মহুয়ার দেশ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় Mohuar Desh Short Type Question and Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মহুয়ার দেশ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর PDF.
নিচে মহুয়ার দেশ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। Mohuar Desh Short Type Question and Answer PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
মহুয়ার দেশ - সমর সেন
‘মহুয়ার দেশ’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমর সেনের ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
মহুয়ার দেশ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর - Mohuar Desh Short Type Question and Answer
1. “গভীর বিশাল শব্দ।”—কীসের শব্দ?
Ans. মহুয়া বনের ধারে কয়লাখনির গভীর বিশাল শব্দের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
2. “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয় কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন”– কাদের কথা বলা হয়েছে?
Ans. আলোচ্য অংশে মহুয়ার দেশের অধিবাসী অবসন্ন মানুষদের কথা বলা হয়েছে।
3. “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে”— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
Ans. ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে স্বপ্নময় প্রকৃতি-প্রধান ‘মহুয়ার দেশ’-এর বিপরীতে কয়লাখনি থেকে উঠে আসা নাগরিক সভ্যতার বিষবাষ্পের কথাই বোঝানো হয়েছে।
4. “নামুক মহুয়ার গন্ধ।”—কবির এই প্রার্থনা কেন?
Ans. মহুয়া ফুলের গন্ধ এক ধরনের আবেশ এবং হালকা নেশার উদ্রেক করে| তাই ক্লান্তি ভুলতে কবি মহুয়ার গন্ধকে আহবান করেছেন।
5. “অলস সূর্য দেয় এঁকে”–‘অলস সুর্য’ কী আঁকে, সূর্যকে অলস’ বলার কারণ কী ?
Ans. ‘অলস সূর্য’ সন্ধ্যার জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়। অস্তগামী সূর্যের দীপ্তি স্তিমিত বলেই সন্ধ্যার সূর্যকে ‘অলস’ বলা হয়েছে।
6. “রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে”- উৎস নির্দেশ করো।
Ans. আলোচ্য অংশটি কবি সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ শীর্ষক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
7. “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল।” – কবি ক্লান্ত কেন?
Ans. নাগরিক যান্ত্রিকতায় কবি বিধ্বস্ত | অবসর নেই তার। তাই তিনি ক্লান্ত।
8. মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অবসন্ন মানুষদের শরীরে কী দেখা যায় ?
Ans. কবি সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অবসন্ন মানুষদের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখা যায়।
9. “আমার ক্লান্তির ওপর ঝরুক মহুয়া-ফুল”—এখানে ‘মহুয়ার ফুল’ কীসের প্রতীক?
Ans. আলোচ্য পঙক্তিতে উল্লিখিত ‘মহুয়া ফুল’ রোমান্টিক উপাদানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যে রোমান্টিক উপাদান কবির জীবনের ক্লান্তি অপনোদন করতে পারবে।
10. মহুয়ার দেশের মানুষদের ঘুমহীন চোখে কী দেখা যায় ?
Ans. মহুয়ার দেশের মানুষদের ঘুমহীন চোখে দেখা যায় ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।
11. “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস” কীভাবে কবির কাছে আসে ?
Ans. দরিদ্র আশ্রয়হীন মানুষের কাছে তীব্র শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কবির কাছে আসে।
12. “নিবিড় অন্ধকারে মাঝে মাঝে শুনি”– কী শোনার কথা বলা হয়েছে?
Ans. এখানে কয়লাখনির বিশাল শব্দের কথা বলা হয়েছে।
13. সন্ধ্যার জলস্রোতে উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ কে এঁকে দেয় ?
Ans. সন্ধ্যার জলস্রোতে অস্তান্মুখ সূর্য উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়।
14. শিশিরে ভেজা সবুজ সকালে কবি কী দেখেন?
Ans. শিশির ভেজা সবুজ সকালে কবি সমর সেন ক্লান্ত মানুষের চোখে ধুলোর কলঙ্ক দেখেন।
15. “এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে”—’অসহ্য’ কেন?
