অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর - Aloukik SAQ Question Answer

অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় Aloukik SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর PDF

অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর - Aloukik SAQ Question Answer

নিচে অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। Aloukik SAQ Question Answer PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।



অলৌকিক - কর্তার সিং দুগগাল


আলোচ্য পোস্টে কর্তার সিং দুগগাল এর ‘অলৌকিক’ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত SAQ প্রশ্নোত্তর - Aloukik SAQ Question Answer


1. গুরু নানক ও শিষ্য মর্দানা যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল পার হচ্ছিলেন তখন সেখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ কেমন ছিল?

Ans: গুরু নানক ও মর্দানা যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল পার হচ্ছিলেন তখন প্রচণ্ড গনগনে রোদের তাপে চারপাশের গাছপালা শুকিয়ে গিয়েছে, ধু-ধু বালি আর বড়ো বড়ো পাথরের চাঁই পড়েছিল চারিদিকে।


2. শিষ্য মর্দানার জল পিপাসা পেলে গুরু নানক তাকে কী বলেন?

Ans: গুরু নানক মর্দানাকে অপেক্ষা করতে বললেন এবং আশ্বাস দিলেন যে পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে।


3. মর্দানার কাকুতিমিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন কেন?

Ans: গুরু নানক এই ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন যে কাছেপিঠে কোথাও জল নেই অথচ মর্দানা এক-পাও এগোতে চাইছে না, আর এরকম অবস্থা হলে সবাইকে ঝামেলায় পড়তে হবে।


4. গুরু নানক ধ্যানে বসলেন কেন?

Ans: মর্দানা গুরুর আশ্বাসবাক্যে সম্মত না হয়ে জল না পেলে এক-পাও নড়বে না বলে বসে পড়ল। পরিস্থিতি দেখে গুরু ধ্যানে বসলেন মর্দানার কষ্ট দূর করার জন্য।


5. “ওর কাছে জল পেতে পার।” কার কাছে? জলের প্রয়োজন হয়েছিল কেন?

Ans: পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। তার কাছেই জল আছে| মর্দানার তেষ্টা মেটাবার জন্য জলের প্রয়োজন হয়েছিল |


6. ”“দৃশ্যটা দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই গুরু নানক শান্ত স্বরে জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিতে বলেন।” –‘দৃশ্য’-টা কী?

Ans: গুরু নানকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলী কান্ধারী পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি পাথরের চাঙড় নীচের দিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পাথরের চাঙর নানকের ওপর পড়লে তিনি মারা যাবেন। এখানে পাথর ফেলার দৃশ্যটিকেই নির্দেশ করা হয়েছে |


7. “তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বললেন।” —পাথরটা তোলার পর কী দেখা গিয়েছিল?

Ans: পাথরটি তোলার পর তার তলায় ঝরনার জল দেখা গিয়েছিল |


8. “আমার চোখে জল।” –বক্তার চোখে কেন জল এল?

Ans: যারা জীবনের পরোয়া না করে ট্রেন থামিয়ে খিদে তেষ্টায় কাতর দেশবাসাঁকে রুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল, এখানে বক্তা তাদের জন্য তাঁর চোখের জলকে উৎসর্গ করেছেন।


9. “খালপারের সেতুটির দিকে রক্তের স্রোত।” –কী কারণে রক্তের স্রোত দেখা গিয়েছিল?

Ans: ট্রেন থামানোর জন্য যারা লাইনের ওপর শুয়ে পড়েছিল, তারা সবাই কাটা পড়েছিল ট্রেনের চাকায়। এই কারণেই রত্তোর স্রোত দেখা গিয়েছিল।


10. “আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি।” —কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?

Ans: বক্তার মা ঘুরতে গিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে দেখলেন ভয়ানক গরম, গনগনে রোদ, চারিদিক সুনশান | পাথরের চাই আর ধু ধু বালি, ঝলসে যাওয়া গাছ। চারিদিক জনহীন। এই গল্পে পরের অংশ শুনতে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।


11. “চোখ খুলে দেখি” –বক্কা চোখ খুলে কী দেখেছিলেন?

Ans: বক্তা চোখ খুলে দেখেছিলেন ট্রেনটা তার মাথার কাছে এসে থেমে গেছে। বাকিরা সব ট্রেনের চাকায় কাটা পড়েছে |


12. “আমার চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছা করত।”– কী কারণে বক্তার চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছা হত?

Ans: বলী কান্ধারী ক্রুদ্ধ হয়ে পাহাড়ের চূড়া থেকে গুরু নানকের দিকে একটা পাথরের চাঙর গড়িয়ে দিয়েছিলেন। গুরু নানক নাকি সেই চাঙরকে থামিয়ে দিয়েছিলেন। এই গল্প শুনে বক্তার বিশ্বাসই হত না যে পাথর কেউ থামাতে পারে। এই কারণেই চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছা করত।


13. “মর্দানা শুনেই ছুটে গেল।” – কোথায় ছুটে গেল?

Ans: মর্দানা বলী কান্ধারীর কাছে জলের জন্য ছুটে গেল।


14. “বিশ্বাস হল না।” –কী বিশ্বাস হল না?

Ans: হাত দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথর থামানোর গল্পটি বিশ্বাস হল না।


15. “সারাটা পথ ধরে মা কেঁদেছিল।” – কান্নার কারণ কী?

Ans: পাঞ্জাসাহেবে সাকা হয়েছে শুনে কথকের মা খুব কেঁদেছিল


16. “খবরটা পেয়ে সবাই খুব উত্তেজিত।” –কোন্ খবর?

