দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF - Disasters and Disasters Question Answers

দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF

দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF - Disasters and Disasters Question Answers

নিচে দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।


দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF - Disasters and Disasters Question Answers


দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF

Dear Students, Gksolves.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF. প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির যেমন Railway Group D | PSC Clerkship | WBCS | SSC CHSL | SSC CGL | SSC MTS | WBP Abgari Constable | WBP SI | WBP Constable | ICDS Supervisor | Railway Group D | RRB NTPC | PSC Miscellaneous | TET  | Upper Primary  | Group D ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে। এই সমস্ত চাকরির পরীক্ষা ছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সম্বন্ধে আপনার সাধারণ ধারণা থাকা দরকার, তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF যা আপনাদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ধারণা গঠন করতে বিশেষ সাহায্য করবে। 



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF - Disasters and Disasters Question Answers


1. দুর্যোগ কাকে বলে?

উঃ দুর্যোগ হল এমন এক প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা যা পরিবেশের ভারসাম্য অবস্থার বিচ্যুতি ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সাময়িকভাবে ব্যাহত করে।


2. বিপর্যয় কাকে বলে?

উঃ দুর্যোগ যখন প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক কারণে প্রচুর পরিমাণে সম্পদহানি ও বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনহানি ঘটায়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে অথবা দীর্ঘকাল ধরে স্তব্ধ করে দেয় তখন তাকে বিপর্যয় বলে।


3. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।

উঃ দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল-

১) দুর্যোগ হল এমন এক প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা যা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সাময়িকভাবে ব্যাহত করে।

বিপর্যয় হল এমন এক আকস্মিক ঘটনা যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে বা দীর্ঘকাল ধরে স্তব্ধ করে দেয়।


২) প্রকৃতি হল দুর্যোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। তবে মানুষ নিজের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের জন্য দুর্যোগ ডেকে আনে। যেমন- খরা, বন্যা প্রভৃতি।

মানুষের কৃতকর্মের জন্য প্রাকৃতিক রোষে বিপর্যয় ঘটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজন্য মানুষই দায়ী। যেমন- ভূপাল গ্যাস বিপর্যয়।


৩)প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশাল এলাকা জুড়ে ঘটে। কিন্তু মানুষের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ কম পরিসরে ঘটে থাকে।

তীব্রতা ও বিস্তৃতির মাপকাঠিতে বিপর্যয়ের মাত্রা ব্যাপক।


৪) দুর্যোগের ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয় না।

১০ জনের লোক মারা গেলে ও ১০০ বা তার বেশি মানুষ আহত হলে এবং ১০০ মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হলে তাকে বিপর্যয় বলে গণ্য করা হয়।


৫) ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় দেশীয় অর্থনীতির ওপর বিশেষ চাপ পড়ে না।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি মাত্রায় হওয়ায় দেশীয় অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।


4. Disaster শব্দটি কোথা থেকে এসেছে? এর অর্থ কী?

উঃ ‘Disaster’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘Desastre’ থেকে। যেখানে ‘Des’-এর অর্থ হল ‘Bad’ or ‘Evil’ (মন্দ) এবং ‘astre’ শব্দের অর্থ হল ‘star’ (তারা), অর্থাৎ ‘Bad or Evil Star’ বা ‘শয়তান তারা’। অতীতে মানুষ মনে করত শয়তান তারার প্রভাবেই প্রকৃতিতে বিপর্যয় নেমে আসে।


5. বিপন্নতা কাকে বলে?

উঃ কখনও কখনও এমন কিছু ঘটনাবলি বা পরিস্থিতি উপস্থিত হয় যা কোনো জনগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে অসহায় করে তোলে, তাকে বিপন্নতা বা vulnerability বলে।


6. পরিবেশিক চাপ কাকে বলে?

উঃ দুর্যোগ ও বিপর্যয় বৃদ্ধি পেয়ে যদি প্রাকৃতিক পরিবেশের সহ্যের সীমা ও সমতা নষ্ট করে, সেই পরিস্থিতিকে পারিবেশিক চাপ বা Environmental Stress বলে।


7. ২০০১ সালে World Disater Report অনুযায়ী দুর্ঘটনাকে কখন বিপর্যয় বলা হবে?

