কখন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ইত্যাদি অজানা তথ্য়: Unknown Information About When The National Flag Is Kept At Half mast
কখন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ইত্যাদি অজানা তথ্য়: Unknown Information About When The National Flag Is Kept At Half mast
❏ কখন কখন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় কেন ?
➨ পৃথিবীর প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রেই জাতীয় শােকের সময় সেই দেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কারও মৃত্যুতে শােক জ্ঞাপন করা হয়।
❏ আধুনিক ইজরায়েল রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয় কেন ?
➨ 3.2 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাত্সী জার্মানী জার্মান ও ইউরােপীয় বিজিত সমস্ত দেশে ইহুদী বংশের মানুষের। উপর নিদারুণ নির্যাতন চালায়। কনসেনট্রেসান ক্যাম্প বা মৃত্যু শিবিরে নির্মমভাবে প্রায় ষাটলক্ষ ইহুদীকে বর্বর নাৎসীরা হত্যা করে। ইহুদীরা যুদ্ধশেষে তাদের আদি জন্মভূমি জেরুজালেম এলাকায় ইহুদী রাজ্য স্থাপনের দাবী জানায়। রাষ্ট্রসংঘের ব্যবস্থায় ১৯৪৮ সালে তাই নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইজরায়েলের জন্ম হয়।
❏ সুয়েজখাল কাটা হয় কেন ?
➨ সুয়েজখাল কাটা হয় ইউরােপ থেকে এশিয়ার বা ভারতের কোন বন্দরে আসার সময় ও দূরত্ব সংক্ষেপ করার জন্য। এই খাল লােহিত সাগর ও ভূমধ্য সাগরকে সংযুক্ত করেছে। এই খাল কাটার ফলে ইংল্যান্ড থেকে বােম্বাই বন্দরের দূরত্ব কমে গেছে প্রায় ৮ হাজার কিলােমিটার।
❏ বর্ষাকালে কাঠের জানালা দরজা আঁট হয়ে যায় কেন ?
➨ বর্ষাকালে অনেক সময় কাঠের জানলা বা দরজা শক্ত বা আঁট হয়ে যায় কারণ কাঠ বাতাসের জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে আয়তনে বেড়ে যায়। দরজা বা জানলার কাঠে যে। ছিদ্র থাকে জলীয় বাষ্প সেখানেই শােষিত হয়ে কাঠ আয়তনে বেড়ে যায়।
❏ কোন কোন অঞ্চলে মাটির রঙ লাল হয় কেন ?
➨ কোন কোন অঞ্চলে মাটির রঙ লাল হয় কারণ এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে লােহা মিশ্রিত থাকে বলে। লােহা মৌল হিসেবে থাকে না, থাকে লােহার অক্সাইড হিসেবে। এই অক্সাইড সাধারণতঃ লাল ফেরিক অক্সাইড।
❏ মােগল সম্রাট আকবরকে শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা হয় কেন ?
➨ মােগল সম্রাট আকবরকে পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা হয় কারণ আকবর হিন্দু-মুসলিম সকলের কাছেই প্রিয় ছিলেন। জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তিনি। প্রচুর সুনাম অর্জন করেছিলেন। এই সব কাজের ফলেই তাকে একজন জনপ্রিয় ও শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা হয়।
❏ পাখি গাছের ডালে বসে ঘুমােলেও পড়ে যায় না কেন ?
➨ পাখি গাছের ডালে বসে ঘুমিয়ে থাকলেও পড়ে যায় কারণ পাখির পায়ের মাংসপেশী বিশেষভাবে তৈরি। বসে থাকার সময় মাংসপেশীর টানে পাখির আঙুল জুড়ে যায়। নিজে থেকে না খুললে তা খােলে না, শিকলের মতই তা গাছের ডালে আঁকড়ে থাকে।
❏ কিছু কিছু প্রাণী ও উদ্ভিদ লুপ্ত হয়ে গেছে বা যাচ্ছে কেন ?
