans: দুই ভাগে, যথা-স্থিতিশীল বহির্জাত শক্তি ও গতিশীল বহির্জাত শক্তি।


৮)ভূমিরূপ পরিবর্তনের কয়েকটি স্থিতিশীল বহির্জাত শক্তির নাম লেখো।


Ans: বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, অধঃক্ষেপন ইত্যাদি।


৯)ভূমিরূপ পরিবর্তনের কয়েকটি গতিশীল বহির্জাত শক্তির নাম লেখো।


Ans: পুঞ্জিত ক্ষয়, জলপ্রবাহ বা নদীর প্রবাহ, বায়ু প্রবাহ, হিমবাহ প্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও সমুদ্র তরঙ্গ, জোয়ার ভাটা, সুনামি, ভৌমজল ইত্যাদি।


১০)পর্যায়ন কাকে বলে?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় অসমতল ও বন্ধুর ভূমি ক্ষয়সীমার সাপেক্ষে ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়, তাকে পর্যায়ন বলে।


১১)‘Grade' শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?


Ans: G.K Gilbert.


১২)পর্যায়ন (Gradation) শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?


Ans: চেম্বারলিন ও সলিসবেরি।


১৩)আরোহন প্রক্রিয়া কাকে বলে?


Ans: যে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় সঞ্চয় কার্যের মাধ্যমে নীচু স্থান ভরাট হয়ে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, তাকে আরোহন প্রক্রিয়া বলে।


১৪)অবরোহন প্রক্রিয়া কাকে বলে?


Ans: যে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পেয়ে নিচু ভূমিতে পরিণত হয়, তাকে অবরোহন প্রক্রিয়া বলে।


১৫)আরোহন ও অবরোহন প্রক্রিয়াকে একত্রে কি বলে?


Ans: পর্যায়ন।


১৬) আবহবিকার কাকে বলে?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহ যান্ত্রিকভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে একই স্থানে অবস্থান করে, তাকে আবহবিকার বলে।


১৭) পুঞ্জিত ক্ষয় কাকে বলে?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় আবহবিকারকৃত আলগা শিলাচূর্ণ ও তৎসহ মৃত্তিকা কোন রকম মাধ্যম ছাড়াই কেবলমাত্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে উচ্চভূমির ঢাল বরাবর অত্যন্ত ধীরগতিতে বা দ্রুতগতিতে নিচের দিকে নেমে আসে, তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে। 


১৮) ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের আলগা শিলাসমূহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়, তাকে ক্ষয়ীভবন বলে।


১৯) নগ্নীভবন কাকে বলে?


Ans: যে প্রক্রিয়ায় আবহবিকারকৃত আলগাাশিলা সমূহ পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনের মাধ্যমে অপসারিত হলে ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং নিচের শিলাস্তর ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, তাকে নগ্নীভবন বলে।


২০)আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিত ক্ষয়কে একত্রে কি বলে?


Ans: নগ্নীভবন।


২১)পর্যায়নের কোন প্রক্রিয়াকে নগ্নীভবনও বলা হয়?


Ans: অবরোহন প্রক্রিয়া।


২২) বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়া কাকে বলে?


Ans: আবহবিকার প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর যান্ত্রিক ভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় বলে, একে বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়া বলা হয়।


২৩) রেগোলিথ কি?


Ans: আদি শিলা বা মূল শিলার উপরে অবস্থিত আবহবিকার কৃত শিথিল শিলাচূর্ণের আস্তরণকে রেগোলিথ বলে।


২৪)যান্ত্রিক আবহবিকারের কোন প্রক্রিয়ায় গ্রানাইট শিলায় গ্রানাইট টর ও এক্সফোলিয়েশন গম্বুজ সৃষ্টি হয়?


Ans: শল্কমোচন প্রক্রিয়া।


২৫)যান্ত্রিক আবহবিকারের কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাসল্ট শিলায় বহুভুজাকার স্তম্ভ ভূমিরূপ গড়ে ওঠে?


Ans: প্রস্তর চাঁই খন্ডীকরন।


২৬)যান্ত্রিক আবহবিকারের তুহিন খন্ডীকরণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোণযুক্ত শিলাচূর্ণকে কি বলে?


Ans: ট্যালাস বা স্ক্রী।


২৭)ফেলসেনমার বা ব্লকস্পেড কী?


Ans: যান্ত্রিক আবহবিকারের তুহিন খন্ডীকরণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোণ যুক্ত শিলাচূর্ণ পর্বতের গায়ে ও পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে যে নুড়িক্ষেত্র গড়ে ওঠে, তাকে ফেলসেনমার বা ব্লকস্পেড বলে।


২৮)অনুভূমিরূপ বলতে কী বোঝো?


Ans: নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদির ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাদের অনুভূমিরূপ বলে।


২৯) পর্যায়িত ভূমি কি?


Ans: অসমতল বা বন্ধুর ভূমি পর্যায়ন প্রক্রিয়ায় যে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়, তাকে পর্যায়িত ভূমি বলে।


৩০)পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যম বলতে কী বোঝো?


Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্ত উঁচু স্থানের ক্ষয়, আবহবিকার গ্রস্ত শিলাচূর্ণ, ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ স্থানান্তর ও সঞ্চয় করে ভূমিরূপের সামঞ্জস্য বিধান করে, আদির পর্যায়ন প্রক্রিয়া মাধ্যম বলে।


৩১) পর্যায়ন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলির নাম লেখ।


Ans: প্রবমান জলধারা বা নদ-নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ প্রবাহ, ভৌমজল, সমুদ্রস্রোত, সমুদ্র তরঙ্গ, জোয়ার ভাটা, মানুষসহ জীবজগৎ ইত্যাদি।


৩২)কোন অঞ্চলে নদী পর্যায়নের প্রধান মাধ্যম কাজ করে?


Ans: বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলে।


৩৩)কোন অঞ্চলে হিমবাহ পর্যায়নের প্রধান মাধ্যম কাজ করে?


Ans: উচ্চ অক্ষাংশে বা মেরু অঞ্চলে এবং উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে।


৩৪) কোন অঞ্চলে বায়ু পর্যায়নের প্রধান মাধ্যম কাজ করে?