উঃ ২০০১ সালে World Disater Report-এ বলা হয়েছে – কোনো দুর্ঘটনাকে তখনই বিপর্যয় বলে গণ্য করা হয়, যখন –

১) দশ বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু হয়,

২) একশো বা তার বেশি মানুষ আহত হয়,

৩) পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের প্রয়োজন হয়,

৪) সরকারীভাবে আপতকালীন পরিস্থিতি ঘোষিত হয়।


8. হড়পা বান কী?

উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অতধিক বৃষ্টি বা হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদের জলে আচমকা বাঁধ ফেটে বন্যার সৃষ্টি হলে, তাকে হড়পা বান (Flash Flood) বলে।


9. বন্যা কাকে বলে?

উঃ স্বাধারণত শুষ্ক কোনও ভূভাগ যখন বেশ কয়েকদিনের জন্য বিশাল জলরাশির দ্বারা আবৃত হয়ে পড়ে, তখন তাকে বন্যা বলে।


10. কী কী কারণে বন্যা হয়?

উঃ বন্যা প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উভয় কারণেই ঘটে। বন্যা সৃষ্টির প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) দীর্ঘস্থায়ী ভারী বর্ষণ,

২) গ্রীষ্মে নদীতে তুষার গলা জলের আগমন,

৩) পলি সঞ্চয়ে নদীখাত মজে যাওয়া বা গভীরতা কমে যাওয়া,

৪) উপকূল অঞ্চলে আবহাওয়া বিশৃঙ্খল হলে জোয়ার ও ঢেউয়ের কারণে,

৫) ধসের কারণে নদীখাত বন্ধ বা গভীরতা কমলে বন্যা সৃষ্টি হয়।


বন্যা সৃষ্টির অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) জলাধারের জল ছাড়া,

২) গাছ কাটার কারণে মাটির ক্ষয় বেড়ে গিয়ে নদীখাত মজে যাওয়া বা গভীরতা হ্রাস পাওয়া,

৩) নদী থেকে কাটা খালগুলির সংস্কার না করা,

৪) মিউনিসিপ্যালিটিগুলিতে অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাট করা এবং নিকাশি সংস্কার না করার কারণে বন্যা হয়।


11. বন্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উঃ বন্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে-

১) বিভিন্ন গণমাধ্যম যথা- রেডিও, টিভি প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যার পূর্বেই বারবার জনগণকে সতর্ক করা প্রয়োজন।

২) বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে ঐ অঞ্চলে নিরাপদ দূরত্বে বন্যার হাত থেকে বাঁচার উপযুক্ত বৃহৎ গৃহ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

৩) বন্যা প্রবণ অঞ্চলের নদীগুলির নাব্যতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

৪) বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে প্রয়োজনে বিজ্ঞান সম্মতভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়া অবং সঠিক সময়ে মেরামত করা প্রয়োজন।

৫) বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পানীয় জল এবং ঔষধের ও খাদ্যের যোগান রাখা প্রয়োজন।


12. খরা কাকে বলে?

উঃ কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না হলে বা বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে জলের অভাবে যে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলা হয়।


13. কী কী কারণে খরা হয়?

উঃ খরার জন্য প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উভয় কারণই দায়ী। প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়া।

২) মৌসুমি বায়ুর দেরিতে আগমন এবং তাড়াতাড়ি প্রত্যাবর্তন, মৌসুমি বায়ু প্রবাহের সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়া।

৩) ভৌম জলস্তর নেমে যাওয়া ও বাষ্পীভবনের জন্য মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত আর্দ্রতা কমে যাওয়া।

৪) উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেটের পশ্চাৎপসরণে দেরি হলে মৌসুমি বায়ু আগমনে দেরি হয়, ফলে বৃষ্টির অভাবে খরা দেখা যায়।

৫) এল নিনোর বছরগুলিতে কম বৃষ্টিপাতের কারণে খরা হয়।


অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) গাছকাটার দরুণ বাষ্পীয় প্রস্বেদন দ্বারা বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে খরা হয়।

২) দূষণের কারণে কঠিন বস্তুকণা মিশলে বাতাসে আর্দ্রতা হ্রাস পায় এবং খরা সৃষ্টি করে।


