অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


সম্পদের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | Characteristic Of Resource

সম্পদের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | Characteristic Of Resource
 

Q. সম্পদের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | Characteristic Of Resource

সম্পদ হলো মানুষের পরিবেশের সেই সমস্ত বিষয় সমূহ, যা মানুষের চাহিদা পূরণ করে এবং সামাজিক উদ্দেশ্য সাধন করে। কোন বস্তু বা পদার্থ সম্পদ কিনা তা নির্ভর করে তিনটি বিশেষ গুণের ওপর-প্রথমটি উপযোগিতা, দ্বিতীয়টি কার্যকারিতা এবং তৃতীয়টি চাহিদার ব্যাপ্তি ও গভীরতা। এই তিনটি গুণের ওপর ভিত্তি করে সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল-

১)উপযোগিতা: সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো উপযোগিতা। অর্থাৎ কোন পদার্থকে সম্পদ হতে হলে তার মধ্যে এমন একটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে যার সাহায্যে সে মানুষের কোন নির্দিষ্ট অভাব পূরণ করতে পারবে।যেমন-কয়লা জ্বালানি হিসাবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে মানুষের চাহিদা পূরণ করে বা অভাব মোচন করে। তাই কয়লা সম্পদ। 

২)কার্যকারিতা: কোন বস্তুকে সম্পদ হতে হলে তার অবশ্যই কাজ করার ক্ষমতা বা কার্যকারিতা থাকতে হবে। যেমন-জলকে সেচের কাজে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিল্পক্ষেত্রে ইত্যাদি নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। জলের এই কার্যকরী ক্ষমতার জন্য জলকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।

৩)ব্যবহার যোগ্যতা: যে বস্তু বা দ্রব্যের ব্যবহার যত বেশি সেই বস্তুটি ততো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়।যেমন-বর্তমানে আকরিক লোহার পরিবর্তে স্ক্র্যাপ লোহা বা ছাঁট লোহার ব্যবহার বেড়ে চলেছে। স্ক্র্যাপ লোহার ব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য একে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

৪)গ্রহণ যোগ্যতা: কোন বস্তুকে সম্পদ হতে হলে তাকে অবশ্যই মানুষের গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কিন্তু সব সম্পদ সকল মানুষের কাছে সমান গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। জাতি, ধর্ম ও সময়ের তারতম্যে সম্পদের গ্রহণযোগ্যতার পরিবর্তন হয়। যেমন- হিন্দুদের কাছে গোমাংসের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় এটি তাদের কাছে সম্পদ নয়। কিন্তু মুসলমানদের কাছে গোমাংস সম্পদ।

৫)সার্বজনীন চাহিদা: যে সকল বস্তুর ব্যাপক ও সার্বজনীন চাহিদা আছে তাদের সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হয়। যেমন- জল,আলো,বাতাস ইত্যাদির সার্বজনীন চাহিদা থাকায় এগুলিকে সম্পদ বলা হয়।

৬)পরিবেশ মিত্রতা: কোন বস্তুকে সম্পদ হতে হলে তাকে পরিবেশ মিত্র হতে হবে অর্থাৎ যে বস্তু ব্যবহার করলে পরিবেশের ক্ষতি হয় না বা সামান্য ক্ষতি হয় কিংবা বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য বিপন্ন হয় না সেগুলিকে সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হয়। যেমন-জল থেকে জল বিদ্যুৎ, বায়ু থেকে বায়ু বিদ্যুৎ, সূর্যালোক থেকে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় পরিবেশ দূষিত হয় না। তাই এগুলিকে পরিবেশ মিত্র সম্পদ বলা হয়।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.