পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF | West Bengal Rivers PDF | পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য

পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF | West Bengal Rivers PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি West Bengal Rivers PDF . নিচে পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF | West Bengal Rivers PDF | পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য


Dear Students,

আজ পশ্চিমবঙ্গের জেলাভিত্তিক নদ নদীর তালিকা PDFটি দিচ্ছি, যেটিতে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কোন কোন নদী আছে সেই তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী চাকরির পরীক্ষাতে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার বিভিন্ন নদীর তালিকা থেকে প্রশ্ন আসে। যেমন:- তিস্তা কোন কোন জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে? পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় গঙ্গা নদী রয়েছে? ইত্যাদি।



সুতরাং, দেরি না করে এখনই পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী Pdf টি পোস্টটির নীচে গিয়ে ডাউনলোড করুন


পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF | West Bengal Rivers PDF | পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য

মুর্শিদাবাদ জেলার সিবিয়ার কাছে (ধুলিয়ানের নিকট) গঙ্গা দুভাগে বিভক্ত হয়েছে ভাগীরথী ও গঙ্গা। ১ টি শাখা পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
মাথাভাঙ্গা নদীর শাখা নদী হল ইচ্ছামতী ও চূর্ণী।
কাঁসাই ও কেলেঘাইয়ের মিলিত প্রবাহ হলদি নদী।
দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতীর মিলিত প্রবাহ রূপনারায়ণ।
বক্রেশ্বর ও কোপাই নদীর মিলিত প্রবাহ কুলা।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান নদী তিস্তা।
দক্ষিণবঙ্গের প্রধান নদী মাতলা,রায়মঙ্গল,গোসাবা,ইছামতী,কালিন্দী,ঠাকুরান,পিয়ালী,বিদ্যাধরী,সপ্তমুখী প্রভূতি।
দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জোয়ার-ভাটা হয়। সারা বছরই জল থাকে।
দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলির জল লবণাক্তসমুদ্রের জল প্রবেশ করার জন্য।
ভাগীরথী নদী মুর্শিদাবাদকে দুভাগে ভাগ করেছে। পূর্বভাগ বাগাড়ি ও পশ্চিমভাগ রায় নামে পরিচিত।
দামোদর ও ভাগীরথীর মিলনস্থল (গড়চুমুক) হাওড়া দর্শনীয় স্থান।
গঙ্গার পরিণত ব-দ্বীপ সমভূমির অংশ হল নদীয়া জেলা।
অজয় নদীর তীরে কেঁদুলের মেলা বিখ্যাত।
অজয়নদী বীরভূম ও বর্ধমানের সীমানা নির্ধারণ করেছে।
বীরভূমে সিউড়িতে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর তিলপাড়া ব্যারেজ অবস্থিত।
গঙ্গানদী রাজমহল দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে।
তিস্তা নদীর বামতীরের আর্দ্রভূমিকে ডুয়ার্স বলে।
তিস্তা নদীর ডানতীরে তরাই অঞ্চল অবস্থিত।
তিস্তা পূর্বদিকে দুরপিনদারা পর্বত (১৩৭২ মিটার) অবস্থিত।
সুবর্ণরেখা নদী ছোটোনাগপুর মালভূমি থেকে পশ্চিমবঙ্গকে পৃথক করেছে।
মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়েছে গঙ্গাবক্ষে কলকাতা বন্দরকে রক্ষার জন্য।
বাঁকুড়া জেলার প্রধান নদী দামোদর।
দার্জিলিংয়ের সেবকের কাছে তিস্তানদী সমভূমিতে প্রবেশ করেছে।
দামোদর নদী বাঁকুড়া ও বর্ধমানের সীমানা নির্ধারক। বরাকর দামোদরের প্রধান উপনদী।
কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির মধ্যে কালজানি নদী সীমানা নির্ধারণ করে।
জলপাইগুড়ি ও অসমের মধ্যে সঙ্কোশ নদী সীমানা নির্ধারণ করে।
সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য নদী বিদ্যাধরী,পিয়ালী,মাতলা,রায়মঙ্গল,কালিন্দী।
দক্ষিণমুখী নদী (জলপাইগুড়ি জেলার)  তিস্তা,তোর্সা,কালজানি,রায়ডাক,সঙ্কোশ,জলঢাকা।
জর্দানদীর তীরে প্রাচীন জল্পেশ মন্দির বিখ্যাত (জলপাইগুড়ি)।
দ্বারকেশ্বর নদী মেদিনীপুরে রূপনারায়ণ নাম নিয়েছে

পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF | West Bengal Rivers PDF | পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর দৈর্ঘ্য, উৎসস্থল, পতনস্থল, উপনদী, বৈশিষ্ট্য

পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদী

পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য। উৎপত্তি ও গতিপ্রকৃতি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদীকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - 
০১. উত্তরবঙ্গের নদ-নদী
০২. গঙ্গা ও তার উপনদী
০৩. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের নদ-নদী
০৪. সুন্দরবন অঞ্চলের নদ-নদী

