অর্ডিনারি আইটির পোস্ট নোটিফিকেশন


পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Pather Dabi Short Type Question and Answer

দশম শ্রেনীর পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Pather Dabi Short Type Question and Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর পথের দাবী সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Pather Dabi Short Type Question and Answer




পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

‘পথের দাবী’ গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাস থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Pather Dabi Short Type Question and Answer


প্রশ্ন: “বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।”- বক্তা কে ? তাঁর বাবা কাকে কী চাকরি করে দিয়েছিলেন ? ১+২ [মাধ্যমিক ২০১৮]

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব একথা বলেছিল।

অপূর্বর বাবা নিমাইবাবুকে পুলিশের চাকরি করে দিয়েছিলেনে। সেই নিমাইবাবুই বর্মায় গিয়েছিলেন পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে ধরার জন্য। 


প্রশ্ন: “সহসা আশঙ্কা হয়, সংসারের মিয়াদ বােধ করি বেশি দিন নাই”- কার সম্পর্কে বলা হয়েছে? কেন এমন বলা হয়েছে? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে ধৃত গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে।

গিরীশ মহাপাত্রের বয়স ত্রিশ-বত্রিশ বছরের বেশি ছিলনা। কিন্তু তাঁর শরীর এতোই রুগ্ন ছিল যে সামান্য কাশির পরিশ্রমেই হাঁপাতে শুরু করেছিল। সেইজন্য এমন বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: “কেবল এই জন্যই যেন সে আজও বাঁচিয়া আছে।” – ‘সে’ কে? কেন তার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘সে’ বলতে গিরীশ মহাপাত্রকে বোঝানো হয়েছে।

আপাতদৃষ্টিতে গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে রোগগ্রস্ত মনে হলেও তাঁর চোখদুটি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের মতো সেই চোখদুটি যেন তাঁর প্রাণশক্তিকে লুকিয়ে রেখেছিল। সেইজন্য অপূর্বর একথা মনে হয়েছিল।


প্রশ্ন: “সে যে এ নয়, তার আমি জামিন হতে পারি।”- উক্তিটি কার? কী দেখে বক্তা এই উক্তি করেছে? ১+২

উত্তরঃ অমর কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনায় অপূর্ব এই উক্তি করেছিল।

বাংলা দেশের পুলিশ বর্মা মুলুকে গিয়ে সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করেছিল। কিন্তু বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী, বিলেতফেরত ডাক্তার রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিকের সঙ্গে গিরীশের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেইজন্য অপূর্ব নিশ্চিতভাবে বলেছিল যে ধৃত গিরীশ মহাপাত্র সব্যসাচী মল্লিক নয়।


প্রশ্ন: “তার কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।”- কার উক্তি? কেন এই উক্তি? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব একথা বলেছিল।

পুলিশের লোক সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করেছিল। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, বিলেতের ডাক্তার উপাধিধারী রাজশত্রু সব্যসাচী মল্লিকের সঙ্গে বিচিত্র সাজে সজ্জিত গিরীশ মহাপাত্রের কোনোরকম সাদৃশ্য ছিল না। তাই অপূর্ব একথা বলেছিল।


প্রশ্ন: “কীরূপ সদাশয় ব্যক্তি ইনি।”- কার সম্পর্কে এমন উক্তি? এমন উক্তির কারণ কী? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে এই উক্তি করা হয়েছিল।

পুলিশ-থানায় গিরীশ মহাপাত্রের বাক্স-বিছানা খানাতল্লাশির পর তার পকেট থেকে অন্যান্য জিনিসে সঙ্গে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়েছিল। নিমাইবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করেন সে গাঁজা খায় কি না। উত্তরে সে জানায় যে, সে নিজে খায় না কিন্তু যদি কারও কাজে লাগে এই ভেবে গাঁজার কলকেটা পকেটে ভরে রেখেছিল। এরপরেই জগদীশবাবুকে উদ্দেশ্য করে গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে নিমাইবাবু এই উক্তি করেছিলেন।


প্রশ্ন: “রাত্রের মেল ট্রেনটার প্রতি একটু দৃষ্টি রেখাে”- কার উক্তি? মেল ট্রেনটার প্রতি দৃষ্টি রাখার কারণ কী? ১+২

উত্তরঃ অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনায় পুলিশ আধিকারিক জগদীশবাবু একথা বলেছিলেন।

রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেপ্তার করার জন্য নিমাইবাবু, জগদীশবাবু সহ একদল পুলিশ বর্মা মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলেন। রেঙ্গুন বন্দর থেকে সব্যসাচী সন্দেহে জনা ছ’য়েক বাঙালিকে আটকও করা হয়েছিল। যদিও এই ছয়জনের মধ্যেই একজন ছিলেন প্রকৃত সব্যসাচী মল্লিক কিন্তু পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। অথচ, পুলিশের কাছে নিশ্চিত খবর ছিল যে সব্যসাচী মল্লিক বর্মায় গিয়েছেন। এইজন্য রাতের মেল ট্রেনটার প্রতি দৃষ্টি রাখার কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: “কাল তাহার ঘরে চুরি হইয়া গেছে” – কার ঘরে চুরি হয়েছিল? সবকিছু চুরি হয়নি কেন? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর ঘরে চুরি হয়েছিল।

অপূর্বর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে চোর এসেছিল। তবে টাকাকড়ি ছাড়া আর কিছু চুরি হয়নি। উপরে যে ক্রিশ্চান মেয়েটি থাকত সে গিয়ে চোর তাড়িয়েছিল এবং নিজের ঘরের তালা অপূর্বর ঘরের দরজায় লাগিয়ে দিয়েছিল। এইজন্য তার সবকিছু চুরি হয়ে যায়নি।


