দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF - Waste Management Question Answers

দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF

দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF - Waste Management Question Answers

নিচে দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।


দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF - Waste Management Question Answers


দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF

Dear Students, Gksolves.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF. প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির যেমন Railway Group D | PSC Clerkship | WBCS | SSC CHSL | SSC CGL | SSC MTS | WBP Abgari Constable | WBP SI | WBP Constable | ICDS Supervisor | Railway Group D | RRB NTPC | PSC Miscellaneous | TET  | Upper Primary  | Group D ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে। এই সমস্ত চাকরির পরীক্ষা ছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সম্বন্ধে আপনার সাধারণ ধারণা থাকা দরকার, তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF যা আপনাদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ধারণা গঠন করতে বিশেষ সাহায্য করবে। 



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF - Waste Management Question Answers


1. বর্জ্য কাকে বলে?

উঃ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার বা ভোগ করার পর অব্যবহারযোগ্য যে আবর্জনা তৈরি হয় সেগুলিকে বর্জ্য পদার্থ বলে?


2. বর্জ্য পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।

উঃ বর্জ্য পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

১) অব্যবহার যোগ্য।

২) দুর্গন্ধযুক্ত

৩) এর ওজন আছে।


3. বর্জ্য কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ পাঁচ প্রকার। কঠিন, তরল, গ্যাসীয়, বিষাক্ত ও বিষহীন এই পাঁচ প্রকার।


4. কঠিন বর্জ্য কাকে বলে?

উঃ কঠিন পদার্থে গঠিত যে সমস্ত দ্রব্য কিছুদিন ব্যহারের পর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে সেই সমস্ত দ্রব্যকে কঠিন বর্জ্য বলে। যেমন- ভাঙা বা পুরানো কাঠ, প্লাই, প্লাস্টিক, কাচ, বাড়ির ভাঙা দ্রব্য ইত্যাদি।


5. কঠিন বর্জ্যের উৎস কী?

উঃ গৃহস্থালী ও কারখানার আবর্জনা।


6. তরল বর্জ্য কাকে বলে?

উঃ প্রকৃতিতে উপস্থিত যে সমস্ত তরল ব্যবহারের অযোগ্য সেগুলিকে তরল বর্জ্য বলে। যেমন – গৃহস্থালির ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত জল, কারখানার পরিত্যক্ত জল, পয়ঃপ্রণালীর নোংরা জল ইত্যাদি।


7. গ্যাসীয় বর্জ্য কাকে বলে?

উঃ যে সব গ্যাসীয় পদার্থ মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীজগতের জন্য ক্ষতিকর এবং বায়ুমণ্ডলের দূষণমাত্রা বাড়ায় তাদের গ্যাসীয় বর্জ্য বলে। যেমন – মোটর গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বা দাবানলে উৎপন্ন কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ইত্যাদি।


8. বিষাক্ত বর্জ্য কাকে বলে?

উঃ যে সব বর্জ্য মানুষ ও প্রাণীদেহে প্রবেশ করে বিপাকীয় কাজে গোলযোগ সৃষ্টি করে এবং নানারকম রোগ সৃষ্টি করে তাদের বিষাক্ত বর্জ্য বলে। যেমন – সীসা, আর্সেনিক, পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় কণা, DDT, BHC, ইত্যাদি।


9. বিষহীন বর্জ্য কী?

উঃ প্রকৃতিতে উপস্থিত কঠিন, তরল, গ্যাসীয় যেসমস্ত বর্জ্য পদার্থ সরাসরি জীবমণ্ডলের জন্য ক্ষতিকারক নয়, বা ক্ষতির মাত্রা কম সেই বর্জ্যগুলিকে বিষহীন বর্জ্য বলে। যেমন – সবজির খোসা, বাথরুমের জল, আঁচের ধোঁয়া ইত্যাদি।


10. ল্যাণ্ড ফিল্ড কী?