14. খরার হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উঃ খরার হাত থেকে বাঁচতে নিম্নলিখিত ব্যাবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে। যেমন-

১) বর্ষার জল ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ করা প্রয়োজন।

২) প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগানো প্রয়োজন।

৩) খরা সহ্যকারী ফসলের চাষ করা উচিৎ।

৪) হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, গোরু, মোষ প্রভৃতি পালনের উপর জোর দেওয়া উচিৎ।

৫) মাটির নীচ দিয়ে পাকা জল নির্গমন প্রণালী ও জলসেচ পদ্ধতি গড়ে তোলা উচিৎ।

৬) নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে জল ধরে রাখা প্রয়োজন।


15. ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে?

উঃ দীর্ঘকালীন উত্তাপের কারণে সৃষ্ট নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা বায়ুকেই ঘূর্ণিঝড় বলে।


16. ভারত কবে কেন জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছিল?

উঃ ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে ওড়িশায় মহা ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোন হয়, যার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটারেরও বেশি। এতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এই বিপর্যয়কে ভারতে জাতীয় বিপর্যয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।


17. হুদহুদ কী?

উঃ হুদহুদ একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, যা ২০১৪ সালের ১৮ই অক্টোবর ভারতের পূর্ব উপকূলীয় অংশে আছড়ে পড়ে। এর দ্বারা বিশাখাপত্তনম শহরটি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।


18. ফাইলিন কী?

উঃ ফাইলিন একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, এটি ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় ২২০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে। এর দ্বারা ওড়িশার ৮০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়।


19. আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে?

উঃ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা।


20. ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উঃ ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে। যেমন-

১) ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস গণমাধ্যমের দ্বারা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।

২) উপকূল থেকে নিরাপদ দূরত্বে জনগণোকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

৩) উপকূলের নিকটে গৃহ নির্মাণের ছাড়পত্র না দেওয়া।

৪) উপকূল সংলগ্ন অংশের গৃহগুলির ঝড় সহ্যক্ষমতা বেশি থাকা প্রয়োজন।

৫) পূর্বাভাস পাওয়ামাত্র ঝড়ে আক্রান্ত মানুষদের জন্য খাদ্য, পানীয় জল ও ঔষধের বন্দোবস্ত করা উচিৎ।

৬) ঝড়ের সময় সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে মৎসজীবিদের সতর্ক করা উচিৎ।


21. ভূমিকম্প কাকে বলে?

উঃ প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরে হঠাৎ কোনো কম্পন সৃষ্টি হলে, তা যখন ভূত্বকের কিছু অংশকে ক্ষণিকের জন্য আন্দোলিত করে তখন তাকে ভূমিকম্প বলে।


22. কী কী কারণে ভূমিকম্প হয়?

উঃ ভূমিকম্প সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উভয় কারণ দায়ী।

প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) দুটি ভূত্বকীয় পাতের সংঘর্ষ বা পাশ কাটিয়ে যাওয়া,

২) অগ্ন্যুৎপাতের কারণে,

৩) ভূমিধ্বস বা হিমানী সম্প্রপাতের কারণে,

৪) চ্যুতির কারণে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।


অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ,

২) পর্বতগাত্রে বৃক্ষছেদন এবং রাস্তা ও গৃহনির্মাণ দ্বারা ভূমিধ্বসকে ত্বরাণ্বিত করা,

৩) পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ডিনামাইটের সাহায্যে পাহাড় ফাটানোর কারণে স্থানীয়ভাবে ভূমিকম্প হয়।


23. ভূমিকম্পের কেন্দ্র কাকে বলে?

উঃ ভূগর্ভে যেখানে কম্পনের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে।


24. ভূমিকম্পের কেন্দ্র ভূ-পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে কতটা নীচে থাকে?

উঃ ১৬ কিমি নীচে।


25. ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র কাকে বলে?

উঃ ভূ-গর্ভে অবস্থিত ভূমিকম্প কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি ওপরে ভু-পৃষ্ঠে অবস্থিত জায়গাটিকে বলে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র।


26. ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম কী?

উঃ সিসমোগ্রাফ।


27. ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপক স্কেলটির নাম কী?

উঃ রিক্‌টার স্কেল।


28. কোন যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের উৎস নির্ধারণ করা হয়?