Ans. মহুয়ার বনের ধারে কয়লা খনির শ্রমজীবী মানুষরা শ্রমের ক্লান্তিতে অবসাদগ্রস্ত।তাই সেখানকার অন্ধকারকে অসহ্য বলে মনে হয়েছে।
16. কবি কাকে ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ বলেছেন?
Ans. বহুদূরের কোনো এক অজানা নামহীন দেশকে কবি সমর সেন ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ বলেছেন।
17. “অলস সূর্য এঁকে দেয়”–কী এঁকে দেয়?
Ans. অলস সূর্য এঁকে দেয় গলিত সোনার মতো আলোর স্তম্ভ।
18. “আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস।” –সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস কী করে?
Ans. সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস মহুয়া বনের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে |
19. রাত্রের নিঃসঙ্গতাকে কে আলোড়িত করে?
Ans. দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রির নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে।
20. “নামুক মহুয়ার গন্ধ।”—কোথায় মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার কথা বলা হয়েছে?
Ans. কবির ক্লান্তির ওপর মৃহুয়ার গন্ধ নেমে আসার কথা বলা হয়েছে |
21. “মাঝে মাঝে শুনি” – কবি কী শোনেন?
Ans. কবি শোনেন কয়লাখনির গভীর, বিশাল শব্দ।
22. “ঘুমহীন তাদের চোখে”—কাদের চোখে কী হানা দেয়?
Ans. কয়লাখনির শ্রমিকদের চোখে হানা দেয় ক্লান্তির দুঃস্বপ্ন।
23. “…জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।”—সেখানে কী ঘটে যায়?
Ans. সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনা অস্তগামী সূর্যের আলোয় লাল হয়ে ওঠে। সেই দৃশ্য দেখে মনে হয় আগুন লেগেছে।
24. “সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়”—কীসের কথা বলা হয়েছে?
Ans. সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অস্তগামী সূর্যের আলোয় জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় যে আগুন লাগে, ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতা’ বলতে তার কথাই বোঝানো হয়েছে।
25. ‘শীতের দুঃস্বপ্নের মতো’ কে নেমে আসে?
Ans. ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস শীতের দুঃস্বপ্নের মতো নেমে আসে।
26. “অনেক, অনেক দূরে আছে…”—সেই অনেক দূরে কী ঘটে?
Ans. ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অনেক দূরে মহুয়ার দেশে পথের দু-ধারে দেবদারু পারে দীর্ঘ রহস্য ছায়া ফেলে। দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে।
27. “মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ বলার কারণ কী?
Ans. দূষিত নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার বিপরীতে সাঁওতাল পরগনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মায়াময়তাকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি সমর সেন এই স্থানকে ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’-রূপে অভিহিত করেছেন।
28. ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন ?
Ans. ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি নিজেকে নগরজীবনের ক্লান্ত মানুষের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন।
29. “সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে…”—’সেখানে’ বলতে কোথাকার কথা বলা হয়েছে?
Ans. সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘সেখানে’ বলতে মহুয়ার দেশের কথা বলা হয়েছে।
30. “দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য”—বলতে কী বোঝ?
Ans. সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য’ বলতে দেবদারু গাছের দীর্ঘ ছায়াময় বিস্তারকে বোঝানো হয়েছে।
31. ‘দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য’ কোথায় ছায়া ফেলে?
Ans. কবি সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য’ সুদূর মহুয়ার দেশে পথের দু-ধারে ছায়া ফেলে।
32. কবি সমর সেন তাঁর ক্লান্তির উপরে কার ঝরে পড়া এবং কার নেমে আসার প্রার্থনা করেছেন?
Ans. কবি সমর সেন তাঁর ক্লান্তির উপরে মহুয়া ফুলের ঝরে পড়া এবং মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার প্রার্থনা করেছেন।
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box