উঃ কঠিন ও অর্ধ অতল বর্জ্য পদার্থ দ্বারা নিচু ভূভাগ ভরাট করাকে ল্যাণ্ডফিল্ড বলে।


11. কম্পোস্টিং কাকে বলে?

উঃ জৈব বিশ্লেষ্য বর্জ্য ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বিশ্লেষণ করাকে কম্পোস্টিং বলে।


12. নিকাশী কাকে বলে?

উঃ যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তরল বর্জ্যগুলি অপসারণ করা হয় তাকে নিষ্কাষণ বা নিকাশী বলে।


13. স্কাবার কাকে বলে

উঃ যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূলত ধোঁয়া ও ধুলো নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয় তাকে স্কাবার বলে।


14. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কবে গৃহীত হয়?

উঃ ১৯৮৫ সালে।


15. গ্যাসীয় বর্জ্যের বৈশিষ্ট্য কী?

উঃ ১। গ্যাসীয় বর্জ্য সরাসরি বায়ুমণ্ডলে মেশে।

২। প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্যাসীয় বর্জ্য সরাসরি মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

৩। বায়ুমণ্ডলে গ্যাসীয় বর্জ্যের মাত্রা বাড়লে বায়ুর দূষণ মাত্রা বাড়ে।


16. বিষাক্ত ও বিষহীন বর্জ্য কী কী?

উঃ বিষাক্ত বর্জ্যগুলি হল – সীসা, জিংক, আর্সেনিক, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় কণা প্রভৃতি।


17. পৌরসভার বর্জ্যের উৎসগুলি কী কী?

উঃ ১। পৌরসভার প্রতিটি বাড়ির আবর্জনা।

২। পৌরসভার পয়ঃপ্রণালীর বর্জ্য।

৩। গাড়ি ও রাস্তা ধোয়া জল।

৪। হোটেল রেস্টুরেণ্টের বর্জ্য।


18. তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের উৎসগুলি কী কী?

উঃ সীসা, ক্যাডমিয়াম, জিংক, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, সালফিউরিক অ্যাসিড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ইত্যাদি।


19. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ?

উঃ জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সমস্ত জীবকূলকে রোগের হাত থেকে রক্ষা, পরিবেশ দুষণ ও অবনমন রোধের উদ্দেশ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য পুনরায় ব্যবহার এবং পুনর্নবীকরণ করাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে।


20. বর্জ্য পদার্থের প্রভাবে কী বৃষ্টি হয়?

উঃ অম্লবৃষ্টি।


21. কৃষিকার্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্যকে কী বলে?

উঃ কৃষিজ বর্জ্য।


22. জৈব বর্জ্যের উৎস কী?

উঃ মৃত পশু, মানুষ ও প্রানীর মল মূত্র ও কাটা আগাছা প্রভৃতি।


23. জলদূষণে মানুষের শরীরে কোন বিষক্রিয়া হয়?

উঃ আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম ও পারদের বিষক্রিয়া। ।


24. চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য কী? উদাহরণ দাও।

উঃ চিকি,ৎসার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, হাড় ও অস্থি বিভাগ থেকে আসা বর্জ্য ও হাসপাতালের রোগীদের প্রাত্যহিক বর্জ্য প্রভৃতি।


25. জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ যেসকল জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায় তাদের জৈব ভঙ্গুর পদার্থ বলে। যেমন- সবজি।


26. অজৈব ভঙ্গুর বর্জ্য বলতে কী বোঝ?

উঃ যে স্কল জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয় না তাদের অজৈব ভঙ্গুর পদার্থ বলে। যেমন- ভাঙা কাঁচ।


27. বর্জ্য পৃথকীকরণ বলতে কী বোঝ?

