অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ

ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF

ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ

নিচে ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ


আলোচ্য পোস্টে ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


ভাষা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ


প্রশ্ন: ভাষাবিজ্ঞানের শাখা হিসাবে মনোভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। ৫

Ans: ভাষা হল মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। সুতরাং ভাষার সঙ্গে মনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় মানুষের মন এবং তার ভাষা-ব্যবহার সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করে তাকেই মনোভাষাবিজ্ঞান (Psycholinguistic) বলা যেতে পারে।

এক সময় মনে করা হত যে মানুষ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে অনুকরণের মাধ্যমে ভাষাশিক্ষা লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে নোয়াম চমস্কি বললেন মানবমস্তিষ্কে সহজাতভাবেই থাকে ভাষা শিক্ষার সামর্থ্য। মানবমস্তিষ্কে প্রি-প্রোগ্রামড অবস্থায় রয়েছে একটি সার্বজনীন ব্যাকরণ, যার সাহায্যে শিশু অনুকরণের মাধ্যমে যেকোনো ভাষা আয়ত্ত করতে পারে।

বিষয় হিসেবে এটি অনেকগুলি ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। যেমন- মনোবিদ্যা, ভাষাবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা প্রভৃতি। তবে, মনোভাষাবিজ্ঞান সাধারণত এই প্রশ্নগুলির উত্তর নির্ধারণের চেষ্টা করে-

(১) শিশুরা কীভাবে ভাষা আয়ত্ত করে? (বিষয়- ভাষা অর্জন বা Language acquisition);

(২) মানুষ কীভাবে ভাষা উপলব্ধি করে? (বিষয়- ভাষার বোঝাপড়া বা language comprehension);

(৩) মানুষ কীভাবে ভাষা তৈরি করে? (বিষয়- ভাষা উৎপাদন বা language production);

(৪) যারা ইতিমধ্যে একটি ভাষা জানে তারা কীভাবে অন্য ভাষা অর্জন করতে পারে? (বিষয়- দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা বা Second language comprehension)।


প্রশ্ন: ভাষাবিজ্ঞানের ফলিত শাখা হিসেবে অভিধানবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫

Ans: ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম বিভাগ হল অভিধানবিজ্ঞান বা Lexicography। ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটি অভিধান রচনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। সাধারণভাবে অভিধান বলতে বোঝায় শব্দার্থকোষ, আর অভিধান বিজ্ঞান হল অভিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা। অভিধান হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি সংযোগমূলক বিভাগ (Liaison divission) কারণ, অভিধানে ভাষার ধ্বনি ও অর্থের মধ্যে সংযোগ ব্যাখ্যা করা হয়।

অভিধান রচনার ধারাটি বেশ প্রাচীন। ত্রয়োদশ শতকে অভিধান বোঝাতে জন গারল্যান্ড প্রথম Dictionarius শব্দটি ব্যবহার করেন। Dictionary শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার টমাস এলিয়েটের লাতিন-ইংরেজি অভিধানে। যাস্কের লেখা ‘নিরুক্ত’ গ্রন্থটি ভারতের প্রথম অভিধানের মর্যাদা পায়।

আদর্শ অভিধানের গঠন: একটি আদর্শ অভিধানে শব্দের তিনটি স্তর থাকে-  ১) শব্দের গঠনগত স্তর, ২) অন্বয়গত স্তর এবং ৩)বাগার্থগত স্তর। তৃতীয় স্তরে অর্থাৎ বাগার্থগত স্তরে প্রতিটি শব্দের বিভিন্ন সমার্থক শব্দ দেওয়া থাকে।

অভিধান অনেক রকমের হতে পারে। একভাষিক ও দ্বিভাষিক অভিধান বেশি ব্যবহৃত হয়। একভাষিক অভিধানে একটি ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয় এবং সেই শব্দের একাধিক সমার্থক শব্দের উল্লেখ থাকে। দ্বিভাষিক অভিধানে একটি ভাষার শব্দকে অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয় এবং উক্ত ভাষায় সেই শব্দের সমার্থক শব্দ দেওয়া থাকে।


প্রশ্ন: ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে আলোচনা কর। ৫

Ans: মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হল ভাষা। আর, ভাষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানসম্মত আলোচনাকে ভাষাবিজ্ঞান বলা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের পরিধি যেমন ব্যাপক সেইরকম এর আলোচনা পদ্ধতিও অনেকগুলি। প্রধানত তিনটি শাখায় ভাষাবিজ্ঞানের চর্চা হয়। যথা-

