অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nana Ranger Din SAQ Question Answer

নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় Nana Ranger Din SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF

নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nana Ranger Din SAQ Question Answer

নিচে নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। Nana Ranger Din SAQ Question Answer PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।



নানা রঙের দিন - অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়


‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি আন্তন চেকভের ‘Swan Song’  নাটকের অনুকরনে রচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকগুলি নাটক অনুবাদও করেছিলেন। যদিও অনুবাদের ক্ষেত্রেও তাঁর স্বকীয়তা চোখে পড়ার মতো। আলোচ্য নাটকেও নাট্যকারের নিজস্বতা মিশে রয়েছে। আলোচ্য পোস্টে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


নানা রঙের দিন নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nana Ranger Din SAQ Question Answer


1. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রারম্ভে মঞ্চসজ্জার কীরকম বর্ণনা দেওয়া আছে?

Ans: পেশাদারি থিয়েটারের একটি ফাকা মঞ্জু। মঞ্চের পেছনে রাত্রে অভিনীত নাটকের দৃশ্যপট, জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি। মঞ্চের মাঝখানে একটি টুল ওলটানো চারিদিকে অন্ধকার। দিলদারের পোষাক পরে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রবেশ করেন। তার হাতে একটা মোমবাতি। তিনি হাসছেন।


2. “বকশিশও দিলুম ওকে।”—কে, কাকে, কত বকশিশ দিয়েছিলেন?

Ans: রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটার হলের কর্মী রামব্রীজকে তিন টাকা বকশিস দিয়েছিলেন।


3. “সব মিলিয়ে যেন একটা শ্মশান।”—কোন্ স্থানকে শ্মশান বলে মনে হয়েছে?

Ans: অভিনয় শেষে দর্শকশূন্য থিয়েটার হলকে শ্মশান বলে মনে হয়েছে।


4. “যা করেছি ধর্মের জন্য”—‘সাজাহান’ নাটকে এই সংলাপটি কার?

Ans: ‘সাজাহান’ নাটকে এই সংলাপটি ঔরঙ্গজেবের।


5. “একটুও ভালো লাগে না বাড়িতে!”- বক্তার কেন বাড়িতে ভালো লাগে না।

Ans: বক্তা রজনীকান্তের বাড়িতে নিজের বলতে কেউ নেই। তিনি এই পৃথিবীতে একা। তাই বাড়িতে তাঁর ভালো লাগে না।


6. “এসব বাজে কথা আমি বিশ্বাস করি না।”— বক্তা কোন কথাকে বাজে কথা বলেছেন?

Ans: দর্শকদের ফাঁকা হাততালি, খবরের কাগজে প্রশংসা, মেডেলে, সার্টিফিকেট আর নাট্যভিনয় একটি পবিত্রশিল্পের মতো মন্তব্যকে বক্তা বাজে কথা বলেছেন।


7. “অভিনেতা মানে একটা চাকর—একটা জোকার, একটা ক্লাউন।”—বক্কার এমন কথা মনে হয়েছে কেন?

Ans: বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় স্বনামধন্য অভিনেতা। তাঁর অভিনয় দক্ষতা দেখে সকলেই মুগ্ধ। কিন্তু ‘নাটকওয়ালা’ অপবাদে একটি মেয়ে তাঁকে ভালোবেসেও বিয়ে করেনি। এই জন্যই বক্তার এমন কথা মনে হয়েছে।


8. “এই তো জীবনের সত্য কালীনাথ” – সত্যটি কী ?

Ans: প্রতিভা অমর। বয়সের ভারে মানুষ ভারাক্রান্ত হলেও প্রতিভার বার্ধক্য তুচ্ছ—এটাই জীবনের সত্য।


9. “ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর সে।”—সে বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

Ans: রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যে মেয়েটি তাঁকে ভালোবেসেছিল, এখানে তার কথাই বলা হয়েছে।


10. “হঠাৎ যেন আমার চোখ খুলে গেল।”—কীভাবে বক্তার চোখ খুলে গেল?

Ans: রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখে একটি মেয়ে তাঁকে ভালোবেসেছিল| কিন্তু বড়ো লোকের সুন্দরী সেই মেয়েটি থিয়েটারের লোকের সঙ্গে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এই ঘটনায় অভিনেতা সম্পর্কে মানুষের মনোভাবের কথা জানতে পেরে রজনীকান্তের চোখ খুলে যায়।


11. “যাবার আগে মজলিশি গল্পের আস্তাকুঁড়ে নির্বাসন দিয়ে গেল আমাকে।”—কার যাবার কথা বলা হয়েছে?

Ans: এখানে খ্যাতিমান অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিভার চলে যাওয়াকেই নির্দেশ করা হয়েছে।


12. “আমাকে কেউ চায় না কালীনাথ।” –বক্তা কেন একথা বলেছেন?

Ans: বৃদ্ধ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়ে উপলব্ধি করেছেন জীবনে হিসাবের খাতায় জমার দিকে পড়ে আছে শূন্য। মানুষ এখন আর তাঁকে আগের মতো কদর করে না। তাই নিজের পরিণামের কথা ভেবে তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।


13. “তোমার চোখে জল, কেন বলতো?”—শ্রোতার চোখে জল আসার কারণ কী?

Ans: বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাজিক জীবনের কথা শুনে শ্রোতা কালীনাথের চোখে জল এসেছিল।


14. “রাজনীতি বড়ো কূট।”—এ কথা কে বলেছিলেন?

