অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Shikaar SAQ Question Answer

শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় Shikaar SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF

শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Shikaar SAQ Question Answer

নিচে শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। Shikaar SAQ Question Answer PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


জ্ঞানচক্ষু - আশাপূর্ণা দেবী


‘জ্ঞানচক্ষু’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর ‘কুমকুম’ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


শিকার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Shikaar SAQ Question Answer


1. “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।”—তার আগে সে কোন্ পরিবেশে ছিল?

Ans: ভোরের আলোয় আসার আগে হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন রাতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল |


2. “একটা অদ্ভুত শব্দ’– শব্দকে ‘অদ্ভুত’ বলার কারণ কী ?

Ans: প্রাকৃতিক অরণ্য পরিবেশে বিসদৃশ বেমানান বন্দুকের গুলির শব্দকে এখানে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে। বনের মধ্যে বন্যেরাই যেখানে সুন্দর সেখানে বন্দুকের গুলির শব্দ নৃশংসতার পরিচয়বাহী বলেই তা অদ্ভুত।


3. “আগুন জ্বলল আবার”– কেমন আগুন, কখন জ্বলেছিল ?

Ans: হিমের রাতে শরীর ‘উম’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারা রাত আগুন জ্বালিয়েছিল। সে আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।


4. “রোগা শালিকের হদয়ের বিবর্ণ” ইচ্ছা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

Ans: দেশোয়ালিদের প্রজ্বলিত আগুন ভোরের আলোয় ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে আসছে। মুমূর্ষ ও অসুস্থ শালিক পাখির শীর্ণকায় চেহারা এবং তার নৈরাশ্যের মতোই বিবর্ণ।


5. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– সে কেন নেমেছিল ?

Ans: সুন্দর বাদামি হরিণ ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।


6. “এখনও আগুন জ্বলছে তাদের ;” কারা, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?

Ans: দেশোয়ালিরা শীতের রাতে শরীর উয় রাখার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জ্বালিয়েছে।


7. নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল কেন?

Ans: হরিণটি নদীর শীতল জলে শরীরটাকে আবেশ দিয়ে অবগাহন করেছিল। সেই সময় তাকে গুলি করে মেরেছিল কিছু লোভী আগ্রাসী মানুষ। এর ফলে নদীর জল লাল হয়েছিল।


8. এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!” কে, কেন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল?

Ans: সুন্দর বাদামি হরিণ অরণ্য প্রকৃতিতে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভোরের অপেক্ষায় ছিল।


9. “সূর্যের আলোয় তার রং কুকুমের মতো নেই আর।”—কার রঙের কথা বলা হয়েছে?

Ans: দেশোয়ালিরা হিমের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য আগুন জ্বেলেছিল| সূর্য উঠলে সেই আগুনের রং কুমকুমের মতো লাল ছিল না।


10. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” একটি তারা আকাশে কীসের মতো জ্বলছে?

Ans: হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল, ঠিক সেভাবে একটি তারা এখনো আকাশে জ্বলছে।


11. “সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে”– জেগে উঠে কে, কী করতে চেয়েছিল?

Ans: ভোরের নতুন সূর্যের আলোয় হরিণটা সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে একের পর এক হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।


12. “মোরগফুলের মত লাল আগুন”—কখন, কেন এই আগুন দেশোয়ালিরা জ্বালিয়েছিল?

Ans: হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখার জন্য দেশোয়ালিরা আগুন জ্বেলেছে |


13. ভোরের আকাশের তারার জন্য কবি কোন কোন উপমা ব্যবহার করেছেন?

Ans: পল্লিগ্রামের লজ্জাশীলা বাসরঘরের ‘গোধূলি-মদির’ মেয়েটির কুণ্ঠার সঙ্গে নীল মদের গ্লাসে রাখা হাজার হাজার বছর আগে মিশর-মানুষীর বুকের মুক্তার দ্যতিহীনতার তুলনা করা হয়েছে।


14. হরিণের শরীরটা ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল ছিল কেন?

Ans: সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হরিণটা বন থেকে বনান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছে। সারারাত পরিশ্রমের কারণে হরিণের শরীরটা ‘ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল’।


15. “নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম” বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

Ans: হরিণটা বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারানোর পর তার নিথর দেহটাকে বোঝানোর জন্য ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’ উপমা ব্যবহৃত হয়েছে।


16. ‘সুন্দর বাদামী হরিণ’ চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন বনে ঘুরেছিল?

Ans: সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন মেহগনির বনের মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল হরিণটা।


17. “সিগারেটের ধোঁয়া”—কোথায় কেন “সিগারেটের ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল?

Ans: কিছু আগ্রাসী মানুষ হরিণ মেরে তার মাংসভোজে মত্ত হয়ে উঠেছিল। জঙ্গলে তারাই আনন্দ উপভোগের সময় সিগারেট ধরিয়েছিল |


18. সকালের আলোয় বন ও আকাশের দৃশ্য কেমন ছিল?

Ans: সকালের আলোয় টলমলে শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল |


19. “টেরিকাটা কয়েকটি মানুষের মাথা।”—কোথায় এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল?

Ans: হরিণটিকে হত্যা করার পর তার মাংস তৈরি হলে আগ্রাসী মানুষেরা তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। এখানেই টেরিকাটা এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল।


20. দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন সূর্যের আলোয় কেমন বর্ণ ধারণ করেছিল?

Ans: সূর্যের আলোয় দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন রোগা শালিকের হৃদয়ের ইচ্ছার মতো বিবর্ণরূপ ধারণ করেছিল।


21. কবির গেলাসে কে মুক্তা রেখেছিল?