Ans: মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে।


৩৫)কোন অঞ্চলে সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্রস্রোত ও জোয়ার ভাটা পর্যায়নের প্রধান মাধ্যম কাজ করে?


Ans: সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে।


৩৬)কোন অঞ্চলে ভৌমজল পর্যায়নের প্রধান মাধ্যম কাজ করে?


Ans: চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে বা কার্স্ট অঞ্চলে।


৩৭)ভৌমজল কাকে বলে?


Ans: ভূপৃষ্ঠের নিচে এবং ভূ অভ্যন্তরে অপ্রবেশ্য পদার্থ দ্বারা গঠিত স্তরের উপর মাটি ও প্রবেশ্য শিলা রন্ধের স্থানগুলিতে যে জল সঞ্চিত থাকে, তাকে ভৌমজল বলা হয়।


৩৮) ভৌমজল বিদ্যা (Geohydrology) কি?


Ans: বিজ্ঞানের যে শাখায় ভৌমজলের অবস্থান, প্রবাহ ও বন্টন সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা হয়, তাকে ভৌমজল বিদ্যা বলে।


৩৯)ভৌমজল বিদ্যার জনক কাকে বলা হয়?


Ans: মিয়েনজার এডমে মারিওত্তো।


৪০)ভৌমজলের প্রধান উৎস কি?


Ans: বৃষ্টিপাত ও তুষার গলা জল বা আবহিক জল বা মিটিওরিক জল।


৪১)ভূগর্ভে সঞ্চিত বৃষ্টির জল ও তুষার গলা জলকে একত্রে কী বলে?


Ans: মিটিওরিক জল বা আবহিক জল।


৪২)সমুদ্র তলদেশে পাললিক শিলা সৃষ্টির সময় শিলাস্তরের মধ্যে যে জল সঞ্চিত হয়, তাকে কি বলে?


Ans: সহজাত জল।


৪৩)জীবাশ্ম জল কি?


Ans: সমুদ্র তলদেশে স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা সৃষ্টির সময় পলি রাশির মধ্যে সঞ্চিত মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ জীবাশ্মে পরিণত হলে, তাদের দেহস্থিত জল পলিস্তরে আবদ্ধ হয়। এই ধরনের জলকে জীবাশ্ম জল বলে।


৪৪)আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত খনিজ পদার্থ মিশ্রিত উত্তপ্ত জলকে কী বলে?


Ans: উৎস্যন্দ জল বা ম্যাগমাটিক জল।


৪৫)উৎস্যন্দ জলকে ম্যাগমাটিক জল বলা হয় কেন?


Ans: আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত ম্যাগমা থেকে সৃষ্টি হয় বলে উৎস্যন্দ জলকে ম্যাগমাটিক জল বলা হয় জল বলা হয়।


৪৬)উৎস্যন্দ জলকে প্রাথমিক জল বা জুভেলাইন ওয়াটার বলা হয় কেন?


Ans: পৃথিবীর সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুমন্ডল থেকে ম্যাগমা নির্গমনের সময় সৃষ্টি হয় বলে উৎস্যন্দ জলকে প্রাথমিক জল বা জুভেলাইন ওয়াটার বলা হয়।


৪৭)ঘনীভূত জল কাকে বলে?


Ans: বায়ুমণ্ডলীয় জলীয়বাষ্প শিলারন্ধ্রে প্রবেশ করার পর সেখানে বায়ুর চাপ কম থাকায় ওই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত ও তরল হয়ে যে ভৌমজল সৃষ্টি হয়, তাকে ঘনীভূত জল বলে।


৪৮)শিলার সচ্ছিদ্রতা কাকে বলে?


Ans: কোন শিলার মোট আয়তনের সাপেক্ষে ওই শিলাস্থিত রন্ধ্রের মোট আয়তনের শতকরা অনুপাতকে শিলার সছিদ্রতা বলে।


৪৯) শিলার প্রবেশ্যতা কাকে বলে?


Ans: কোন শিলার রন্ধ্রের মধ্য দিয়ে জল সঞ্চালন ক্ষমতাকে শিলার প্রবেশ্যতা বলে।


৫০) অসম্পৃক্ত স্তর বা বাতায়ন স্তর কাকে বলে?


Ans: ভূ-অভ্যন্তরের যে অগভীর স্তরে জল জমা থাকতে পারেনা এবং কখনো সম্পৃক্ত হয় না, তাকে অসম্পৃক্ত স্তর বলে। এই স্তরে শিলা বা মাটির ছিদ্রগুলি পূর্ণ থাকায় একে বাতায়ন স্তর বলা হয়। 


৫১)মৃত্তিকা জলস্তর কাকে বলে?


Ans: ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে কাছে এবং অসম্পৃক্ত স্তরের সবচেয়ে উপরে যে অগভীর স্তরে উদ্ভিদ জল সংগ্রহ করে, তাকে মৃত্তিকা জলস্তর বলে।


৫২)কৈশিক স্তর কাকে বলে?


Ans: অসম্পৃক্ত স্তরের সবচেয়ে নিচে যে স্তরে সম্পৃক্ত স্তর থেকে জলের ঊর্ধ্বমুখী চলন ঘটে, তাকে কৈশিক স্তর বলে।


৫৩)মধ্যবর্তী স্তর কাকে বলে?


Ans: উপরের আর্দ্র মৃত্তিকার স্তর এবং নিচের কৈশিক স্তরের মধ্যবর্তী যে স্তরে জল ও বায়ু আবদ্ধ থাকে, তাকে মধ্যবর্তী স্তর বলে।


৫৪) সম্পৃক্ত স্তর বা ফ্রিয়েটিক‌ স্তর কাকে বলে?


Ans: ভূ-অভ্যন্তরে অসম্পৃক্ত স্তরের নিম্নসীমা থেকে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর পর্যন্ত প্রবেশ্য শিলাস্তর ও মৃত্তিকার যে অংশ জল দ্বারা সম্পৃক্ত অবস্থায় থাকে, তাকে সম্পৃক্ত স্তর বা ফ্রিয়েটিক‌ স্তর বলে।


৫৫)‘ফ্রিয়েটিক‌’ শব্দের অর্থ কি?