তুলনামুলক ভাষাবিজ্ঞান: স্যার উইলিয়াম জোনস প্রথম তুলনামুলক পদ্ধতিতে ভাষাবিজ্ঞান চর্চার সুত্রপাত করেন (১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে)। বহু ভাষাবিদ স্যার জোন্স লক্ষ্য করেন যে গ্রিক, ল্যাতিন, সংস্কৃত, ফরাসি প্রভৃতি ভাষা গুলির মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। এর থেকে তিনি সিধান্তে আসেন যে, এই সব কটি ভাষার উৎস একই ভাষা। বস্তুতপক্ষে, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের প্রধান কাজ হল সমগোত্রীয় ভাষাগুলির মধ্যে সাদৃশ্য নিরূপণ করা।

ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান: একটি নির্দিষ্ট ভাষার বিবর্তনের নানা স্তর নিয়ে আলোচনা করে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। ভাষার বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ে একটি ভাষার বিভিন্ন রূপভেদ নিয়ে ব্যাখা দেয় ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। যেমন- বৈদিকভাষা থেকে সংস্কৃত, সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্টঠ স্তর পেরিয়ে কীভাবে বাংলা ভাষার জন্ম হল এবং প্রতিটি স্তরের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য কী কী- এসবেই ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়।

বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান: ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার নবীনতম শাখা হল বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান । একটি ভাষার বর্তমান রূপকে নিয়ে বিভিন্ন দিক আলোচনা করাই হল বর্ণনা মূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। এর অনেক গুলি শাখা রয়েছে, যথা- ধ্বনি বিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, শব্দার্থতত্ত্ব, প্রভৃতি। আধুনিক কালের বর্ণনা মূলক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনা পৃথিবীর সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।


প্রশ্ন: শৈলীবিজ্ঞান বলতে কি বোঝ। ৫

Ans: শৈলী কথাটি এসেছে ইংরেজি STYLE শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে । Style বা শৈলীর  অর্থ হল কোন রচনা বা রচনাকারের স্বকীয়তা। শৈলী বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগমূলক বিজ্ঞান। শৈলী বিজ্ঞানের সংজ্ঞা সম্পর্কে বলা হয়েছে – Stylistics is the study and interpretation of texts in regard to their linguistic and tonal style অর্থাৎ কোনো লেখক বা সাহিত্যিকের পাঠ্যবস্তুর ভাষারীতি এবং বাচনভঙ্গি শৈলীবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয়বস্তু।

যেকোনো লেখার ভিত্তি হল ভাষারীতি। স্যামুয়েল ওয়েসলি ভাষারীতি কে বলেছেন ‘চিন্তার পোশাক’ (Dress of thought)। এর অর্থ একজন লেখক তার চিন্তাভাবনাকে যেভাবে সাজিয়ে ভাষার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে তাই হল ভাষারীতি।

শৈলী নির্ধারণের মাপকাঠি বিভিন্ন রকম হলেও শৈলীকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

(১) মূল্যায়ন ভিত্তিক

(২) বর্ণনা মূলক।

মূল্যায়ন ভিত্তিক শৈলী হল কোন লেখার শৈলী বা Style-র বৈশিষ্ট্যগুলির উপর আলোকপাত করা। আর বর্ণনামূলক শৈলী হল কোনো লেখকের লেখনশৈলীর বিবরণ দেওয়া। প্রথমটি থেকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শরৎচন্দ্রের লেখনশৈলীর পার্থক্য নিরূপণ করা যায়। আবার, রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ এবং শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস দুটির লেখনশৈলীর পার্থক্য নির্ণয় করা যাবে বর্ণনামুলক শৈলীর মাপকাঠিতে। ইদানিং কালে শৈলীবিজ্ঞান আলোচনার পরিধি ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।


প্রশ্ন: স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান বলতে কি বোঝ। ৫

Ans: ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান। ভাষাশিক্ষা এবং ভাষার ব্যাবহারে মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভাষার সঙ্গে মানবমস্তিষ্কের সম্পর্ক এবং ভাষার ব্যবহারগত সমস্যা- এই দুটি হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয়। মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ বলা, লেখা, পড়া, গণনা, বিশ্লেষণ এবং চিত্রণের কাজ করে থাকে। মস্তিষ্কের ডান  গোলার্ধ সামগ্রিক বিকাশ, অভাষা-প্রস্তুতি, রোমন্থন প্রভৃতি কাজ করে থাকে। কার্যগত দিক থেকে মস্তিষ্কের সমগ্র অংশ ভাষা ব্যবহারে ভূমিকা গ্রহণ করে।