Ans: কবির গেলাসে মুক্তা রেখেছিল ‘মিশরের মানুষী’।


22. “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।”—কে, কী কারণে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল?

Ans: ‘শিকার’ কবিতায় বর্ণিত চিতাবাঘিনীর তাড়া খাওয়া হরিণটি জীবনকে ভালোবেসে মুক্তির উল্লাসে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল।


23. পেয়ারা ও নোনার গাছের রং কী ছিল?

Ans: পেয়ারা ও নোনার গাছের রং ছিল টিয়ার পালকের মতো সবুজ।


24. “টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা।”— মানুষগুলির পরিচয় দাও।

Ans: এই মানুষগুলি প্রকৃতির সন্তান হরিণটিকে গুলি করে হত্যা করে তার মাংসভক্ষণে প্রবৃত্ত হয়েছিল। এরা প্রকৃতি ধ্বংসকারী আগ্রাসী মানুষ।


25. আলোচ্য কবিতার ভোরবেলাকার দৃশ্যরূপটি কীরকম?

Ans: ভোরবেলা রাত্রি ও দিনের সন্ধিক্ষণ, কবির দৃষ্টিতে যেন আকাশের কোমল নীল ও বনের সবুজ অংশে প্রভাতের সূর্যের আলো শিশিরভেজা স্নিগ্ধতায় চতুর্দিক ভরিয়ে তুলেছে।


26. “একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে”—কখন একমাত্র তারাটি আকাশে দেদীপ্যমান?

Ans: ভোরের কুয়াশাভরা শীতের আকাশে একটি ধ্রুবতারা পূর্বদিগন্তে সূর্যকে আবাহন করতেই যেন উজ্জ্বলভাবে দেদীপ্যমান।


27. ‘শিকার’ কবিতাটিতে ‘গোধূলিমদির’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

Ans: সূর্যাস্তের সময়কে ‘গোধুলি’ বলা হয়। যখন সূর্য ডুবে রাত্রির অন্ধকার ধীরে ধীরে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে তখনকার মাদকতাময় রূপলাবণ্য বোঝাতে ‘গোধূলিমদির’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।


28. “একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে”–তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

Ans: ভোরবেলাকার ওই তারাটিকে কবি পাড়াগ্রামের বাসরঘরে জাগা কনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যার বুকে শুধুই ভালোবাসার অনুরাগের পাপড়ি সাজানো। আবার, উক্ত তারাটি যেন মিশরের কোনো এক মানুষী, তার আলো যেন আকাশের নীল আর উষার লাল রং মিশে নীল মদের গেলাসে মুক্তা হয়ে ঝরে পড়ছে।


29. ‘উম্’ কথাটির অর্থ কী?

Ans: ‘উম্’ কথাটির অর্থ উন্নতা বা গরম। ‘শিকার’ কবিতার শিকারি দেশোয়ালিরা শীতের রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য শরীরকে ‘উম্’ করে রাখতে চায়।


30. হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ করে রাখার জন্য দেশোয়ালিরা কী করে?

Ans: বনভূমিতে হিম বা শীতের কাতরতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালায়। শুকনো অশ্বত্থপাতাকে দুমড়ে মুচড়ে প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে আগুন জ্বালে, যে আগুন মোরগফুলের মতো টকটকে লাল।


31. চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে কে কীভাবে নিজেকে বাঁচায় ?

Ans: একটি বাদামি রঙের হরিণ সারারাত নক্ষত্রহীন আকাশের নীচে অন্ধকারে এ গাছ থেকে ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচায়। যৌবনাবেগে তরতাজা হরিণটি জানে দিনের আলোয় সে স্বচ্ছন্দে বনভূমিতে পদচারণা করতে পারবে।


32. সুন্দর বাদামি হরিণটি কোন্ সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল?

Ans: সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।


33. কবির মতে হরিণটির কাছে অন্ধকারের রূপটি কেমন ছিল?

Ans: কবির মতে হরিণটির কাছে অন্ধকারের রূপটি ছিল হিম কুতি জরায়ুর মতো।


34. “শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য”—হরিণটির শরীরটা তখন কেমন ছিল?

Ans: হরিণটির শরীরটা তখন ছিল ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল।


35. সুন্দর বাদামি হরিণটি দিনের আলোয় কীভাবে নিজেকে মেলে ধরে?

Ans: ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে ভোরের আলোয় হাজির হয়। নতুন করে বেঁচে থাকার স্পৃহায় কচি বাতাবিলেবুর সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। এর মধ্যে তার প্রাণের আরাম মনের উল্লাস যেন প্রতিভাত হয়ে ওঠে।


36. হরিণের নবজন্ম কখন ঘটল বলে কবি মনে করেছেন?

Ans: সারারাত চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে বাঁচার প্রচেষ্টায় বনের চারদিকে লুকিয়ে থেকে ভোরের আলোয় সুগন্ধি কচিঘাস খেতে খেতে হরিণটি প্রকাশ্যে আসে। নতুন জীবনের আনন্দে তার নদীর সুশীতল জলে স্নান করার উল্লাসটিই যেন নবজন্মরূপে ধরা দিয়েছে।


37. হরিণীর পর হরিণীদের কীভাবে হরিণটি চমকে দেবে?

Ans: ভোরের আলোয় অর্থাৎ সূর্য কিরণে স্নাত হয়ে নদীর জলে ধৌত করে মুক্তির আনন্দে হরিণটির দেহবল্পরি প্রভাতের আলোয় সোনার বর্শার ফলকের মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—যা দেখে বনভূমির হরিণীরা চমকে উল্লসিত হয়ে উঠবে। সাহসে, সাধে আর সৌন্দর্যে হরিণটি হরিণীদেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলবে।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.