প্রশ্ন: “এরা কি আপনার বাংলাদেশের পুলিশ?”- কার উক্তি? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলোয়ারকর একথা বলেছিল।

রামদাসের বাড়িতে জলযোগ করতে গিয়ে অপূর্ব তার বাড়িতে চুরি যাওয়ার বৃত্তান্ত উপস্থাপন করেছিল। চুরির ঘটনা পুলিশকে জানাবার জন্য অপূর্ব থানায় গিয়েছিল কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে যে সমস্ত পুলিশ সব্যসাচী মল্লিককে ধরার কাজে ব্যস্ত, সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার সময় তাদের ছিল না। এই প্রসঙ্গেই রামদাস উপরোক্ত কথাগুলি বলেছিল।


প্রশ্ন: “তিনি ঢের বেশি আমার আপনার।”- কার সম্পর্কে এই উক্তি? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী?

উত্তরঃ অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে একথা বলেছিল।

অপূর্ব শিক্ষিত মানুষ। পরাধীনতার যন্ত্রণা সে বুঝত। সে নিজেও অকারণে ব্রিটিশদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি ব্রিটিশদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস তার ছিল না। তবে, ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য যে মানুষটি জীবন পণ করেছিল, সেই সব্যসাচী মল্লিককে অপূর্ব আপন মনের সিংহাসনে বসিয়েছিল। তাই নিমাইবাবু তার আত্মীয় হলেও সব্যসাচী মল্লিককে তার বেশি আপন মনে হয়েছিল।


প্রশ্ন: “তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না”- কে কাকে বলেছিল? সেই লাঞ্ছনার কথা উল্লেখ কর। ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব রামদাসকে একথা বলেছিল।

কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। অপূর্বর কোনো দোষ ছিল না। তাই সে স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়েছিল প্রতিবাদ জানাতে। কিন্তু ভারতীয় হওয়ার অপরাধে সাহেব স্টেশন মাস্টার অপূর্বকে তার নিজের দেশের স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে এই লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: “আমার ইচ্ছে তুমি একবার সবগুলাে দেখে আস।” – কে কী দেখতে বলেছে? কেন সেগুলাে দেখতে বলেছে? ২+১

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর অফিসের বড়োসাহেব তাকে সবকটা অফিস দেখতে বলেছিল।

বড়োসাহেবের কথা অনুযায়ী, ভামোর অফিসে কোনো শৃঙ্খলাই হচ্ছিল না। উপরন্তু ম্যানডালে, শোএবো, মিকথিলা এবং প্রোম-এর অফিসেও গোলযোগ ঘটছিল। বড়োসাহেব চাইছিলেন যেন অপূর্ব সবকটা অফিস একবার ঘুরে আসুক। তাছাড়া, সাহেবের অবর্তমানে সব ভার অপূর্বর। সুতরাং সব অফিসে তার পরিচিতি হওয়া প্রয়োজন ছিল। এইজন্য অপূর্বকে সবগুলো দেখে আসতে বলা হয়েছিল।


প্রশ্ন: “সুমুখে আসিতেই অপূর্ব ডাকিয়া কহিল”- কাকে অপূর্ব ডেকেছিল? তাকে ডেকে কী বলেছিল? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনায় অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে ডেকেছিল।

রেলস্টেশনে অপূর্ব পুনরায় গিরীশ মহাপাত্রকে দেখতে পেয়েছিল। তার বেশভূষা একইরকম ছিল, শুধু বুকপকেটের বাঘ আঁকা রুমালখানা গলায় জড়ানো ছিল। সামনে আসতেই অপূর্ব তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিল, “কি হে গিরীশ, আমাকে চিনতে পারো? কোথায় চললে?”


প্রশ্ন: “কিন্তু তােমার বাবু একটা ভুল হয়েছে”- কার, কী ভুল হয়েছিল? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে একথা বলেছিল।

গিরীশের সঙ্গে অপূর্বর প্রথমবার সাক্ষাৎ ঘটেছিল পুলিশ স্টেশনে। সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশ গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করেছিল। ঐদিন অপূর্বও পুলিশ স্টেশনে চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। তাই গিরীশ ভেবেছিল যে অপূর্ব হয়তো পুলিশের লোক। এটাই গিরীশের ভুল হয়েছিল।


প্রশ্ন: “অপূর্ব লক্ষ করিল না, কিন্তু লক্ষ করিলে দেখিতে পাইত”- অপূর্ব কী লক্ষ করেনি? লক্ষ করলে সে কী দেখতে পেত?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব রামদাসের মুখখানা লক্ষ করেনি।

অপূর্ব তার সহকর্মী রামদাসের মুখের দিকে তাকালে দেখতে পেত যে তার চওড়া কপালে যেন কোনো এক অদৃশ্য মেঘের ছায়া এসে পড়েছিল এবং সেই সুদূর দুর্নিরীক্ষ্য লোকেই তার মনশ্চক্ষু উধাও হয়ে গিয়েছিল। 


প্রশ্ন: “কিন্তু ইহা যে কত বড়াে ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।”- ‘সে’ কে? সে কী অনুভব করেছিল? ১+২

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে ‘সে’ বলতে অপূর্বর কথা বলা হয়েছে।

অপূর্ব ভেবেছিল যে সে যেহেতু প্রথম শ্রেণির যাত্রী তাই কেউ মাঝরাতে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে না। কিন্তু সেই রাতে তিনবার পুলিশের লোক তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তার নাম-ধাম ইত্যাদি লিখে নিয়ে গিয়েছিল। নিজের ভাবনাটা যে কতোবড় ভুল, কয়েকটা স্টেশন পরে সেটাই সে অনুভব করেছিল।



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.