Ans: ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেবের উক্তি। তবে নানা রঙের দিন’ নাটকে উত্তিটি রজনীকান্ত চাটুজ্জের গলায় শোনা গেছে।


15. “সম্রাট নন্দিনী! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?”—কোন্ নাটকে, কার সংলাপ?

Ans: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘রিজিয়া’ নাটকে বক্তিয়ারের সংলাপ।


16. ’নানা রঙের দিন’ নাটকটি কোন্ বিদেশি নাটকের অনুকরণে রচিত?

Ans: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি অন্তন চেকভের ‘দ্য সোয়ান সভ্ নাটকের অনুকরণে রচিত।


17. “কাম অন, কুইক! মহম্মদের ক্যাচটা দাও তো।”—কে মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন?

Ans: প্রম্পটার কালীনাথ মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন।


18. “চাকরিটি ছেড়ে দিলাম।” বক্তা কীসের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন?

Ans: বক্তা (রজনীকান্ত) পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।


19. “কোনো জবাব আছে?”—কোন্ কথার জবাব?

Ans: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেই নিজেকে বলেছেন—‘রজনীবাবু অনেক তো বয়েস হল, এবার মদ খাওয়াটা ছাড়ুন| এই জবাবের কথাই এখানে বলা হয়েছে।


20. “বুকটা ভীষণ কাঁপছে”—কার বুক, কেন কাপছিল? 

Ans: নানা রঙের দিন’ নাটকে অতিরিক্ত মদ্যপানে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন। তাই তাঁর বুক কাপছিল।


21. ’নানা রঙের দিন’ নাটকে প্রম্পটার কালীনাথের পোষাক কেমন ছিল?

Ans: কালীনাথের পরনে ছিল ময়লা পাজামা আর গায়ে কালো চাদর


22. “মরে যাব তবু ভুলব না।” –বা কী ভুলবেন না? Ans: যে মেয়েটি অভিনয় দেখে রজনীবাবুকে ভালোবেসেছিল, বক্তা তাঁর কথা ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন।


23. “আমি ওকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।”—বক্কা কাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন?

Ans: যে মেয়েটি অভিনয় দেখে রজনীবাবুকে ভালোবেসেছিল, বক্তা তাঁকেই স্মৃতির সরণিতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন।


24. “সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম…” –বক্তা কী বুঝেছিলেন?

Ans: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বুঝেছিলেন যে, ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’—এই কথা যারা বলে তারা সব গাধা, তারা সব মিথ্যা কথা বলে।


25. “মরা হাতি সোয়া লাখ।”—কার সম্পর্কে, কোন্ প্রসঙ্গে এমন প্রবাদ প্রয়োগ করা হয়েছে?

Ans: বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর অভিনয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।


26. “দু-বার তো স্পষ্ট শুনেছি।”— বক্কা কী শুনেছিলেন?

Ans: বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় দিলদার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের সাতটা হাততালি পেয়েছিলেন। তার মধ্যে দুবার তিনি সেই হাততালি শুনতে পেয়েছিলেন।


27. “আপনার পায়ে ধরছি।”—বক্তা কেন, কার পায়ে ধরেছিল?

Ans: বক্তা কালীনাথের শোয়ার জায়গা নেই বলে রাত্রিতে গ্রিনরুমে ঘুমায়। এ কথা মালিকের কানে না তোলার জন্য কালীনাথ রজনীবাবুর পায়ে ধরে অনুরোধ করেছিল।


28. “আমারও আর কিছু ভালো লাগত না” –বক্তার কিছু ভালো না লাগার কারণ কী?

Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কিছু ভালো না লাগার কারণ হল যে, নাট্যশিল্পকে তিনি জীবনের মূল স্তম্ভ হিসেবে আঁকড়ে ধরেছেন সেই নাট্যশিল্পের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা মেকি বলে অনুভূত হওয়া।


29. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রারম্ভে মঞ্জুসজ্জার কীরকম বর্ণনা দেওয়া আছে?

Ans: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রারম্ভে মঞ্চের পিছনে ছিল অভিনীত নাটকের অবশিষ্ট দৃশ্যপট, জিনিসপত্র আর যন্ত্রপাতি। মঞের মাঝখানে একটি টুল ওলটানো অবস্থায় দেখা যায়। সময় ছিল অন্ধকারময় রাত্রি।


30. “কাম অন, কুইক। মহম্মদের ক্যাচটা দাও তো”– মহম্মদ কে? কে মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন?

Ans: মহম্মদ এক ঐতিহাসিক চরিত্র, ঔরঙ্গজেবের পুত্র। মা। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ‘সাজাহান’ নাটকে চরিত্রটির উল্লেখ আছে। মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন।


31. “তারপর সেসব দিনও যেন কবে—কেমন করে ফুরিয়ে গেল,”—এখানে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

Ans: অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয় জীবনে পদার্পণের পর প্রভূত খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জন করেন। অভিনয় জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে যখন রজনীকান্ত এই মেকি মর্যাদা লাভ করেন, সেই সময়ের কথা, সেই দিনগুলির কথাই এখানে বলা হয়েছে।


32. রজনীকান্ত যে মেয়েটিকে ভালোবেসেছিলেন, সে কোন্ শর্তে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল?

Ans: থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার শর্তে সে তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.