➨ পৃথিবীর বহু দেশেই নানা ধরনের প্রাণী আর উদ্ভিদ ক্রমে ক্রমে লুপ্ত হয়ে গেছে বা লুপ্ত হওয়ার পথে। মানুষের অপরিসীম লােভ আর নির্মমতাই এর কারণ। এই ভাবেই একদিন লােপ পেয়েছে ডােডাে পাখি, প্যাসেঞ্জার পায়রা, পাহাড়ি চিতা ইত্যাদি। এছাড়া লােপ পেয়েছে বহু রকম গাছ। অরণ্য নিধনই এ জন্য দায়ী। এই ভাবেই বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে বাঘ, সিংহ, কুমীর, বুনাে গাধা, গণ্ডার ইত্যাদি। সুখের ও আশার কথা এদের রক্ষার জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
❏ মানুষ বেঁটে বা লম্বা হয় কেন ?
➨ মানুষের মস্তিষ্কের ঠিক নিচে থাকে পিটুইটারী গ্রন্থি। এ থেকে নির্গত হরমােন বা একধরনের রস শরীরের হাড়ের পুষ্টি সাধন করে। পিটুইটারী গ্রন্থি কোন কারণে দুর্বল হয়ে নিজের কাজ যদি ঠিকমত না করতে পারে, তাহলে মানুষ এর ফলে বেঁটে হয়। আবার পিটুইটারী গ্রন্থির কাজ বেশি হলে মানুষ লম্বা হয়।
❏ অরােরা বা মেরুজ্যোতি দেখা যায় কেন ?
➨ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু হল পৃথিবীর দুটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র। ওই দুই জায়গায় আলােকের ইলেকট্রন ও প্রােটন কণা প্রবলভাবে আকর্ষিত হতে থাকে। ওই কণাগুলি যথাক্রমে অক্সিজেন নাইট্রোজেনের সংঘাতে লাল ও সবুজ রঙের আলাে বিকিরণ করতে থাকে। এই আলােকছটাকে অরােরা বা মেরুজ্যোতি বলা হয়।
❏ বিদ্যুৎপূর্ণ তার স্পর্শ করলে শক লাগে কেন ?
➨ বিদ্যুৎ একটি শক্তি। মানুষের দেহ বিদ্যুৎ পরিবাহী। বিদ্যুৎ সাধারণতঃ পরিবাহী বস্তুর মধ্য দিয়ে মাটিতে প্রবেশ করতে চায়। ফলে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়ে চলেছে এমন তারে হাত দিলে মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ মাটিতে প্রবেশ করে ও শক লাগে। রবারের বা শুষ্ক কাঠের মত কিছুতে দাঁড়িয়ে বা রবারের দস্তানা হাতে বিদ্যুৎ স্পর্শ করলে শক লাগে না।
❏ জিরাফ কোন শব্দ করতে পারে না কেন ?
➨ জিরাফই একমাত্র প্রাণী যে শব্দ করতে পারে না। জিরাফ কোন শব্দ করতে পারে না কারণ জিরাফের গলায় শব্দ উৎপাদনে সক্ষম ‘ ভভাকাল কর্ড ’ নেই।
❏ পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা নেই বলে কেন ?
➨ জীবনের সৃষ্টি ও স্থায়িত্বের জন্য প্রয়ােজন জীবনদায়ী অক্সিজেন ও জল। বৈজ্ঞানিকরা নানা তথ্যের সাহায্যে জানতে পেরেছেন পৃথিবী ছাড়া কোন গ্রহে এই জীবনদায়ী অক্সিজেন ও জল থাকার সম্ভাবনা নেই। এই কারণেই বলা হয় অন্য গ্রহের প্রাণের কোন অস্তিত্ব নেই ও থাকার সম্ভাবনাও নেই। যেমন চাঁদেও তা নেই।
❏ শনিগ্রহে বলয় আছে কেন ?