Ans: ক্ষুধার্ত কয়েদিদের নিয়ে ট্রেন কোথাও থামবেনা। এই খবরে সবাই উত্তেজিত হয়েছিল।


18. বলী কাদ্ধারী কেন গুরু নানক ও মর্দানার দিকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন?

Ans: গুরুর নির্দেশে মর্দানা পাথরের চাঙড় তোলায় যখন জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে ঠিক তখনই বলী কান্ধারীর কুয়োর জল শূন্য হয়ে যায়। তাই বলী কান্ধারী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দিকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন।


19. হাসান আব্দালের নাম পাঞ্জাসাহেব’ হল কেন?

Ans: ক্ষিপ্ত বলী কান্ধারীর গড়ানো পাথর গুরু নানক হাত দিয়ে ঠেকিয়েছিলেন। ওই পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপ আজও রয়েছে। তাই হাসান আব্দালের নাম হয়েছে ‘পাঞ্জাসাহেব’।


20. মায়ের মুখে গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি শুনে লেখকের মনে কী কী বিষয়ে অবিশ্বাস হয়?

Ans: লেখক মায়ের মুখে গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি শুনে গড়ানো পাথরের চাঙড় হাত দিয়ে ঠেকানো সম্ভব কিনা প্রশ্ন তোলেন। ওই পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপটাও পরবর্তীকালেই খোদাই করা হয়েছে বলে মনে করেন।


21. গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি লেখক কোন্ কোন্ সূত্রে শুনেছেন?

Ans: গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি লেখক একাধিকবার শুনেছেন মায়ের মুখ থেকে, গুরুদ্বারায় এবং স্কুলে শিক্ষক মহাশয়ের কাছেও।


22. সাকা হলে কী কী নিয়ম পালন করা হত?

Ans: সাকা হলে বাড়িতে অরন্ধন চলত আর মেঝেতে শুতে হতো।


23. ক্ষুধাতৃস্নায় কাতর কয়েদিদের ট্রেনটাকে থামানোর জন্য পাঞ্জাসাহেবের লোকজন কী করেছিল?

Ans: ক্ষুধাতৃয়ায় কাতর কয়েদিদের ট্রেনটাকে থামানোর জন্য পাঞ্জাসাহেবের লোকজন প্রথমে স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানাল, কিন্তু আবেদন ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা ট্রেনলাইনে শুয়ে ট্রেন থামিয়েছিল।


24. পাঞ্জাসাহেবের লোকজন কোন্ ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েদিদের ট্রেন থামাতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিল?

Ans: পাঞ্জাসাহেবের লোকজন স্মরণ করেছিল—এই শহরেই (পাঞ্জাসাহেব) গুরু নানক শিষ্য মর্দানার তৃয়া দূর করেছিলেন। আর তাই সেখান দিয়েই অভুক্ত, তৃয়ার্ত দেশপ্রেমীদের নিয়ে যাওয়াটা তারা মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা ট্রেন থামাতে সংকল্পবদ্ধ হয়।


25. “তীক্ষ্ণ হুইসেল দিতে দিতে ট্রেন এল” – তারপর কী ঘটেছিল?

Ans: আগেই গতি কমিয়ে দেওয়া ট্রেন তীব্র হুইসেল দিতে দিতে কথকের মায়ের বান্ধবীর স্বামী ও তার কয়েকজন সঙ্গীর বুকের উপর দিয়ে এগিয়ে এসে থেমেছিল মায়ের বান্ধবীর মাথার কাছে এসে।


26. ট্রেনটা থামার পর কী ঘটেছিল?

Ans: ট্রেন থামার পর ট্রেন লাইনে শুয়ে থাকা অন্যরা ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিচ্ছিল। তারপর লাশগুলিকে দুমড়ে মুচড়ে ট্রেন পিছোতে লাগলে রক্তের স্রোত বয়ে যায় খালপাড়ের সেতুর দিকে।


27. কথক পাঞ্জাসাহেবে পৌছে কেন একফোটা জলও মুখে দিতে পারেননি?

Ans: বন্দি দেশপ্রেমীদের ট্রেন থামানোর জন্য অতজন মানুষের আত্মবলিদানের ঘটনা শুনে কথক অবাক-বিহ্বল হয়ে পড়েন। এই আশ্চর্য ঘটনা কথকের মনে এমনভাবে দাগ কাটে যে তিনি একফোটা জলও মুখে দিতে পারেননি।


28. পাঞ্জাসাহেব থেকে ফেরার সময় কথকের মা, কথকের বোনকে কোন্ গল্প শোনাচ্ছিলেন?

Ans: গুরু নানক পাঞ্জাসাহেবে কীভাবে শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণা মিটিয়ে ছিলেন সেই গল্প কথকের মা, বোনকে শোনাচ্ছিলেন।


29. কথকের বোন যখন প্রশ্ন করে –“কীভাবে পাথরের এত বড়ো একটা চাঙড় থামাবে?”—তখন কথক কী উত্তর দিয়েছিলেন?

Ans: কথকের বোন একটা মানুষ কীভাবে পাথরের বড়ো চাঙড় হাত দিয়ে থামাবে প্রশ্ন করলে কথক উত্তর দিয়েছিলেন— “ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাই থামানো যাবে না কেন?”


30. কীভাবে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল?

Ans: ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা সামনের পাথরটা তোলায় তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে এসেছিল।


31. কোথায় ঘন ঘন সাকা হত?

Ans: পাঞ্জাসাহেবে ঘন ঘন সাকা হত |


32. . “চোখের জলটা তাদের জন্য।” —এখানে ‘তাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?

Ans: যারা প্রাণ দিয়ে কয়েদিদের তেষ্টার জল আর রুটি পৌঁছে দিয়েছিল, চোখের জলটা ‘তাদের’ জন্য।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.