Ans: ‘ফ্রিয়েটিক‌’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘ফ্রিয়েট’ থেকে, যার অর্থ ‘কূপ’।


৫৬) ভৌম জলপীঠ বা ভৌম জলতল কাকে বলে।


Ans: ফ্রিয়েটিক‌ জলস্তরের উপরের পৃষ্ঠদেশকে ভৌম জলপীঠ বা ভৌম জলতল বলে।


৫৭)ভৌমজলের প্রকৃত আধার কাকে বলা হয়?


Ans: সম্পৃক্ত স্তর।


৫৮)কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভৌমজলের ভাণ্ডার অব্যাহত থাকে?


Ans: জলচক্র।


৫৯)ধৃত জল কাকে বলে?


Ans: কূপের মাধ্যমে তুলে নেওয়ার পরেও ফ্রিয়েটিক‌ স্তরে যে জল থেকে যায়, তাকে ধৃত জল বলে।


৬০) নির্গমনযোগ্য জল কাকে বলে?


Ans: অভিকর্ষের টানে যে পরিমান জল ভৌম জল স্তর থেকে নির্গত হয় বা বেরিয়ে যায়, তাকে নির্গমন যোগ্য জল বলে।


৬১)সাময়িক সম্পৃক্ত স্তর কাকে বলে?


Ans: ভৌমজল পৃষ্ঠের উর্ধ ও নিম্ন সীমার মধ্যবর্তী অস্থায়ীভাবে সম্পৃক্ত স্তরকে সাময়িক সম্পৃক্ত স্তর বলে।


৬২)স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর কাকে বলে?


Ans: ভৌমজল পৃষ্ঠের ঠিক নিচে যে স্তর সারা বছর ধরে সম্পৃক্ত থাকে, তাকে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর বলে।


৬৩)‘ভাদোস’ এর অর্থ কি?


Ans: ভাদোস’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ ‘ভাদোদস’ থেকে, যার অর্থ ‘অগভীর’।


৬৪)ভাদোস স্তর কাকে বলে?


Ans: সম্পৃক্ত স্তরের ঊর্ধ্বে অবস্থিত অসম্পৃক্ত বা বায়ুপূর্ণ স্তরটিকে ভাদোস স্তর বলে।


৬৫)ভাদোস জল কাকে বলে?


Ans: ভাদোস স্তরের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে পতিত বৃষ্টির জল বা তুষার গলা জল প্রবাহিত হলে তাকে ভাদোস জল বলে।


৬৬) ভৌমজল প্রবাহের গতিবেগ নির্ণয়ের জন্য কোন সূত্র ব্যবহার করা হয়?


Ans: ডার্সি-এর সূত্র।


৬৭)অ্যাকুইফার কি?


Ans: অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের উপরে অবস্থিত জল ধারণকারী প্রবেশ্য ও সম্পৃক্ত স্তরকে অ্যাকুইফার বলে।


৬৮)অ্যাকুইফার (Aquifer) শব্দটির উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?


Ans: অ্যাকুইফার (Aquifer) শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ ‘‘Aqua’ অর্থাৎ জল এবং ‘Fero’ হাত বহনকারী থেকে। তাই অ্যাকুইফার শব্দের অর্থ হলো জল বহনকারী স্তর।


৬৯)অ্যাকুইফিউজ কাকে বলে?


Ans: ভূ-অভ্যন্তরের যে সমস্ত ছিদ্রবিহীন অপ্রবেশ্য শিলাস্তর জল শোষণ, ধারণ ও পরিবহন করতে পারে না, তাদের অ্যাকুইফিউজ বলে।যেমন-গ্রানাইট শিলাস্তর।


৭০)অ্যাকুইক্লুড কাকে বলে?


Ans: ভূ-অভ্যন্তরের যে সছিদ্র শিলাস্তর জলধারণ করতে সক্ষম হলেও জল সরবরাহ বা পরিবহন করতে অক্ষম, তাকে অ্যাকুইক্লুড বলে।


৭১)অ্যাকুইটার্ড কাকে বলে?


Ans: অ্যাকুইভারের ঠিক নিচে কাদা ও বালি গঠিত যে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর ভৌম জলের নিম্ন গমন বন্ধ করে দেয় এবং স্বল্প পরিমাণে জল সঞ্চয় ও পরিবহন করে, তাকে অ্যাকুইটার্ড বলে।


৭২)অ্যাকুইডাক্ট কাকে বলে?


Ans: ভূগর্ভের জল সঞ্চার বা নিষ্কাশনের জন্য তৈরি কৃত্রিম পথকে অ্যাকুইডাক্ট বলে।


৭৩)অ্যাকনিফার্ড কাকে বলে?


Ans: কাদা ও মাটির সংমিশ্রণে গঠিত মাঝারি প্রবেশ্যতা যুক্ত যে শিলাস্তরের জল ধারণ ক্ষমতা কম, তাকে অ্যাকনিফার্ড বলে।


৭৪) প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: প্রাকৃতিক উপায় কোন নির্দিষ্ট ফাটল বা ছিদ্রপথ ধরে ভৌমজলের স্বাভাবিক প্রবহমান জলস্রোত রূপে ধীর বা প্রবল বেগে ভূপৃষ্ঠের নির্গমনকে প্রস্রবণ বলে।


৭৫) প্রস্রবণ রেখা কাকে বলে?


Ans: যে রেখা বরাবর ভৌমজল ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয় সারিবদ্ধ ভাবে অনেকগুলি প্রস্রবণ গঠিত হয়, তাকে প্রস্রবণ রেখা বলে।


৭৬) ভারতে মোট কয়টি প্রধান প্রস্রবণ অঞ্চল আছে এবং কি কি?