➨ অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা শনির কোন উপগ্রহ ভেঙে টুকরাে হয়ে যাওয়ায় তা শনির প্রচণ্ড আকর্ষণী শক্তির ফলে শনি গ্রহের চারপাশে বলয়ের আকারে ঘুরে চলেছে। অন্যরা বলেন শনির উপর ছড়িয়ে ছিল প্রচুর গ্যাস বা ধূলি ও বস্তুকণা। সেইগুলিই বলয়ের আকারে শনির চারপাশে ঘুরছে। বর্তমানে জানা গেছে অন্য কিছু গ্রহেরও বলয় আছে যেমন বৃহস্পতি।
❏ সূর্য ওঠার বা অস্ত যাওয়ার সময় লাল দেখায় কেন ?
➨ সূর্যের আলাে একরঙা নয়, রামধনুর সবকটি রঙের আলাে তাতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে মিশে থাকে। সূর্যের আলাে এ ছাড়াও আমাদের কাছে আসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে। এই বায়ুমণ্ডল আলাে আসার পথে বেশ বাধার সৃষ্টি করে। আবার সে বাধা সব রঙের ক্ষেত্রে এক রকম নয়। বাধাটা লাল রঙের বেলায় সবচেয়ে কম। সূর্য থেকে আসা ভিন্ন ভিন্ন রঙের আলাে ভিন্ন অনুপাতে মিশে নানা বাধা কাটিয়ে যে রূপ পায় তা অনেকটা হলুদ রঙের। স্বাভাবিকভাবেই বায়ুমণ্ডলের গভীরতা সব সময় সমান থাকে না তাই ঊষা বা গােধূলির সময় সূর্যকে অন্য রঙেরই দেখানাে স্বাভাবিক। লাল রঙের বেলায় বাধা সবচেয়ে কম বলে সূর্যকে লাল দেখায়।
❏ গাছের পাতা সবুজ কেন ?
➨ গাছের পাতা সবুজ ক্লোরােফিল নামে একটি সবুজ রঙ উৎপাদনকারী পিগমেন্ট থাকার জন্য। গাছ সাধারণভাবে সালােকসংশ্লেষের। মাধ্যমে খাদ্য সালােকসংশ্লেষের মাধ্যমে গাছ মাটি থেকে জল, লবণ আর বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড় গ্রহণ করে কার্বােহাইড্রেট ইত্যাদি তৈরি করে। ক্লোরােফিল থাকে মেসােফিল নামে কোষের স্তরে ক্লোরােপ্লাস্টের মধ্যে।
❏ কেউ চলন্ত বাস বা ট্রাম থেকে উল্টো মুখে নামলে পড়ে যায় কেন ?
➨ চলন্ত বাস বা ট্রাম থেকে উল্টো মুখে নামলে পড়ে যেতে হয় কারণ যখন আমরা গাড়ির মধ্যে থাকি তখন গতিজাড্যের ফলে আমাদের গতির অভিমুখ থাকে গাড়ির গতিমুখের দিকেই। উল্টো ভাবে নামলে সেই গতিজাড্যের ফলে অভিমুখ বদলে যায় আর গাড়ির গতিমুখেই আমাদের শরীরও এগিয়ে যায় ফলে পড়ে যেতে হয়।
❏ পূর্ব দিকে গেলে একদিন নষ্ট হয়, আর পশ্চিমে গেলে একদিন লাভ হয় কেন ?
➨ লন্ডন শহরের কাছে গ্রীনিচ শহরকে শূন্য ডিগ্রী দ্রাঘিমা ধরলে প্রতি ১ ডিগ্রী অন্তর সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। তাই কোন লােক যদি একই সময়ে জাহাজে করে পূর্ব আর পশ্চিম দিকে যায় তাহলে দুজনে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখায় মিলিত হলে পূর্বগামী ব্যক্তি ১৮০x৪ মিনিট ১২ ঘণ্টা এগিয়ে থাকবে আর পশ্চিমগামী ব্যক্তি ১২ ঘণ্টা পিছিয়ে থাকবে।
আমাদের কথা: যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা বানান ভুল থাকে, এই ভুল আমাদের অনিচ্ছাকৃত এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী। সঠিকটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আপডেট করে দেব।
Please do not share any spam link in the comment box