শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF.
নিচে শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য পোস্টে শব্দার্থতত্ত্বর গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
শব্দার্থতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
প্রশ্ন: শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটি আলোচনা করো।
Ans: ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হলো শব্দার্থতত্ত্ব। শব্দের অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে এই শাখাতে আলোচনা করা হয়। শব্দার্থ নিরূপনের যেক’টি পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী বাক্য শুধু শব্দসমষ্টি নয়, তা হলো অর্থবহ শব্দের সমষ্টি।
সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বে একটি বাক্যের অর্থ কে বাস্তব জগতের নিরিখে বিচার করা হয়। যদি সেই বাক্যটি বাস্তব জগতে সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবেই সেটি ‘সত্য’ বলে বিবেচিত হবে, নতুবা সেটিকে ‘মিথ্যা’ বলা হবে। যেমন-
শিক্ষক ছাত্র পড়ায়।
ছাত্র শিক্ষক পড়ায়।
উপরের দুটি বাক্যে একই শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু তাদের বিন্যাস ভিন্ন প্রকৃতির এবং সেইজন্য তাদের অর্থও ভিন্ন ভিন্ন। প্রথম বাক্যটির অর্থ বাস্তব জগতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই এটি সত্য এবং দ্বিতীয় বাক্যটি মিথ্যা।
সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব শুধুমাত্র চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরে না, বাক্যের আক্ষরিক অর্থকে প্রাকৃতিক জগতের মানদন্ডে বিচার করে তার সত্যতা নিরূপণ করে। যেমন- “আকাশ থেকে বৃষ্টির বারিধারা মাটিতে নেমে আসে”- এই বাক্যটি চিরন্তন সত্য। কিন্তু যদি বলা হয় “এখন বৃষ্টি পড়ছে”, তবে এই বাক্যের সত্যতা নির্ভর করবে যখন এটি বলা হচ্ছে সেই সময় সত্যিই বৃষ্টিপাত হচ্ছিল কিনা তার ওপর।
শব্দার্থতত্ত্বের আলোচনায় সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভাষার অস্পষ্টতা দূরীকরণে এই তত্ত্ব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রশ্ন: শব্দার্থ পরিবর্তনের স্বরূপ আলোচনা কর।
Ans: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের অর্থেরও পরিবর্তন ঘটে। শব্দার্থের এই পরিবর্তন শব্দার্থতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। মূলত তিনটি ধারাতে শব্দার্থের এই পরিবর্তন সাধিত হয়। সেগুলি হল-
১) শব্দার্থের প্রসার: একটি শব্দ আদিতে যে অর্থ প্রকাশ করত বর্তমানে যদি তার থেকে ব্যাপকতর কোন অর্থ প্রকাশ করে থাকে তবে শব্দার্থতত্ত্বের আলোচনায় সেটিকে শব্দার্থের প্রসার বলে গণ্য করা হয়। যেমন, আগে ‘কালি’ বলতে কালো রঙের তরল পদার্থকে বোঝাত কিন্তু বর্তমানে কালো ছাড়াও লাল, নীল, সবুজ প্রকৃতি সকল রঙের তরলকেই কালি বলা হয়।
২) শব্দার্থের সংকোচ: একটি শব্দ আদিতে যে অর্থ প্রকাশ করত বর্তমানে যদি সেই অর্থের ব্যাপকতা হ্রাস পায় তবে শব্দার্থ তত্ত্বের আলোচনায় সেটিকে শব্দার্থের সংকোচ হিসাবে গণ্য করা হয়। যেমনঃ ‘অন্ন’ শব্দের আদি অর্থ ছিল খাদ্য কিন্তু বর্তমানে অন্ন বলতে কেবলমাত্র ভাতকেই বোঝায়।
৩) শব্দার্থের রূপান্তর: অনেক সময়ই শব্দের অর্থ এইভাবে পরিবর্তিত হয় যে বর্তমান রূপ দেখে তার আগের অর্থ বোঝা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এই ধরণের পরিবর্তনকে শব্দর্থের রূপান্তর বলা হয়। যেমনঃ ‘দারুণ’ শব্দের আদি অর্থ কাষ্ঠনির্মিত কিন্তু বর্তমানে ‘দারুণ’ বলতে বোঝায় অত্যন্ত।
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box