Ans: ভারতে মোট চারটি প্রধান প্রস্রবণ অঞ্চল আছে। সেগুলি হল-


১)উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের কুমায়ুন হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চল,


২) মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ উপকূলে সহ্যাদ্রি পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চল,


৩)ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর মালভূমির গ্রানাইট ও নিস শিলা গঠিত নিচু পাহাড়ি অঞ্চল,


৪) উত্তর পূর্ব ভারতের মেঘালয় মালভূমি অঞ্চল।


৭৭)অবিরাম প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যে সকল প্রস্রবণ থেকে সারা বছর ধরে নিয়মিতভাবে সব সময় জল নির্গত হয়, তাদের অবিরাম প্রস্রবণ বলে।


৭৮) ভারতের একটি অবিরাম প্রস্রবণেরর নাম লেখ।


Ans: শোন নদীর উৎসমুখে অবস্থিত সোনামুড়া প্রস্রবণ


৭৯)সবিরাম প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যে সকল প্রস্রবণ থেকে বছরের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে জল নির্গত হয় এবং বছরের বাকি সময় জল নির্গত হয় না, তাদের সবিরাম প্রস্রবণ বলে।


৮০) ভারতের একটি সবিরাম প্রস্রবনের নাম লেখ।


Ans: ঝাড়খণ্ডের চাইবাসার লুপুঙগুটু প্রস্রবণ।


৮১) শীতল প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যে সকল প্রস্রবণ থেকে শীতল জল নির্গত হয়, তাদের শীতল প্রস্রবণ বলে। 


৮২) ভারতের একটি শীতল প্রস্রবণের নাম লেখ।


Ans: উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দেরাদুনের সহস্রধারা।


৮৩) উষ্ণ প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যে সকল প্রস্রবণ থেকে উষ্ণ জল নির্গত হয়, তাদের উষ্ণ প্রস্রবণ বলে।


৮৪) ভারতের কোথায় উষ্ণ প্রস্রবণ আছে?


Ans: পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, ঝাড়খণ্ডের রাজগীর, বিহারের সীতাকুণ্ড, উড়িষ্যার বেরহামপুর, হিমাচল প্রদেশের তাতাপানি ও মণিকরণ।


৮৫)যে সকল উষ্ণ প্রস্রবণ দিয়ে বুদবুদ যুক্ত কাদা জলের মিশ্রণ নির্গত হয়, তাদের কি বলে?


Ans: মাডপট বা কর্দমপাত্র।


৮৬)আগ্নেয় প্রস্রবণ বা ফিউমারোল কাকে বলে?


Ans: আগ্নেয়গিরি অধ্যুষিত অঞ্চলে উত্তপ্ত উদবেধী আগ্নেয় শিলা সংলগ্ন ভৌমজল প্রচন্ড উষ্ণতায় জলীয় বাষ্প এবং বিভিন্ন গ্যাস সশব্দে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকারে মুখ্য ও গৌণ জ্বালামুখ দিয়ে নির্গত হয় যে উষ্ণ প্রস্রবণ গড়ে ওঠে, তাকে আগ্নেয় প্রস্রবণ বা ফিউমারোল বলে।


৮৭)“দশ সহস্র ধূম্র উপত্যকা” (Valley of Ten Thousand smoke) কাকে বলে?


Ans: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার কাইমাই ন্যাশনাল পার্কে 10 হাজারের বেশি ফিউমারোল অবস্থান করার, একে “দশ সহস্র ধূম্র উপত্যকা” বলে।


৮৮) গিজার কাকে বলে?


Ans: যে সকল উষ্ণ প্রস্রবনের জল ও জলীয়বাষ্প নিয়মিতভাবে কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘন্টা অন্তর অন্তর গর্জন করতে করতে প্রবল বেগে বহু ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয়, তাদের গিজার বা গাইজার বলে।


৮৯)কী ধরনের ভূ-গঠন যুক্ত অঞ্চলে গিজার গড়ে ওঠে?


Ans: নবীন আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে।


৯০) গিজার (Geyser) শব্দের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?


Ans: আইসল্যান্ডীয় শব্দ ‘Geysir’ থেকে গিজার (Geyser) শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হলো ‘গর্জন’।


৯১) পৃথিবীতে মোট কতগুলি গিজার রয়েছে?


Ans: 425 টি।


৯২) পৃথিবীর বৃহত্তম গিজারের নাম কি?


Ans: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের ওল্ড ফেইথফুল।


৯৩) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গিজারের নাম কি?


Ans: রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের ভ্যালি অফ গিজার্স (Valley of Geysers).


৯৪)‘লেডি নক্স’ গিজার কোন দেশে অবস্থিত?


Ans: নিউজিল্যান্ড।


৯৫)‘গ্রেট গিজির’ ও ‘স্ট্রক্কুর’ গিজার কোন দেশে অবস্থিত?


Ans: আইসল্যান্ড।


৯৬)খনিজ প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যে সকল প্রস্রবনের জলে অধিক পরিমাণে খনিজ পদার্থ দ্রবীভূত থাকে, তাদের খনিজ প্রস্রবণ বলে।


৯৭)খনিজ প্রস্রবনের জলে কোন কোন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত থাকে?


Ans: সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, লৌহ যৌগ, সালফার ইত্যাদি।


৯৮) ভারতের দুটি খনিজ প্রস্রবনের নাম লেখ।


Ans: ঝাড়খণ্ডের রাজগীর এবং পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর।


৯৯) ইংল্যান্ডের চেলটেনহাম প্রস্রবণ কি ধরনের প্রস্রবণ?


Ans: খনিজ প্রস্রবণ।


১০০)স্বাদুজল প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: যেসকল প্রস্রবনের জলে দ্রাব্য খনিজ পদার্থের পরিমাণ খুব কম, তাদের স্বাদু জল প্রস্রবণ বলে। 


১০১)ভারতের একটি স্বাদু জল প্রস্রবনের নাম লেখ?


Ans: দেরাদুনের সহস্রধারা।


১০২)অবনত জলতল প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: স্থায়ী ভৌম জলতল অবনত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ছেদ করে যে প্রস্রবণ গড়ে ওঠে, তাকে অবনত জলতল প্রস্রবণ বলে।


১০৩)ভারতের একটি অবনত জলতল প্রস্রবনের নাম লেখ।


Ans: ঝাড়খণ্ডের লুপুঙগুটু প্রস্রবণ।


১০৪) সংযোগ প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: নিচের অপ্রবেশ্য শিলাস্তর ও উপরের প্রবেশ্য শিলাস্তরের সংযোগস্থল বরাবর ভৌম জলতল উন্মুক্ত হয়ে যে প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়, তাকে সংযোগ প্রস্রবণ বলে।


১০৫) ভারতের একটি সংযোগ প্রস্রবণের নাম লেখ।


Ans: দেরাদুনের সহস্রধারা।


১০৬) চ্যুতি প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: চ্যুতির ফলে কোন প্রবেশ্য শিলাস্তর অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের উপর এসে পড়লে প্রবেশ্য ও অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের সংযোগস্থল উন্মুক্ত হয়ে যে প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়, তাকে চ্যুতি প্রস্রবণ বলে। 


১০৭)ভারতের একটি চ্যুতি প্রস্রবনের নাম লেখ?


