দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Praloyollas Short Type Question and Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। প্রলয়োল্লাস কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
প্রলয়োল্লাস - কাজী নজরুল ইসলাম
‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্য থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
প্রলয়োল্লাস কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Praloyollas Short Type Question and Answer
প্রশ্নঃ “আসছে নবীন- জীবনহারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন?”- উক্তিটির তাৎপর্য লেখাে। ১+২
উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয়ের দেবতা রুদ্রদেবকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কবির কল্পনায়, দেশের নবীন প্রজন্মই হল নবযুগের বার্তাবাহী সেই রুদ্রদেব। দেশমাতৃকার মুক্তিসাধনার ব্রতে ব্রতী তরুণ বিপ্লবীরা প্রথমেই জরাজীর্ণ পুরাতন মানসিকতার উপর আঘাত হানবে। যাকিছু জীবনীশক্তিহীন তথা অসুন্দর, সেই সবকিছুর বিনাশ করবে তারা। এইভাবে একটি মৃতপ্রায় সমাজব্যবস্থার ধ্বংসের মধ্য দিয়ে তারা নতুন যুগের সূচনা করবে। (শব্দসংখ্যা- ৫৮)
প্রশ্নঃ “প্রলয় বয়েও আসছে হেসে”- উদ্ধৃত অংশের তাৎপর্য লেখ। ৩
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয়ের দেবতা রুদ্রদেবকে আহ্বান জানানো হয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ধ্বংসের দেবতা রুদ্রদেব পুরাতন যুগের অবসান ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেন। শুধু পুরাণে নয়, ইতিহাসেও দেখা গেছে যে, পুরাতন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন সভ্যতার জন্ম হয়। কালের নিয়ম এটাই যে, পুরাতনকে বিদায় নিতে হয় এবং নতুনের আবির্ভাব ঘটে। অর্থাৎ, ধ্বংসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা। এইজন্য প্রলয়ঙ্কর প্রলয় বয়ে আনলেও মুখে তার হাসি। (শব্দসংখ্যা- ৬৫)
প্রশ্নঃ “ ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চিরসুন্দর। ” সে কে ? ভেঙে আবার গড়ার বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ ‘ প্রলয়োল্লাস ‘ কবিতার উল্লিখিত অংশে ‘ সে ’ বলতে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রতীকে দেশের তরুণ বিপ্লবীদের কথা বলা হয়েছে।
মহাদেব তার রুদ্র মূর্তিতে অসুন্দরের বিনাশ ঘটিয়ে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করেন। একইভাবে দেশের তরুণ বিপ্লবীরাও ধ্বংসের প্রচণ্ডতা নিয়ে আবির্ভূত হয়। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ সরকারকে আঘাত করাই তাদের লক্ষ্য। তবে অনেকেই সমাজ পরিবর্তনের জন্য যে ‘ বিপ্লব ’ তাকে ধ্বংসাত্মক বলে মনে করেন , কিন্তু কবির মতে অসুন্দরকে ধ্বংস করেই নবরূপে সমাজ গড়ার মধ্য দিয়ে সত্য – সুন্দরের প্রতিষ্ঠা হয়।
প্রশ্নঃ “ ওই নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড়। ” ‘ নূতনের কেতন ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ প্রলয়োল্লাস কবিতাংশে উল্লিখিত ‘ কেতন ‘ – এর অর্থ হলো পতাকা। কবিতায় ‘ নূতনের কেতন ’ নতুন দিকের সূচনা করার ইঙ্গিত বহন করেছে। ভারতে ইংরেজদের শাসন – শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কবি নতুনের জয়গানে মুখরিত হয়ে উঠেছেন। তারা কালবৈশাখী ঝড়ের মতো , প্রলয়রূপী শিবের মতো সর্বধ্বংসী প্রলয়ের আগমন বার্তা নিয়ে উপস্থিত।
প্রশ্নঃ এবার মহানিশার শেষে / আসবে ঊষা অরুণ হেসে ” — ‘ ‘ মহানিশা ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ প্রলয়োল্লাস ’ কবিতায় ‘ মহানিশা ’ বলতে কবি রাজনৈতিক , সামাজিক শোষণ ও পরাধীনতার জন্য বিশ্বব্যাপী যে অন্ধকারময় অবস্থা তাকে বুঝিয়েছেন। আশাবাদী কবি মনে করেন পরাধীনতা এবং সামাজিক শোষণ – বঞ্চনার মধ্য দিয়ে যে অন্ধকার নেমে এসেছে তার অবসান ঘটে নতুন সূর্যোদয় হবে। মহাদেব ধ্বংসের দেবতা হলেও তার মাথায় থাকে শিশু চাঁদে। তাই ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে যে সৃষ্টি সূচিত হবে তাতে সেই চাঁদের আলোয় ঘর ভরে যাবে।
Google News এ আমাদের ফলো করুন
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box