উঃ প্রকৃতিতে অনেক বর্জ্য পাওয়া যায়; এর মধ্যে কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যকে পৃথক করে আলাদা ভাবে রাখার পদ্ধতিই হল বর্জ্য পৃথকীকরণ ।

পদ্ধতি:- কোনো অঞ্চল বা এলাকায় প্রাপ্ত সমস্ত বর্জ্যকে একত্রে করে যেগুলি জৈব ভঙ্গুর সেগুলিকে সবুজ ঝুড়ি ও যেগুলি জৈব অভঙ্গুর সেগুলিকে নীল ঝুড়িতে রাখা হয়। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই পদ্ধতি গ্রহনযোগ্য খুব সহজসাধ্য।

শ্রেণীবিভাগ:- প্রকৃতিতে যে সব বর্জ্য রয়েছে, সেগুলিকে প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী দু - ভাগে ভাগ করা যায়; যথা:- 

i) জৈব ভঙ্গুর:- যে সব বর্জ্য আমরা ফেলে দেওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি জীবানু ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা জাড়িত বা বিজাড়িত হয়ে মাটিতে মিশে যায়; তাদের জৈব ভঙ্গুর বলে। যেমন:- শাক - সব্জি।

ii) জৈব অভঙ্গুর:- যে সব বর্জ্য দীর্ঘদিন মাটিতে থাকার পরেও কোনো রকম পরিবর্তন হয় না বা বিশ্লিষ্ট হয় না; তারা হল জৈব অভঙ্গুর। যেমন:- প্লাস্টিক, DDT.


28. ভরাট করণের গুরুত্ব আলোচনা করো।

উঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ভরাটকরণ। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন বর্জ্য , আবর্জনা মাটির নীচে গর্ত করে সঞ্চয় করা হয়; একে স্বাস্থ্য সম্মত ভূমি ভরাটকরণ প্রক্রিয়া বলে।

বৈশিষ্ট্য:- i) এর ফলে আবর্জনা বা বর্জ্য বিশ্লিষ্ট করা সম্ভব হয়।

ii) চাপা দেওয়া আবর্জনা জৈব সারে পরিণত হয়।

iii) বর্জ্যের বিয়োজনের ফলে মিথেন, Co2, হাইড্রোজেন সালফাইট ইত্যাদি গ্যাস উৎপন্ন হয় ; এদের Land Phill বলে।

সতর্কতা:- i) জনবসতি থেকে দূরে বড়ো গভীর জায়গায় ভরাটকরণ করা উচিত।

ii) দুর্গন্ধ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা দেখা উচিত। 

iii) ভ্যাট থেকে ময়লা সংগ্রহ কালে প্রক্রিয়াকরণের পর তা নিয়ে যাওয়া উচিত প্রভৃতি।


29. তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াগুলি সংক্ষেপে লেখো।

উঃ শহরাঞ্চলে গৃহস্থালির মল, মূত্র মিশ্রিত নোংরা জল পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে কোনো জলাভূমিতে জমা করা হয়। কালো রঙের এই তরল বর্জ্যকে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিয়োজিত করে। এরপর ওই তরল বর্জ্য নিকাশি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়।


30. ভাগীরথী-হুগলী নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।

উঃ প্রায় 2500 কিমি দীর্ঘ গঙ্গা নদী ভারতের জীবন রেখা। গঙ্গা নদীর পার্শ্ববর্তী কলকারখানার বর্জ্য, পৌরসভার বর্জ্য, কৃষি ক্ষেত্রের কীটনাশক বাহিত জল ইত্যাদি এই নদীতে এসে পড়ার ফলে নদী আজ দূষিত। মোহানা থেকে 600 কিলোমিটার উত্তর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর নিম্নপ্রবাহ ভাগীরথী-হুগলী নামে পরিচিত। এই ভাগীরথী-হুগলি নদীর পুরোটাতেই বর্জ্যের পরিমাণ সর্বাধিক। পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা থেকে গঙ্গাসাগরের মোহানা পর্যন্ত প্রসারিত এই নদীতে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য এসে মিশছে এবং বিভিন্নভাবে ভাগীরথী-হুগলি নদীর জলদূষণ ঘটছে। এর কারণ হল—