Ans: হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ প্রস্রবণ।


১০৮)সমান্তরাল প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: ভূপৃষ্ঠের কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রবেশ্য ও অপ্রবেশ্য শিলাস্তর পরস্পর সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করলে তাদের সংযোগস্থলগুলিতে যে একাধিক প্রস্রবণ ধাপে ধাপে গড়ে উঠে, তাকে সমান্তরাল প্রস্রবণ বলে।


১০৯)ডাইক প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: ভূ-ত্বকের উলম্ব ফাটলের মধ্যে ম্যাগমা জমাট বেঁধে সৃষ্ট ডাইক যখন কোন ভূপৃষ্ঠ ভেদ করে উপরে উঠে আসে, তখন তার সংযোগস্থল বরাবর ভৌমজল নির্গত যে প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়, তাকে ডাইক প্রস্রবণ বলে।


১১০)ভ্যক্লুসিয়ান প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: চুনাপাথর ও ডলোমাইট দ্বারা গঠিত অঞ্চলে ভৌমজল ভূগর্ভ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোন ফাটল বরাবর ভূপৃষ্ঠে নির্গত হলে যে প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়, তাকে ভ্যক্লুসিয়ান প্রস্রবণ বলে। 


১১১)কোন প্রস্রবনের নাম অনুসারে ভ্যক্লুসিয়ান প্রস্রবণের নামকরণ হয়েছে?


Ans: ফ্রান্সের রোন উপত্যকায় অবস্থিত ফন্টেন দ্য ভ্যক্লুস প্রস্রবনের নাম অনুসারে।


১১২) ভারতের একটি ভ্যক্লুসিয়ান প্রস্রবণের নাম লেখ।


Ans: উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির কেম্পটি জলপ্রপাতের উৎস প্রস্রবণ।


১১২)আর্টেজীয় প্রস্রবণ কাকে বলে?


Ans: আবদ্ধ অ্যাকুইফারের মধ্যে সঞ্চিত ভৌমজল তার নিজস্ব চাপে স্বাভাবিকভাবে ভূপৃষ্ঠের কোন দুর্বল অংশ দিয়ে পাম্পের সাহায্য ছাড়াই প্রবল বেগে ফোয়ারার মত নির্গত হয়, তাকে আর্টেজীয় প্রস্রবণ বলে।


১১৩)পৃথিবীর কোথায় প্রথম আর্টেজীয় কূপ খনন করা হয়েছিল?


Ans: ফ্রান্সের আর্তোয়েস অঞ্চলে।


১১৪) কি ধরনের ভূ-গঠন যুক্ত অঞ্চলে আর্টেজীয় কূপ সৃষ্টি হয়?


Ans: অর্ধচন্দ্রাকারে সজ্জিত ভঙ্গিল গঠন যুক্ত অঞ্চলে।


১১৫)পৃথিবীর বৃহত্তম আর্টেজীয়কূপ অঞ্চলের নাম কি?


Ans: অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট আর্টেজীয় বেসিন।


১১৬)ভারতের কোন কোন স্থানে আর্টেজীয় কূপ দেখা যায়?


Ans: গুজরাটের আমেদাবাদের বীরগাঁও, তামিলনাড়ুর কাড্ডালোর, উড়িষ্যার বালেশ্বর, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বক্রেশ্বর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।


১১৭)প্রস্রবণ মালা বা Fontanili কাকে বলে?


Ans: পর্বতের পাদদেশে গঠিত পলল শঙ্কুর মধ্যে সঞ্চিত জল অর্ধবৃত্তাকারে বা মালার আকারে অসংখ্য প্রস্রবণ রূপে একই উচ্চতা থেকে নির্গত হলে, তাদের একত্রে প্রস্রবণ মালা বলা হয়।


১১৮) কার্স্ট ভূমিরূপ কাকে বলে?


Ans: চুনাপাথর, ডলোমাইট, চক ও জিপসাম দ্বারা গঠিত ভূখণ্ডে ভৌমজলের দ্রবণ ক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠীয় ও উপপৃষ্ঠীয় শিলাসমহ দ্রবীভূত হয় যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলে।


১১৯)কার্স্ট অঞ্চল কাকে বলে?


Ans: যুগোস্লাভিয়ার আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলবর্তী চুনাপাথর গঠিত ক্রাস মালভূমিতে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে যে ধরনের ভূমিরূপের বিকাশ ঘটেছে, পৃথিবীর সর্বত্রই ওই ধরণের ভূমিরূপ সমন্বিত চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলকে কার্স্ট অঞ্চল বলা হয়।


১২০)কার্স্ট অঞ্চলে প্রধাণত কোন প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়?


Ans: ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায়।


১২১)ভূবিজ্ঞানী আর.জে.হাগেট কার্স্ট অঞ্চলকে কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন এবং কি কি?


Ans: পাঁচটি, যথা-প্রকৃতি কার্স্ট, নদীজ কার্স্ট, হৈমবাহিক কার্স্ট, ক্রান্তীয় কার্স্ট এবং মরু ও মরু প্রায় কার্স্ট।


১২২)ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন কার্স্ট অঞ্চল কে কি বলা হয়?


Ans: এপিকার্স্ট।


১২৩)ভূ-অভ্যন্তরস্থ কার্স্ট অঞ্চলকে কি বলা হয়?


Ans: এন্ডোকার্স্ট।


১২৪)ভারতে কি ধরনের কার্স্ট অঞ্চল দেখা যায়।


Ans: ক্রান্তীয় কার্স্ট অঞ্চল।


১২৫)অনুকূল অবস্থার অভাবে অসম্পূর্ণভাবে গঠিত কার্স্ট অঞ্চলকে কি বলে?


