রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF.
নিচে রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য পোস্টে রূপতত্ত্বর গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
রূপতত্ত্ব রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
প্রশ্ন: ‘রূপমূল’ কাকে বল? উদাহরণসহ ‘স্বাধীন’ ও ‘পরাধীন’ রূপমূলের পরিচয় দাও।
Ans: রূপতত্ত্বের প্রধান আলোচনার বিষয় হল রূপ। ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক হল রূপ। রূপের দুরকম পরিচয় বর্তমান- একটি হল রূপমূল এবং অপরটি হল সহরূপ। ভাষায় ব্যবহৃত ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকেই বলা হয় রূপমূল। প্রসঙ্গত বলা যায়, রূপমূলের বিকল্পগুলিকে বলা হয় সহরূপ।
স্বাধীন ও পরাধীন রূপমূল
রূপমূলকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১) স্বাধীন রূপমূল: যে রূপমূলগুলি ভাষায় স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তাদেরকে স্বাধীন রূপমূল বলা হয়। অন্যভাবে বললে, যেসকল রূপমূল বাক্যে ব্যবহার করতে গেলে অন্য কোনো রূপমূলের উপর নির্ভর করতে হয় না, তাদেরকে স্বাধীন রূপমূল বলে।
২) পরাধীন রূপমূল: যে রূপমূলগুলি ভাষায় স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, বরং কোনো স্বাধীন রূপমূলকে অবলম্বন করে ভাষায় ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে পরাধীন রূপমূল বলা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, /ছেলেটি/ এই শব্দটিতে দুটি রূপমূল রয়েছে- {ছেলে} এবং {টি}। {ছেলে} হল স্বাধীন রূপমূল এবং {টি} হল পরাধীন রূপমূল। কারণ, {ছেলে} রূপমূলটি ভাষায় নানাভাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং সর্বদাই এককভাবে ব্যবহৃত হতে পারবে। যেমন- ‘রামবাবুর ছেলে বিদেশে থাকে’, ‘তার ছেলে ডাক্তার’ ইত্যাদি। কিন্তু {টি} রূপমূলটি যখনই ভাষায় প্রয়োগ করা হোক সর্বদাই একটি স্বাধীন রূপমূলকে (যেমন, এখানে ‘ছেলে’-কে) অবলম্বন করে বাক্যে ব্যবহৃত হবে।
প্রশ্ন: রূপমূলের শ্রেণীবিভাগ কর। এই প্রসঙ্গে নিষ্পাদক রূপমূল সম্পর্কে আলোচনা কর।
Ans: রূপতত্ত্ব অনুযায়ী রূপমূল প্রধানত দু’রকমের-
১) স্বাধীন রূপমূল,
২) পরাধীন রূপমূল
এই দুই প্রকার রূপমূলকেই আবার আভিধানিক এবং ব্যাকরণসম্মত – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এইভাবে রূপমূলকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা-
১) স্বাধীন আভিধানিক,
২) স্বাধীন ব্যাকরণসম্মত,
৩) পরাধীন আভিধানিক এবং
৪) পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল।
পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূলকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ১) সমন্বয়ী রূপমূল এবং ২) নিষ্পাদক রূপমূল।
নিষ্পাদক রূপমূল: নিষ্পাদক শব্দের অর্থ হল যা নতুন পদ গঠন করে। উপসর্গ এবং প্রত্যয়- এই দুই ধরণের রূপমূল কোনো পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে, এইজন্য এদেরকে বলা হয় নিষ্পাদক রূপমূল। যেমন-
প্ৰ (উপসর্গ)+শান্ত (পদ)= প্রশান্ত (নতুন পদ)
কু(উপসর্গ)+কাজ (পদ)=কুকাজ(নতুন পদ)
শ্রী (পদ)+ মান (প্রত্যয়)= শ্রীমান (নতুন পদ)
ধন(পদ) + বান(প্রত্যয়)= ধনবান (নতুন পদ)
প্রশ্ন: সমন্বয়ী রূপমূল এবং নিষ্পাদক রূপমূল বলতে কী বোঝো? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
Ans: রূপতত্ত্ব অনুযায়ী রূপমূল প্রধানত দু’রকমের-
১) স্বাধীন রূপমূল
২) পরাধীন রূপমূল
এই দুই প্রকার রূপমূলকেই আবার আভিধানিক এবং ব্যাকরণসম্মত – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এইভাবে রূপমূলকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা- ১) স্বাধীন আভিধানিক, ২) স্বাধীন ব্যাকরণসম্মত, ৩) পরাধীন আভিধানিক এবং ৪) পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল।
পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূলকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সমন্বয়ী রূপমূল এবং নিষ্পাদক রূপমূল।
সমন্বয়ী রূপমূল: সাধারণত বিভক্তিকে বলা হয় সমন্বয়ী রূপমূল। কোনো শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হলে এমনভাবে মিশে যায় যে আর সেটিকে পৃথক করা যায় না এবং একবার বিভক্তি ব্যবহৃত হলে তারপরে আর কোনো রূপ বসতে পারেনা। এজন্য বিভক্তিকে সমন্বয়ী রূপমূল বলে। যেমন- ‘রাম’ শব্দটির সঙ্গে ‘এর’ বিভক্তি যোগ করলে হয় ‘রামের’, কিন্তু ‘রামের’ শব্দটির সঙ্গে আর কোনো বিভক্তি যোগ হবে না।
নিষ্পাদক রূপমূল: উপসর্গ এবং প্রত্যয় অন্য পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে, এইজন্য এদেরকে বলা হয় নিষ্পাদক রূপমূল।
যেমন- প্ৰ (উপসর্গ) + শান্ত (পদ)= প্রশান্ত (নতুন পদ)
শ্রী (পদ)+ মান (প্রত্যয়)= শ্রীমান (নতুন পদ)।
প্রশ্ন: রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাস কয় প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে আলোচনা কর।
Ans: বাংলা ব্যাকরণের সমাস বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞানের রূপতত্ত্ব শাখাটির অন্তর্গত। প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণে সমাস সাত বা আট প্রকারের হলেও রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাস তিন প্রকার। সেগুলি হল-
১) দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে দুই বা তার বেশি পদ পাশাপাশি বসে একটি নতুন পদ গঠন করে এবং যে পদ গুলি নতুন পদটি গঠন করল তাদের নিজস্ব অর্থ বজায় থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন, ছেলে-মেয়ে, রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ ইত্যাদি।
২) ব্যাখ্যানমূলক সমাস: যে সমাসে পাশাপাশি বসা দুটি পদের প্রথমটি দ্বিতীয়টিকে ব্যাখ্যা করে তাকে ব্যাখ্যানমূলক সমাস বলে। যেমন- শ্বেতপদ্ম, মহারাজা, বিদ্যালয় ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু সমাস ব্যাখ্যানমূলক সমাসের অন্তর্ভুক্ত।
৩) বর্ণনামূলক সমাস: যে সমাসে সমাসজাত নতুন পদটি সমাস-গঠনকারী পদগুলির অর্থকে না বুঝিয়ে নতুন কোন অর্থ বোঝায়, তাকে বর্ণনামূলক সমাস বলে। প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের বহুব্রীহি সমাসকেই বর্ণনামূলক সমাস বলা হয়। উদাহরণ- দশানন, দিগম্বর ইত্যাদি।
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box