আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Ay Aro Bendhe Bendhe Thaki Short Type Question and Answer

দশম শ্রেনীর আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Ay Aro Bendhe Bendhe Thaki Short Type Question and Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Ay Aro Bendhe Bendhe Thaki Short Type Question and Answer




আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি - শঙ্খ ঘোষ

‘আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্য সংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Ay Aro Bendhe Bendhe Thaki Short Type Question and Answer


প্রশ্নঃ “আমাদের ইতিহাস নেই”- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের ইতিহাস নেই কেন? ১+২

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় সংকটাপন্ন সাধারণ মানুষের কথা বলা হয়েছে।

প্রচলিত ইতিহাস কেবল শোষকের কথা বলে, শোষিত সাধারণ মানুষের ব্যাপারে ইতিহাস বড়ই নীরব। সেইজন্য ইতিহাসের পাতায় তাদের স্থান হয়নি। ইতিহাস যুদ্ধবাজ শাসকদের নাম লিখে রাখে কিন্তু যুদ্ধে নিহত সাধারণ মানুষের নাম কেউ জানতে পারে না। আলোচ্য কবিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নিপীড়িত মানুষের কন্ঠে তাই শোনা যায় হতাশার সুর- “আমাদের ইতিহাস নেই”।


প্রশ্নঃ “এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?”- এই আশঙ্কার কারণ কী? ৩

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় বিপন্ন মানবতার ছবি তুলে ধরা হয়েছে।

কবি এমন এক সংকটময় পরিস্থিতির কথা বলেছেন যেখানে সাধারণ মানুষের ডানদিকে ধস, বাঁয়ে গিরিখাত, মাথার উপর বোমারু বিমান এবং পায়ের তলায় হিমানীর বাঁধ। অর্থাৎ, সেই দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে বাঁচার কোনো পথ নেই। এরই মাঝে দেখা যায়, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুদের শব। মৃত্যুর এই প্রতিচ্ছবি দেখে সাধারণ মানুষের মনে এরূপ আশঙ্কা হয়েছিল।


প্রশ্নঃ “আমাদের পথ নেই কোনো”- ‘আমাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? ‘পথ নেই’ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ১+২

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘আমাদের’ বলতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অসহায় সাধারণ মানুষের কথা বলা হয়েছে।

কথায় আছে, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, প্রাণ যায় উলুখাগড়ার’। যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আলোচ্য কবিতার শুরুতেই দেখি বিপন্ন মানুষের দুর্দশার চিত্র। তাদের ডানদিকে ধস, বাঁদিকে গিরিখাত, মাথার উপরে টহলরত বোমারু বিমান এবং পায়ের তলায় হিমানীর বাঁধ। অর্থাৎ, এই বিপদ থেকে পালিয়ে বাঁচবার কোনো পথ ছিল না তাদের। তাই বলা হয়েছে, “আমাদের পথ নেই কোনো”।


প্রশ্নঃ “আমাদের কথা কে বা জানে”- এই মন্তব্যের দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ৩

উত্তরঃ শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় যুদ্ধ-কবলিত অসহায় মানুষ আক্ষেপের সুরে বলেছে, “আমাদের কথা কে বা জানে!” এই উক্তির মাধ্যমে কবি সাধারণ মানুষের পরিচয়হীনতার কথা বলতে চেয়েছেন।

যুদ্ধে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু তাদের কথা কেউ জানতে পারে না। যুদ্ধবাজ শাসকের নাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু যুদ্ধের কারণে সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষগুলো নামপরিচয়হীন হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। যেহেতু সাধারণ মানুষের কথা কেউ জানে না তাই তাদের মৃত্যুতে কারো কিছু এসে যায় না। এইজন্য এমন মন্তব্য করা হয়েছে।


প্রশ্নঃ “আমাদের মাথায় বোমারু” —এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তরঃ বোমানিক্ষেপকারী যুদ্ধবিমান হল বোমারু। বর্তমান শতকের সূচনায় ক্ষমতাধারী রাষ্ট্রগুলি নানা অছিলায় দুর্বল রাষ্ট্রের উপর বোমাবর্ষণ করে সানিবন করেছে বলে এ কথা বলা হয়েছে। 


প্রশ্নঃ “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে” —কী ছড়ানো রয়েছে?

উত্তরঃ শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটিতে নিষ্পাপ মানবশিশুর সব বা মৃতদেহ ছড়ানো রয়েছে কাছে রয়েছে কাছে দূরে। 


প্রশ্নঃ শিশুদের শব যেখানে-সেখানে ছড়ানো আছে কেন?

উত্তরঃ শিশুঘাতী, নারীঘাতী, কুৎসিত, বীভৎস, সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির নির্বিচারে বোমাবর্ষণের ফলে যেখানে-সেখানে শিশুদের সব ছড়িয়ে আছে।


প্রশ্নঃ “এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?” — এখানে কবির আশঙ্কা না ভয়কে জয় করার অঙ্গীকার প্রকাশিত হয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশে আপাতভাবে মনে হতে পারে কবি মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। কিন্তু পৃকৃতপক্ষে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে বেঁচে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার এই অংশে প্রকাশিত হয়েছে। 


প্রশ্নঃ “আমাদের পথ নেই আর” —আমাদের পথ নেই কেন?

উত্তরঃ সাম্যবাদের আগ্রাসন, যুদ্ধবাদের নির্যাতন আশ্রয়হীন, সর্বহারা মানুষের মুক্তির পথ রোধ করেছে। তাদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হয়েছে মৃত্যুর সঙ্গে। তাই তাদের বেঁচে থাকার কোনো পথই অবশিষ্ট নেই।


প্রশ্নঃ “আমাদের পথ নেই আর” —তাহলে আমাদের করণীয় কী?

উত্তরঃ আমাদের অর্থাৎ সর্বহারা মানুষদের বাঁচার পথ যখন ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসে, তখন সহমর্মিতার সঙ্গে আরও বেশি সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। 


প্রশ্নঃ “বেঁধে বেঁধে থাকি” —বেঁধে বেঁধে থাকার অর্থ কী?

উত্তরঃ বেঁধে বেঁধে থাকার অর্থ মিলেমিশে এক হয়ে থাকা, সংঘবদ্ধ হয়ে সহমর্মিতার সঙ্গে বাঁচা। 


প্রশ্নঃ “আমাদের ইতিহাস নেই” —এ কথা বাল হয়েছে কেন?

উত্তরঃ আমরা সাধারণ গরিব মানুষ। আমাদের জীবন-জীবিকা-আশ্রয় অনিশ্চিত। সাম্রাজ্যবাদীরা যুদ্ধের পরিবেশ ঘনিয়ে তুলে আমাদের শিকড় ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে উন্মুখ। তাই আমাদের ইতিহাস নেই। 


প্রশ্নঃ “আমরা ভিখারি বারোমাস” —এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রশক্তি পারস্পরিক যুদ্ধে অথবা দুর্বল রাষ্ট্রে অধিকার কায়েমের জন্য সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে। সাধারণ মানুষ আশ্রয় ও জীবিকা হারিয়ে ভিখারীতে তাই পরিণত হয়। 


প্রশ্নঃ “পৃথিবীতে হয়তো গেছে মরে” —এ কথা বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ পৃথিবী এখন যেভাবে আছে তাকে সুষ্ঠভাবে বেঁচে থানা বলা যায় না। যুদ্ধ, শোষণ, বঞ্চনা, অত্যাচারে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন। তাই পৃথিবী তথা পৃথিবীর মানুষের মনুষ্যত্বে যেন মরে গিয়েছে। 



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.