Ans: মেরো কার্স্ট।


১২৬)চুনাপাথর ব্যতীত গ্রানাইট ও গ্রিটস্টোন শিলা দ্বারা গঠিত কার্স্ট অঞ্চলকে কি বলে?


Ans: সিউডো কার্স্ট।


১২৭)শীতল জলবায়ুতে চুনাপাথর গঠিত কার্স্ট অঞ্চলকে কি বলে?


Ans: নিভাল কার্স্ট।


১২৮)“Karst”শব্দটির উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?


Ans: জার্মান শব্দ “Karst” এর উৎপত্তি হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় শব্দ ‘Kar’ অর্থাৎ শিলা এবং স্লোভেনীয় শব্দ ‘Kras’অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রস্তরময় ভূমি থেকে।


১২৯)‘কার্স্ট’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কি?


Ans: উন্মুক্ত প্রস্তরক্ষেত্র।


১৩০)প্রকৃত কার্স্ট অঞ্চল কোন কোন শিলা দ্বারা গঠিত?


উ চুনাপাথর ও ডলোমাইট। 


১৩১)চুনাপাথর ও ডলোমাইটের পরিবর্তে রক সল্ট, হ্যালাইট, অ্যানহাইড্রাইট ও জিপসাম খনিজ সমৃদ্ধ শিলা গঠিত কার্স্ট অঞ্চলকে কি বলা হয়?


Ans: এভাপোরাইট কার্স্ট অঞ্চল।


১৩২)ভারতের কয়েকটি কার্স্ট অঞ্চলের নাম লেখ।


Ans: ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারি পার্বত্য অঞ্চল, অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু ভ্যালি ও বোরা গুহালু উত্তরাখণ্ডের সহস্রধারা, রবার্সকেভ ও তপকেশ্বর, বিহারের সাসারাম গুপ্তধাম গুহা, গুজরাটের পোরবন্দর, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এবং পশ্চিমবঙ্গের বক্সা ও জয়ন্তী পাহাড়।


১৩৩)কার্স্ট অঞ্চলে কোন কোন ক্ষয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়?


Ans: সোয়ালো হোল, সিঙ্কহোল, উভালা, পোলজে, ডোলাইন, কার্স্ট গুহা ইত্যাদি।


১৩৪)কার্স্ট অঞ্চলে কোন কোন সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়?


Ans: স্ট্যালাকটাইট, স্ট্যালাগমাইট, স্তম্ভ বা পিলার, হেলিকটাইট, হেলিগমাইম ।


১৩৫)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে সৃষ্ট ছোট ছোট গর্তগুলিকে কী বলা হয়?


Ans: সোয়ালো হোল।


১৩৬) ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ইঙ্গলবরোর গ্যাপিংঘিল কি?


Ans: সোয়ালো হোল।


১৩৭)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবণ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট সোয়ালো হোলের থেকে বৃহত্তর ও গভীরতর আকৃতির গর্তকে কী বলে?


Ans: সিঙ্কহোল।


১৩৮)কার্স্ট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত সোয়ালো হোল ও সিঙ্কহোলের সহিত ভূগর্ভস্থ গুহার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী বেলনাকার সুরঙ্গপথকে কী বলে?


Ans: পোনর।


১৩৯)ডোলাইন কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট সিঙ্কহোল ও সোয়ালো হোলগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে বৃহদাকার উপবৃত্তাকার গর্ত সৃষ্টি হয়, তাকে ডোলাইন বলে।


১৪০)ককপিট ডোলাইন কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে যে চতুর্দিক খাড়া‌ পাড়যুক্ত অর্ধগোলাকৃতি ডোলাইন সৃষ্টি হয়, তাকে ককপিট ডোলাইন বলে।


১৪১) ভারতের কোথায় ডোলাইন দেখা যায়?


Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বোরাগুহা অঞ্চলে।


১৪২)দ্রবণ প্যান কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ডোলাইনগুলি আরও প্রসারিত হয়ে যে অতি বৃহৎ ও অগভীর নিম্নভূমি সৃষ্টি হয়, তাকি দ্রবণ প্যান বলে।


১৪৩)কার্স্ট অঞ্চলের ভূমিরূপ গঠনকারী সকল রাসায়নিক ও যান্ত্রিক প্রক্রিয়াসমূহকে একত্রে কি বলা হয়?


Ans: কার্স্টিফিকেশন।


১৪৪)বিশ্বের বৃহত্তম কার্স্ট অঞ্চলের নাম কি?


Ans: মন্টেনিগ্রো।


১৪৫)কার্স্ট অঞ্চলে দ্রবন প্রক্রিয়ায় চুনাপাথরের ওপর মৌচাকের মতো গর্ত সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে কি বলে?


Ans: হানিকম্বিং (Honeycombing)।


১৪৬)কার্স্ট ভূমিরূপ বিদ্যার জনক কাকে বলা হয়?


Ans: জোহান সিভিজিক।


১৪৭) নদীর কাজের ফলে সৃষ্ট কার্স্ট ভূমিরূপকে কি বলে?


Ans: ফ্লুভিওকার্স্ট।


১৪৮)অদ্রাব্য শিলাস্তরের নিচে গঠিত কার্স্ট ভূমিরূপকে কি বলে?


Ans: ইন্টার স্ট্রাটাল কার্স্ট।


১৪৯)পোলজে‌ কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে কার্বনিক অ্যাসিড মিশ্রিত ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে যে দীর্ঘায়ত, সমতল তলদেশ বিশিষ্ট ও চতুর্দিক খাড়া ঢালযুক্ত উপবৃত্তাকার আবদ্ধ গর্ত সৃষ্টি হয়, তাকে পোলজে বলে।


১৫০)পোলজের উপরিভাগে অবস্থিত শঙ্কু আকৃতির অবশিষ্ট পাহাড়গুলোকে কি বলা হয়?


Ans: হামস।


১৫১)কিউবায় হামসকে কি বলা হয়?


Ans: মোগোতেস।


১৫২) রাবণ ভাটা কী?