০১. উত্তরবঙ্গের নদ-নদীঃ 

তিস্তা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৪১৩ কিমি, ভারতে ২৯১ কিমি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১২২ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ সিকিমের জেমু হিমবাহ। 
■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে। 
■ শাখানদী ও উপনদীঃ রঙ্গিত, জলঢাকা, কালীঝোড়া, লিস। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ এটি উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী এবং এই নদী ‘ত্রাসের নদী’ নামে পরিচিত। 

মহানন্দা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৯০ কিমি।
■ উৎসস্থলঃ মহালধিরাম পার্বত্য অঞ্চল। 
■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে। 
■ উপনদীঃ গুলুমা খোলা, ডৌক, মেচি, বালাসন। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ এটি উত্তরবঙ্গের দীর্ঘতম নদী এবং মহানন্দা অভয়ারণ্য এই নদীর তীরে অবস্থিত। 

জলঢাকা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৩৬ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ সিকিম-ভুটানের বিদাং হ্রদ। 
■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে।
■ উপনদীঃ ধরলা, গিধারী, ডলং, ডায়না। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ গরুমারা অভয়ারণ্য এই নদীর তীরে অবস্থিত। 

তোর্সা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৩৫৮ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ টং গিরিপথের চুম্বি উপত্যকা। 
■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে।
■ উপনদীঃ মালেঙ্গি, বেলা, সুনজাই। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ শাখানদী - চিলী, তোর্সা ও চর তোর্সা। 

কালজানি নদী

■ উৎসস্থলঃ ভুটান পাহাড়। 
■ পতনস্থলঃ তোর্সার সাথে মিশে ব্রহ্মপুত্রে। 
■ উপনদীঃ গদাধর, চেকো, নেনাই। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ আলাইকুড়ি ও ডিমা নদীর মিলিত ধারার নাম কালজানি। 

রায়ডাক নদী

■ উৎসস্থলঃ ভুটানের অ্যাকাংচু শৃঙ্গ। 
■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা। 
■ উপনদীঃ দীপা। 

বালাসন নদী

■ উৎসস্থলঃ লেপচা জগৎ
■ পতনস্থলঃ মহানন্দা। 
■ উপনদীঃ রঙ, বিং। 

০২. গঙ্গা ও তার উপনদীঃ 

গঙ্গা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ মোট ২৫২৫ কিমি, পশ্চিমবঙ্গে ৫২০ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ গঙ্গোত্রী হিমবাহ। 
■ পতনস্থলঃ বঙ্গোপসাগর। 
■ উপনদীঃ দামোদর, রূপনারায়ণ, ময়ূরাক্ষী, কংসাবতী, অজয়। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম ও প্রধান নদী। মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলী পর্যন্ত গঙ্গা ভাগীরথী নামে এবং হুগলী থেকে মোহনা পর্যন্ত হুগলী নদী নামে পরিচিত। 

০৩. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের নদ-নদীঃ

দামোদর নদ

■ দৈর্ঘ্যঃ ৫৯২ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ ছোটনাগপুর মালভূমির খামারপোত পাহাড়। 
■ পতনস্থলঃ উলুবেড়িয়ার কাছে ভাগীরথী-হুগলী নদী। 
■ উপনদীঃ বরাকর, কোনার, বোকারো, আয়ার। 
■ বৈশিষ্ট্যঃ বাংলার দুঃখ নামে পরিচিত। 

সুবর্ণরেখা নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৪৭৪ কিমি।
■ উৎসস্থলঃ ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার টোরির নিকট। 
■ পতনস্থলঃ বঙ্গোপসাগর। 
■ উপনদীঃ শাংখো, সাপুলিনালা, রুপাই, ডুলুং। 

কংসাবতী নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৩৩৬ কিমি।
■ উৎসস্থলঃ অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন ঝাবর বন পাহাড়। 
■ পতনস্থলঃ হুগলী নদী। 
■ উপনদীঃ কুমারী, পাটলো। 

অজয় নদ

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৭৬ কিমি।
■ উৎসস্থলঃ ঝাড়খণ্ডের দুমকা। 
■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 
■ উপনদীঃ কুণুর, হিংলা, তুমুনি।

ময়ূরাক্ষী নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৫০ কিমি।
■ উৎসস্থলঃ বৈদ্যনাথধামের ত্রিকূট পাহাড়। 
■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 
■ উপনদীঃ পুস্কানী।

রূপনারায়ণ নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৮০ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ পশ্চিমের মালভূমি। 
■ পতনস্থলঃ হুগলী নদী। 
■ উপনদীঃ মুন্ডশ্বরী। 

হলদি নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৪ কিমি। 
■ উৎসস্থলঃ কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর মিলিত প্রবাহ।
■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 

০৪. সুন্দরবন অঞ্চলের নদ-নদীঃ

এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলি প্রধানত জোয়ারের জলে পুষ্ট এবং এগুলির সবই হুগলীর শাখা নদী। সুন্দরবন অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীগুলি হল - মাতলা, ইছামতী, রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী, গোসাবা, সপ্তমুখী, পিয়ালী, ঠাকুরান, কালিন্দী ইত্যাদি।

Download পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF


File Details:-

File Name:- পশ্চিমবঙ্গের নদ নদী তালিকা PDF [www.gksolves.com]
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Size:- 3 Mb
File Location:- Google Drive


Download: Click Here to Download



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.