(i) ভাগীরথী-হুগলী নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে হুগলী শিল্পাঞ্চল, ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও অসংখ্য কলকারখানা । এই সকল শিল্পকারখানার বিশাল পরিমাণ বর্জ্য ও দূষিত জল অনবরত এই নদীতে এসে পড়ছে ।

(ii) এই নদীর তীর বরাবর গড়ে ওঠা ঘন জনবসতির পয়ঃপ্রণালীর দূষিত বর্জ্য জল ক্রমাগত নদীতে মিশেছে।

(iii) নদীর তীরে গড়ে ওঠা ট্যানারি, বস্ত্র ও রাসায়নিক শিল্পের বর্জ্যসমূহ এই নদীতে নির্গত হচ্ছে।

(iv) বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বর্জ্য যেমন ফুল, মালা, কাঠামো প্রভৃতি এবং মৃত পশু এই নদীতে ফেলা হচ্ছে ।

(v) গবাদি পশুর স্নান, কাপড় ধোয়া ও কাচা প্রভৃতিও এই নদীতে হয় বলে ভাগীরথী-হুগলী নদীর জলদূষণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।

(vi) নদীতে যন্ত্রচালিত জলযান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় পোড়া মোবিল, ডিজেল, পেট্রোল প্রভৃতি নদীর জলে মিশে জলদূষণ ঘটাচ্ছে।  

এই প্রকার দূষণের ফলে নদীর জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রাসায়নিক দূষণের মাত্রাকেও হার মানিয়েছে। ভাগীরথী হুগলী নদীতে বর্জ্যের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এর প্রভাবে —

(i) ২০০৬ সালের পরে এই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে জলবাহিত রোগ যেমন, আমাশয়, কলেরা, হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগের পরিমাণ প্রায় ৬৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।

(ii) প্রতি বছর গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে অসংখ্য শিশু জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

(iii) নানা প্রকার বর্জ্য পদার্থ মেশার জন্য নদীর জলের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে জল সাংঘাতিকভাবে দূষিত হচ্ছে। বর্তমানে এই নদীর জল পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

(iv) বর্জ্যের মাধ্যমে নানা প্রকার বিষাক্ত পদার্থ নদীর জলে মিশে যাওয়ায় এই নদীর জলের বাস্তুতন্ত্র আশঙ্কাজনকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ও জীববৈচিত্র্য ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে । যেমন — পৃথিবীর অন্যতম স্বাদু জলের ডলফিন, গঙ্গা নদীর ডলফিনের (শুশুক) সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

(v) নদীর দূষিত জল সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য উৎপাদিত ফসলের গুণগত মানের অবনতি ঘটছে।  


সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপ (Ganga Action Plan): ভাগীরথী-হুগলী নদীতে বর্জ্য সমস্যার সমাধানে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । যেমন—

(i) ১৯৮৪ সালে 'গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান' -এ নদীতে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস ও তীরবর্তী অঞ্চলে নিকাশিনালা পরিষ্কার এবং পয়ঃপ্রণালী পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে ।

(ii) বর্তমানে কলকাতা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন পরিকল্পনায় (KSWMIP) জাপান আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA) -র সহায়তায় হুগলী শিল্পাঞ্চলে ভাগীরিথী-হুগলী নদীর ডান তীরের ৬টি পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।

(iii) সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত 'নমামী গঙ্গে' পরিকল্পনায় গঙ্গা তথা ভাগীরথী-হুগলী নদীতে বর্জ্য দূষণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।

(iv) দূষিত জল যাতে সরাসরি গঙ্গায় না পড়ে তার জন্য গভীর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । 


31. পরিবেশের বর্জ্যের দুটি প্রভাব ব্যাখ্যা করো।

উঃ বর্জ্য পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে। যেমন — (ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, (খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ, (গ) দূষণ, (ঘ) লিশেট ইত্যাদি।

(ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ (Effect on surface water): বর্জ্যপদার্থ কঠিন বা তরলরূপে জলাশয়ে এসে পড়লে তা জলের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন ঘটায় ও জলকে কলুষিত করে । একে জলদূষণ বলে । এর ফলে সেই জল পানের অযোগ্য হয়ে ওঠে এবং তা মানুষ ও পশুপাখিদের জীবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

(খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ (Soil contamination): ক্ষতিকর রাসায়নিক তরল বর্জ্যপদার্থ মাটির ভিতর প্রবেশ করে মাটির সঙ্গে মিশে তা মাটিকে কলুষিত করে মৃত্তিকাদূষণ ঘটায় । শিকড়ের মাধ্যমে এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ উদ্ভিদদেহে সংক্রমিত হয়। মানুষ এবং প্রাণীরা যখন এই সংক্রামিত উদ্ভিদের ফলমূল খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তখন তাদের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

(গ) দূষণ (Pollution): দূষিত বর্জ্যপদার্থ ভূমি ও বায়ুদূষণ ঘটায়। এই প্রকার দূষণ মানুষ ও প্রাণীর শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে ও নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যার সৃষ্টি করে। ফলে নানা রকমের মারাত্মক দীর্ঘস্থায়ী রোগব্যাধির সৃষ্টি হয়।

(ঘ) লিশেট (Leachate): ক্ষতিকর বর্জ্যপদার্থ থেকে নিঃসৃত দূষিত জল যখন চুঁইয়ে পড়ে কোনো অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, তাকে লিশেট বলে। এই প্রকার দূষিত রাসায়নিক তরল মিশ্রণ যখন ভূপৃষ্ঠস্থ জল ও ভৌমজলে প্রবেশ করে, তখন তার ঋণাত্মক প্রভাব জীবকুলের ওপর বিপর্যয় সৃষ্টি করে।


32. গঙ্গা নদীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?

উঃ ১। পৌরসভা ও কারকাখানার তরল বর্জ্য নিষ্কাষণ প্রক্রিয়ায় দূষণ মুক্ত করা।

২। কড়া আইনের দ্বারা কারখানার রাসায়নিক তরল বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা।

৩। বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, পুনর্ব্যবহার ও পুনশ্চক্রীকরণ নীতি কার্যকরী করা।

৪। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রভৃতি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।


33. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা উল্লেখ করো।

উঃ সমাজের একজন সদস্য হিসাবে শিক্ষার্থী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন-

১) বাড়ির লোকজনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা ও ঘরে বর্জ্য পৃথকীকরন প্রক্রিয়া চালু করা।

২) শিক্ষার্থী নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং প্রতিষ্ঠানেরফাঁকা জায়গায় কম্পোস্টিং প্রক্রিয়ার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে।

৩) বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস ও পুনর্ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে পারে।

৪) স্কুলের বর্জ্য কাগজ ও অন্যান্য বর্জ্য জাতীয় পদার্থ থেকে খেলনা বা অন্য ব্যবহার্য জিনিস তৈরি করার প্রচেষ্টা করতে পারে।

৫) Use and throw জাতীয় পণ্যের ব্যবহার বর্জন করতে হবে।


34. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R নীতি কী?

উঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় বর্জ্যবস্তুর উৎপাদন কমানো। এই ব্যবস্থাপনা তিনটি R নীতি প্রয়োগ করা হয়। তিনটি R নীতি হল-

১। Reduce (কমানো)

২। Re-use (পুনর্ববহার)

৩। Recycle (পুনশ্চক্রীকরণ)।


Download দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর PDF


File Details:-

File Name:- দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর [www.gksolves.com]
File Format:-PDF
Quality:- High
File Size:-  5 Mb
File Location:- Google Drive

Click Here to Download


আরও পড়ুন:




Others Important Link

Syllabus Link: Click Here

Questions Paper Link: Click Here

Admit Card Link: Click Here

Result Link: Click Here

Latest Job: Click Here

Age Calculator: Click Here


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.