Ans: ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রায়পুর জেলায় শেল গঠিত হামসগুলিকে স্থানীয় ভাষায় রাবণ ভাটা বলা হয়।


১৫৩)পোলজেকে ফ্রান্সে কি বলা হয়?


Ans: প্লানস।


১৫৪)পোলজেকে মালয়েশিয়ায় কি বলা হয়?


Ans: ওয়াং।


১৫৫)পোলজেকে কিউবায় কি বলা হয়?


Ans: বোজোস।


১৫৬)লিভেনো পোলজে কোন দেশে অবস্থিত?


Ans: যুগোস্লাভিয়া।


১৫৭)পোলজের অর্ধবৃত্তাকার অনুচ্চ অবশিষ্ট অংশকে কি বলে?


Ans: ককপিট। 


১৫৮)পোলজের অর্ধবৃত্তাকার অনুচ্চ অবশিষ্ট অংশ বা ককপিটকে জার্মানিতে কি বলা হয়?


Ans: কুগেলকার্স্ট।


১৫৯)কার্স্ট টাওয়ার কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলের খাড়াই পার্শ্বদেশ বিশিষ্ট পলল সমভূমি দ্বারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন অবশিষ্ট পাহাড়গুলিকে কার্স্ট টাওয়ার বা টুর্মকার্স্ট বলে।


১৬০)কার্স্ট টাওয়ারের আকৃতির তীক্ষ্ণ হলে তাকে কি বলে?


Ans: পিনাকেল।


১৬১) ক্ষুদ্রাকৃতির উভালাকে কে কি বলা হয়?


Ans: জামা।


১৬২)পোনর শব্দের অর্থ কি?


Ans: নলাকার গর্ত।


১৬৩)ল্যাপিস কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে শিলার ফাটল বরাবর ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে যে সংকীর্ণ, গভীর ও পরস্পর সমান্তরাল রৈখিক খাত বা পরিখার সৃষ্টি হয়, তাকে ফ্রান্সে ল্যাপিস বলে। 


১৬৪)ল্যাপিসকে জার্মানিতে কি বলা হয়?


Ans: কারেন ।


১৬৫)ল্যাপিস ইংল্যান্ডে কি বলা হয়?


Ans: গ্রাইকস।


১৬৬)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট অত্যন্ত ক্ষুদ্র, সরু ও ঘনসন্নিবদ্ধ পরিখা বা কারেনগুলিকে কী বলে?


Ans: রিলেন কারেন।


১৬৭)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট রিলেন কারেনের থেকে বড় পরিখা বা গর্তগুলিকে কী বলে?


Ans: রিনেন কারেন।


১৬৮)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট অতি ক্ষুদ্র ও সমতল তলদেশ বিশিষ্ট পরিখা বা কারেনকে কী বলে?


Ans: ট্রিট কারেন।


১৬৯কার্স্ট অঞ্চলে দারণযুক্ত চুনাপাথরে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট বড়ো বড়ো লম্বা খাত বা পরিখাগুলিকে কী বলে?


Ans: ক্লুফট কারেন।


১৭০)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে মৃত্তিকা স্তরের নিচে সৃষ্ট গোলাকৃতি শিলাখণ্ড যুক্ত পরিখাগুলিকে বা কারেনগুলিকে কী বলে?


Ans: রুন্ড কারেন।


১৭১)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ খাত বিশিষ্ট কারেনগুলিকে কী বলে?


Ans: মানডার কারেন।


১৭২)কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তীক্ষ্ণ শিলাস্তরের মধ্যে গভীর মত আকৃতি বিশিষ্ট কারেনগুলিকে কী বলে?


Ans: স্পিটজ কারেন।


১৭৩)কার্স্ট অঞ্চলে দুটি ল্যাপিস বা গ্রাইকসের মধ্যবর্তী প্রায় সমতল আয়তকার স্তম্ভকে কী বলে?


Ans: ক্লিন্ট।


১৭৪)হামস কী?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে গঠিত প্রায় সমতল অবনত ভূমির উপর বিচ্ছিন্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শঙ্কু আকৃতির অবশিষ্ট পাহাড় বা ঢিবিগুলিকে হামস্ বলে।


১৭৫)পুয়ের্তোরিকোতে হামসকে কী বলা হয়?


Ans: হে স্ট্যাক হিল বা পেপিনো হিল।


১৭৬)টেরারোসা কী?


Ans: মৃদু থেকে মধ্যম ঢালবিশিষ্ট অবিশুদ্ধ চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে কার্বনিক অ্যাসিড মিশ্রিত ভৌমজলের দ্রবণ প্রক্রিয়ার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে যে লাল রঙের আম্লিক কাদার আস্তরণ সৃষ্টি হয়, তাকে টেরারোসা বলে।


১৭৭)‘টেরারোসা’ অর্থ কি?


Ans: টেরারোসা শব্দটি 'Terra' অর্থাৎ কাদা বা মৃত্তিকা এবং 'Rossa' অর্থাৎ লাল শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। সুতরাং টেরারোসা শব্দের অর্থ হলো লাল রঙের মৃত্তিকা।


১৭৮) কার্স্ট গবাক্ষ বা কার্স্ট বাতায়ণ কাকে বলে ?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ নদী সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সুড়ঙ্গের ছাদ যে অংশের ধ্বসে রায়, সেখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূগর্ভস্থ নদীকে দেখা যায়। জানালার মতো এরূপ অংশকে কার্স্ট গবাক্ষ বা কার্স্ট বাতায়ণ বলে।


১৭৯)ছোট আকৃতির কার্স্ট গবাক্ষ বা কার্স্ট বাতায়ণকে কি বলা হয়?


Ans: ম্যালট।


১৮০)ভারতের কোথায় কার্স্ট গবাক্ষ বা কার্স্ট বাতায়ণ দেখা যায়।


Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বোরাগুহা থেকে গোস্থানি নদীর প্রবাহ পথের পাশে এবং মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারিতে।


১৮১) পকেট উপত্যকা কি?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে নদীর কার্যের ফলে সৃষ্ট ছোট, গভীর ও খাড়া ঢাল যুক্ত উপত্যকাকে পকেট উপত্যকা বলে।


১৮২)কার্স্ট গুহা কাকে বলে?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ভৌম জলস্তরের নিকটে বা সামান্য নিচে ক্রমাগত ভৌমজলের দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে শিলাস্তর ধ্বসে গিয়ে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়, তাকে কার্স্ট গুহা বলে। 


১৮৩) বৃহদাকৃতির কার্স্ট গুহাকে কী বলে?