উঃ সিস্‌মোগ্রাফ।


29. সিস্‌মোগ্রাফের কাজ কী?

উঃ ভূমিকম্পের উৎসস্থল এবং তরঙ্গের গতিবিধি নির্ণয় করা।


30. ভারতের একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের নাম লেখ।

উঃ কুমায়ুন হিমায়ন অঞ্চল।


31. ভূ-অভ্যন্তরে উৎপন্ন ভূ-কম্প তরঙ্গগুলি ভূ-পৃষ্ঠে প্রথম কোথায় এসে লাগে?

উঃ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রে এসে লাগে।


32. সম-ভূকম্পন রেখা বা আইসো-সিস্‌ম্যাল লাইন কাকে বলে?

উঃ যেসব জায়গায় ভূমিকম্পের তীব্রতা সমান অনুভুত হয় সেই জায়গাগুলিকে পরস্পর যগ করলে যে রেখা উৎপন্ন হয় তাকে সম-ভূকম্পন রেখা বা আইসো-সিস্‌ম্যাল লাইন বলে।


33. পৃথিবীর কোন দেশে বছরে সর্বাধিক ভূমিকম্প হয়?

উঃ জাপানে।


34. ভূমিকম্পের দেশ কাকে বলে?

উঃ জাপানকে।


35. সুনামি কী?

উঃ কোনো ভুমিকম্প যখন মহাদেশের তলায় সৃষ্টি না হয়ে সমুদ্রের তলায় সৃষ্টি হয় তখন ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিশাল বিশাল ঢেউ সৃষ্টি করে উপকূলে আছড়ে পড়ে, একে সুনামি বলে।


36. সুনামি শব্দটির কোথা থেকে এসেছে? সুনামি শব্দটির অর্থ কী?

উঃ সুনামি একটি জাপানি শব্দ। ‘সু’-এর অর্থ সমুদ্রতীরের বন্দর এবং ‘নামি’ শব্দের অর্থ জলোছ্বাস। অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হল ‘সমুদ্রতীরের বন্দরে জলোচ্ছ্বাস’।


37. ভূমিধস কাকে বলে?

উঃ পাহাড়ের ঢালে জমে থাকা মাটি ও পাথরের স্তূপ দ্রুত অথবা ধীর গতিতে অভিকর্ষজ টানে পার্বত্য ঢাল বেয়ে নেমে আসাকে ভূমিধস বলে।


38. পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের আর কোথায় ভূমিধস হয়?

উঃ খনি অঞ্চলে, যথা- রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর।


39. ভূমিধসের প্রভাবগুলি কী কী?

উঃ ভূমিধসের প্রভাবগুলি হল-

১) মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।

২) মাটিতে বসবাসকারী প্রাণীরা বিনষ্ট হয়, তাই বাস্তুতন্ত্রে বিঘ্ন ঘটে।

৩) ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়।

৪) নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়, রাস্তা ভেঙে যায়।

৫) কৃষির ক্ষতি হয়।

৬) অনেক ক্ষেত্রে ভূমিধস মানুষের জীবনহানি ঘটায়।


40. হিমানী সম্প্রপাত কাকে বলে?

উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের তুষারক্ষেত্র পার্বত্য ঢালের সাথে ভারসাম্য হারালে ও মাধ্যাকর্ষণের টানে বিপুল পরিমাণ তুষারপুঞ্জ দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নেমে আসাকে হিমানী সম্প্রপাত (Avalanches) বলে।


41. তুষার ঝড় বা ব্লিজার্ড কাকে বলে?

উঃ শীতপ্রধান অঞ্চলে অনেকসময় খুব জোরে (১২০ কিমি – ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টায়) তুষার সহ ঝড় বয়ে যায়। এর ফলে মাটি তুষারে আবৃত হয় এবং সমগ্র এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। একেই তুষার ঝড় (Blizzard) বলে।


42. কাকে The home of Blizzard বলে?

উঃ আন্টার্কটিকাকে।


43. অগ্ন্যুৎপাত কাকে বলে?

উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রভাবে ভূত্বকের দুর্বল স্থান, ফাটল বা ছিদ্রপ্রথ দিয়ে ভূওভ্যন্তরের ধোঁয়া, বাষ্প, ভস্ম ও গ্যাস সহ উত্তপ্ত গলিত পদার্থ নিঃশব্দে অথবা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসাকে অগ্ন্যুৎপাত বলে।


44. অগ্ন্যুৎপাতের উপকারিতা গুলি কী কী?

উঃ অগ্ন্যুৎপাত শুধু দানবের মত ধ্বংস করে না, উর্বর কৃষ্ণ মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। আগ্নেয়গিরি অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে মূল্যবান রত্ন ও খনিজ পাওয়া যায়।


45. দাবানল সৃষ্টির কারণগুলি লেখো।

উঃ দাবানল সৃষ্টিতে মূলত প্রাকৃতিক কিয়দাংশে অপ্রাকৃতিক কারণ দায়ী।

প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) গাছের শুকনো ডালে জোরে ঘষা লাগা,

২) বজ্রপাতের কারণে,

৩) অরণ্যে বা সন্নিহিত অংশে অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি।


অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-

১) স্থানান্তর কৃষি,

২) পথ চলতি মানুষের ধূমপানের অবশিষ্টাংশ,

৩) অরণ্য সন্নিহিত অংশে বনভোজন বা রান্নার কারণে অনেক সময় দাবানল সৃষ্টি হয়।


46. বিপর্যয় মোকাবিলায় ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা উল্লেখ করো।

উঃ বিপর্যয়কালে শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত ভূমিকাগুলি পালন করতে পারে। যথা-

১) দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে চারপাশের মানুষজনকে সতর্ক করে দিতে হবে।

২) যে সমস্ত অঞ্চল দুর্যোগপ্রবণ, সেখানে যেতে হবে। মানুষজনদের সাথে কথা বলতে হবে। দুর্যোগ সম্পর্কিত সচেতনতা মূলক শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিতে হবে সবার মধ্যে।

৩) দুর্যোগ চলাকালীন অন্যান্য সংগঠকদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নেমে পড়তে হবে দুর্গতদের উদ্ধার কাজে।

৪) ত্রাণ বিতরণের সময় সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। ORS, পানীয় জল, শুকনো খাবার দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের হাতে তুলে দিতে হবে।

৫) কোনো খরা বিপর্যস্ত অঞ্চলে জল পেতে সাহায্য করতে হবে।

৬) ত্রাণ শিবিরে সজাগ থাকতে হবে। কোনো মানুষ সেখানে কোনোরকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে।

৭) মানসিক দিক দিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে হবে। মানুষের মনোবল ফিরে পেতে ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে হবে।

৮) গাছ যেহেতু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারে, তাই সুযোগমতো এলাকার চারপাশে গাছ লাগাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, তাদের সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং চারপাশের মানুষজনদের এ ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে।


47. পশ্চিমবঙ্গে কত সালে ডিজাস্টার ম্যানেজমেণ্ট অ্যাক্ট পাস হয়?

উঃ ২০০৭ সালে।


48. পশ্চিমবঙ্গে কটি প্রধান বিপর্যয় দেখা যায়?

উঃ চারটি। খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প।


49. প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাকে বলে?

উঃ দুর্যোগ সৃষ্টির জন্য যদি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক শক্তি দায়ী থাকে, তাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে।


50. আধা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাকে বলে?

উঃ দুর্যোগ সৃষ্টির জন্য প্রাকৃতিক শক্তি এবং কিছুটা অপ্রাকৃতিক শক্তি দায়ী থাকলে, তাকে আধা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে।


51. ORS এর পুরো নাম কী?

উঃ Oral Rehydration Solution।


52. বিপর্যয় লঘুকরণ দিবস পালন করা হয় কবে?

উঃ ১৩ই অক্টোবর।


Download দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF


File Details:-

File Name:- দশম শ্রেণির ভূগোল দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর [www.gksolves.com]
File Format:-PDF
Quality:- High
File Size:-  5 Mb
File Location:- Google Drive

Click Here to Download


আরও পড়ুন:




Others Important Link

Syllabus Link: Click Here

Questions Paper Link: Click Here

Admit Card Link: Click Here

Result Link: Click Here

Latest Job: Click Here

Age Calculator: Click Here


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.