মস্তিষ্কে আঘাত পেলে মানুষের ভাষা দক্ষতা অনেকখানি হ্রাস পায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ভাষা ব্যবহারের সমস্যা এবং স্নায়বিক বিক্ষোভের চর্চায় স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে গবেষণা অনেক নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এই বিষয়টির প্রয়োগ ক্রমশ বৃধি পাচ্ছে। Functional Magnetic Resonance Imaging (FMRI) যন্ত্রের ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যবহারিক চিত্র পওয়া যায়।

সাধারণ ভাবে বলতে গেলে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান হল বৌদ্ধিক স্নায়ুবিজ্ঞানের একটি শাখা যা মানবশরীরের ভাষার প্রকৃতি ও গঠনগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করে। শুধুমাত্র ভাষা নিয়েই চর্চা না করে তার সঙ্গে ভাষার ব্যবস্থাগত চলন, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং কোষীয় শাখার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। মস্তিস্কে ভাষার Encoding-Decoding নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয়। সেই নিয়মে মানুষ ভাষা ব্যবহার করে এবং বুঝতে পারে। স্নায়ু ভাষা বিজ্ঞান এই দিকটির উপরও আলোকপাত করে।


প্রশ্ন: বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বোঝ? এর যেকোনো দুটি শাখা নিয়ে আলোচনা কর।

Ans: ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা- ১) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ২) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান এবং ৩) বর্ণনামূলক বা সমকালীন ভাষাবিজ্ঞান। এদের মধ্যে বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের পরিধি সবচেয়ে ব্যাপক এবং বিস্তৃত।

বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান: কোনো একটি ভাষার বর্তমান রূপ নিয়ে আলোচনা করাই হলো বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। এর ৫ টি শাখা রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে-

১) ধ্বনিবিজ্ঞান

২) ধ্বনিতত্ত্ব

৩) রূপতত্ত্ব

৪) বাক্যতত্ত্ব এবং

৫) শব্দার্থতত্ত্ব

এই পাঁচটি বিষয়কে ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। নীচে দুটি শাখা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করলাম।

ধ্বনিতত্ত্ব: ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থহীন একক হল ধ্বনি। প্রকৃতিগত বিচারে ধ্বনি দু’রকমের হতে পারে- এক) ধ্বনিমূল, দুই) সহধ্বনি। ধ্বনিতত্ত্বের কাজ হল কোন একটি ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি নির্ধারণ করা।

রূপতত্ত্ব: ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক হল রূপ। রূপতত্ত্ব একটি নির্দিষ্ট ভাষার রূপমূল এবং সহরূপ নিয়ে আলোচনা করে। প্রচলিত ব্যাকরণের পদগঠন সংক্রান্ত আলোচনাটি রূপতত্ত্বের অন্তর্গত।


প্রশ্ন: সমাজভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

Ans: ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি ভাষার উপর সমাজের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান (বা, Socio Linguistics) বলে। অন্যভাবে বললে, ভাষা এবং সমাজের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি আলোচনা করে তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান বলা হয়।

সমাজভাষাবিজ্ঞানকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল-

 ১) বর্ণনামূলক সমাজভাষাবিজ্ঞান (Descriptive Socio-linguistics):- বক্তা, শ্রোতা এবং কথা বলার উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষা ব্যবহারের যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় সেটিই বর্ণনামূলক সমাজভাষাবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

 ২) পরিবর্তমান সমাজভাষাবিজ্ঞান (Dynamic Socio-linguistics):- ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটির কাজ হল কোন একটি বিশেষ সমাজে ভাষার উদ্ভব, বিবর্তন, প্রসারণ ও সংকোচনের উপর আলোকপাত করা। দ্বিভাষিকতা, ভাষার সংরক্ষণ, পিজিন, ক্রেওল প্রভৃতি বিষয় এর আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।

 ৩) প্রয়োগমূলক সমাজভাষাবিজ্ঞান (Applied Socio-linguistics):- ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটির কাজ হল মূলতঃ ভাষা শেখানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করা এবং ভাষানীতি রূপায়ণ করা।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.