Ans: কেভার্ন বা কন্দর।


১৮৪)বহুতল বিশিষ্ট কার্স্ট গুহাকে কী বলে?


Ans: গ্যালারি গুহা।


১৮৫) ভারতের একটি কার্স্ট গুহার নাম লেখ।


Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বোরা গুহা।


১৮৬) পৃথিবীর বৃহত্তম কার্স্ট গুহার নাম কী?


Ans: কার্লসবার্ড গুহা। 


১৮৭)পৃথিবীর দীর্ঘতম কার্স্ট গুহার নাম কী?


Ans: সুইজারল্যান্ডের হোলক গুহা।


১৮৮)পৃথিবীর গভীরতম কার্স্ট গুহার নাম কী?


Ans: ফ্রান্সের গুফ্রে বার্জার।


১৮৯)কার্স্ট গুহার ছাদে সৃষ্ট গম্বুজাকার গহ্বরকে কি বলে?


Ans: বেলহোল।


১৯০)পাতন প্রস্তর বা ড্রিপস্টোন কাকে বলে?


Ans: কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে চুনাপাথরের জলীয় দ্রবণ সঞ্চিত হয়ে যে সব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাদের একত্রে পাতন প্রস্তর বা ডিপস্টোন বলে।


১৯১)কে কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে চুনাপাথরের জলীয় দ্রবণ সঞ্চিত হয়ে যে সব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় ভূমিরূপগুলিকে পাতন প্রস্তর বা ড্রিপস্টোন নামে অভিহিত করেছেন?


Ans: ভূবিজ্ঞানী উইলিয়াম মোরিস ডেভিস।


১৯২)কেভ ট্রাভারটাইন বা স্পেলিওথেম কী?


Ans: কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে চুনাপাথরের জলীয় দ্রবণ সঞ্চিত হয়ে যেসব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাদের একত্রে কেভ ট্রাভারটাইন বা স্পেলিওথেম বলে।


১৯৩) পশ্চিমবঙ্গের মহাকাল গুহা কি ধরনের গুহা?


Ans: কার্স্ট গুহা।


১৯৪)কার্স্ট অঞ্চলে গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত চুনাপাথরের স্তম্ভকে কী বলা হয়?


Ans: স্ট্যালাকটাইট।


১৯৫)কার্স্ট অঞ্চলে গুহার মেঝে থেকে ওপরের দিকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চুনাপাথরের স্তম্ভকে কী বলে?


Ans: স্ট্যালাগমাইট।


১৯৬)পিলার বা স্তম্ভ কী?


Ans: কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে চুনাপাথরের জলীয় দ্রবণ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়ে যে থামের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে পিলার বা স্তম্ভ বলে।


১৯৭)কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে অনুভূমিক বার তির্যক ভাবে গঠিত স্ট্যালাকটাইটগুলিকে কী বলে?


Ans: হেলিকটাইট।


১৯৮)কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে অনুভূমিক বার তির্যক ভাবে গঠিত স্ট্যালাগমাইটগুলিকে কি বলা হয়?


Ans: হেলিগমাইট।


১৯৯)কার্স্ট গুহার অভ্যন্তরে সৃষ্ট অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ট্যালাকটাইটেরর মত ঝুলন্ত খাঁজকাটা পর্দার ন্যায় ভূমিরূপকে কী বলে?


Ans: ড্রেপ বা কার্টেন। 


২০০)কার্স্ট গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত দ্রবীভূত চুনের ক্ষুদ্র ও গোলাকৃতি মূর্তিকে কী বলে?


Ans: গ্লোবুলাইট।


২০১)কার্স্ট গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত ফুলের পাপড়ির ন্যায় দ্রবীভূত চুনের জমাটবদ্ধ রূপকে কী বলে?


Ans: অ্যানথোডাইট।


২০২)বিশ্বের দীর্ঘতম পোলজের নাম কি?


Ans: যুগোস্লাভিয়ার লিভেনো পোলজে।


২০৩) ভারতের কোথায় পোলজে দেখা যায়?


Ans: ছত্রিশগড়ের রায়পুর জেলার ধামতারিতে।


Ans: পশ্চিমবঙ্গের কোথায় স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট দেখা যায়?


Ans: বক্সা জয়ন্তী মহাকাল গুহাতে।


২০৪) প্রাকৃতিক সুরঙ্গ কাকে বলে?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠস্থ নদী সিঙ্কহোলের মধ্য দিয়ে ভূগর্ভে প্রবেশ করার পর দ্রবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের দ্বারা যে সুড়ঙ্গের মত প্রবাহ পথ তৈরি করে, তাকে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ বলে।


২০৫)ভারতের কোথায় প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ দেখা যায়?


Ans: মধ্যপ্রদেশের মারাদেও পর্বত।


২০৬)কোন অঞ্চলে শুষ্ক উপত্যকা ও অন্ধ উপত্যকা সৃষ্টি হয়?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে।


২০৭)কার্স্ট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ নদীর দ্রবণ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ‘V’ নদী উপত্যকাকে কি বলে?


Ans: কার্স্ট গিরিখাত।


২০৮) ভারতের কোথায় কার্স্ট গিরিখাত দেখা যায়?


Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বোরাগুহালুর গোস্থানী নদীতে।


২০৮) ইংল্যান্ডের ম্যানিফোল্ড ও ডোভ কিসের উদাহরণ?


Ans: কার্স্ট গিরিখাত।


২০৯) ফ্রান্সের লট, টার্ন ও জন্টি কিসের উদাহরণ?


Ans: কার্স্ট গিরিখাত।


২১০)ভারতের কোথায় শুষ্ক উপত্যকা ও অন্ধ উপত্যকা সৃষ্টি হয়?


Ans: কার্স্ট অঞ্চলে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.