সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - আমার বাংলা উচ্চমাধ্যমিক

ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - আমার বাংলা উচ্চমাধ্যমিক

নিচে ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


ছাতির বদলে হাতি - সুভাষ মুখোপাধ্যায়


"ছাতির বদলে হাতি" গদ্যাংশটি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'আমার বাংলা' নামক পূর্ণ সহায়ক গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

"ছাতির বদলে হাতি" গদ্যাংশটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। আশা করি এগুলো তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।


সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছাতির বদলে হাতি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - আমার বাংলা উচ্চমাধ্যমিক


১। “ এদিকে আর এক রকমের প্রথা আছে নানকার প্রথা।” — নানকার প্রথা কী ? পরে তাদের অবস্থার কী পরিবর্তন হয়েছিল ? 

Ans: বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের ‘ ছাতির বদলে হাতি ’ রচনায় উল্লিখিত ‘ নানকার প্রথা ’ হল জমিতে অধিকারহীন প্রজাদের খাজনা দানের রীতি। 

মৈমনসিংহের নিকটস্থ গারাে পাহাড় - সংলগ্ন অঞ্চলে একশ্রেণির কৃষকদের ‘ নানকার ’ বলে উল্লেখ করা হত। এই নানকারদের জমির ওপর কোনাে স্বত্ব ছিল না। জমির কোনাে ফসল ফলপাকুড়ের ওপর তাদের অধিকার ছিল না। অথচ জমি জরিপের পর তাদের সেই জমির ওপর আড়াই টাকা পর্যন্ত খাজনা দিতে হত। 

খাজনা দিতে না পারলে তহশিলদার কাছারিতে ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের তাদের প্রহার করত। পিছমােড়া করে বেঁধে তাদের মালঘরে আটকে রাখা হত। নানকারদের কাছ থেকে কর্জ স্বরূপ এক মণে দু - মণ সুদ আদায় করা হত। অনাদায়ে তাদের সব সম্পত্তি ‘ খাস ’ অর্থাৎ বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ার রীতি ছিল। 

পরবর্তীকালে গারাে পাহাড় অঞ্চলের নওয়াপাড়া, দুমনাকুড়া, ঘােষ পাড়া বা ভুবনকুড়া অঞ্চলের ডালু চাষিরা তাদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন হয়েছে। তাদের সংগঠিত প্রতিবাদ ও জমিদারের খামারে ধান না - তুলতে চাওয়ার জেদের কাছে জমিদার ও তার লেঠেল বাহিনী শেষপর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেছে। 

মূলত কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে নানকার প্রজারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে গাঁতা করে অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে চাষাবাদ শুরু করে। আত্ম সচেতন কর্মী এই মানুষগুলিকে পুলিশ বা তথাকথিত ভদ্রলােকেরা আর অশ্রদ্ধা বা অসম্মান করে না। 

তারাও অনেকখানি সভ্য হয়েছে। তারা আগে গুরুজনদের সামনে। বসে মদ্যপান করলেও, বর্তমানে এটি তাদের কাছে খুবই লজ্জাজনক বিষয়।


২। ' চেংমানের চোখ কপালে উঠল ’ — চেংমান কে ? কেন তার চোখ কপালে উঠেছিল ? 

অথবা,

‘চেংমানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। '--- চেংমান কে ? কেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল ?  

Ans: সুভাষ মুখােপাধ্যায় রচিত ‘ ছাতির বদলে হাতি ’ গদ্যাংশে চেংমান হলাে গারাে পাহাড়ের নীচের এক গাঁ থেকে হালুয়াঘাট বন্দরে সওদায় আসা এক গারাে চাষি। 

সওদায় এসে ফেরবার সময় প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আটকে পড়ে চেংমান। দিন গড়িয়ে রাত নামলেও বৃষ্টি থামবার কোনাে লক্ষণই দেখা যায় না। এদিকে চেংমান বাড়ি না ফিরলে বাড়িতে হাঁড়িও চড়বে না। এমত অবস্থায় মহাজন তাকে একটি নতুন ছাতা দেয় বাড়ি ফিরবার জন্য। 

প্রথমে নিতে অস্বীকার করলেও পরিস্থিতির চাপে পড়ে চেংমানকে ছাতা নিতেই হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সুদে আসলে একটা ছাতার দাম হাজার টাকা শুনেই চেংমানের চোখ কপালে ওঠে।। সহজ - সরল গ্রামের চাষিদের কি সাংঘাতিকভাবে ঠকিয়ে সর্বস্বান্ত করত অর্থলােভী মহাজনরা তার মর্মস্পর্শী পরিচয় আমরা পাই এই গল্পে। লেখকের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, আরও অনেক মানুষের এইভাবে সর্বস্বান্ত হওয়ার কাহিনি।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.